কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
গত ৪অক্টোবর ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য রাজ্য সরকার ১০হাজার টাকা দেয়। সাইবার অপরাধীরা বাংলার শিক্ষা পোর্টালে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট নম্বর ঢুকিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। শুধুমাত্র পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই ৩২টি স্কুলে ২৫৩জন পড়ুয়ার ২৫লক্ষ টাকা হাতানো হয়। পুজোর ছুটির মধ্যে জেলা প্রশাসন বিষয়টি জানতে পারে। গোড়ায় চারটি স্কুলে এরকম ঘটনার কথা জানাজানি হয়। পরবর্তীতে জানা যায়, মোট ৩২টি স্কুলে এরকম ঘটনা ঘটেছে।পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(মাধ্যমিক) সুভাশিষ মিত্র তমলুক থানায় এফআইআর করেন। সেই ঘটনার তদন্তে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিস চোপড়া থেকে ন’জন এবং মালদহের বৈষ্ণবনগর থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের তালিকায় ট্যাব জালিয়াতির দুই মাথা রয়েছে। এছাড়াও বীরভূমে গিয়ে ওই চক্রের আর এক মাথাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন এখানকার তদন্তকারী অফিসাররা। তাদের কাছ থেকে প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যেসব অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে, সেইসব অ্যাকাউন্টের পূর্ণাঙ্গ তথ্যও জোগাড় করেছে জেলা পুলিস। তদন্তে জানা গিয়েছে, ‘বঙ্গের জামতাড়া’ চোপড়া গ্যাং জেলায় জেলায় সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ট্যাবের টাকা হাপিস করেছে।
তমলুক থানার এসআই দিবাকর দোলই ওই মামলার প্রথম তদন্তকারী অফিসার। যদিও এরমধ্যে আইটি অ্যাক্ট যুক্ত হওয়ায় ইন্সপেক্টর সত্যমকুমার ঘোষ ওই মামলার তদন্তকারী অফিসার হন। ডিইবি ইন্সপেক্টর থেকে সত্যমবাবু এই মুহূর্তে নন্দকুমারের সার্কেল ইন্সপেক্টর। ট্যাবকাণ্ডে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিসের হাতে ধৃতদের অন্যান্য জেলার পুলিস অফিসাররাও জেরা করেছেন। আসানসোল পুলিস কমিশনারেট ছাড়া একাধিক জেলা থেকে পুলিস অফিসাররা এসে ধৃতদের জেরা করেছে।
রাজ্য সরকার প্রতারিত ২৫৩জন ছাত্রছাত্রীর অ্যাকাউন্টে আবারও ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে টাকা দিয়েছে। তবে সরকারি প্রকল্পের টাকা হাতানোর জন্য উপভোক্তা তালিকায় ভুয়ো অ্যাকাউন্ট নম্বর এন্ট্রি করে দেওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। গোটা রাজ্যে কমবেশি সব জেলায় এই প্রতারণা চক্র জালিয়াতি করেছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই ট্যাবের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় প্রথম এফআইআর হয়। এই মুহূর্তে তদন্তের কাজও অনেকটাই এগিয়েছে। এখন চার্জশিট জমা দেওয়ার অপেক্ষা। তারপরই ধৃতদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জগঠনের পর বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
ট্যাবের টাকা আত্মসাৎ থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজ্য সরকার উপভোক্তা লিস্টের ব্যাপারে আরও সতর্ক হয়েছে। সাইবার হানা মোকাবিলায় একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ট্যাব কেলেঙ্কারির ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই এই পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য।