মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
ভগবানপুর-১ ব্লকে ৬০টি স্কুল, ভগবানপুর-২ ব্লকে ৪৮টি স্কুল, চণ্ডীপুর ব্লকে ৫৬টি স্কুল, কাঁথি-১ ব্লকে ৫৩টি স্কুল, কাঁথি-৩ ব্লকে ৩৩টি স্কুল, দেশপ্রাণ ব্লকে ৪২টি স্কুল, কাঁথি পুরসভায় ১০টি স্কুল, এগরা-১ ব্লকে ২৭টি স্কুল, এগরা-২ ব্লকে ২৫টি স্কুল, এগরা পুরসভায় সাতটি স্কুল, হলদিয়া ব্লকে ৪৯টি স্কুল, হলদিয়া পুরসভায় ৭৬টি স্কুল, খেজুরি-১ ব্লকে ২৮টি স্কুল, খেজুরি-২ ব্লকে ৩৯টি স্কুল, মহিষাদল ব্লকে ৭২টি স্কুল, ময়না ব্লকে ৮৭টি স্কুল, নন্দকুমার ব্লকে ৮৮টি স্কুল, নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে ৪৪টি স্কুল, নন্দীগ্রাম-২ ব্লকে ৪৩টি স্কুল, পাঁশকুড়া-১ ব্লকে ৭৩টি স্কুল, কোলাঘাট ব্লকে ৬৭টি স্কুল, পাঁশকুড়া পুরসভায় ১১টি স্কুল, পটাশপুর-১ ব্লকে ২৩টি স্কুল, পটাশপুর-২ ব্লকে ২৮টি স্কুল, রামনগর-১ ব্লকে ১৯টি স্কুল, রামনগর-২ ব্লকে ২৩টি স্কুল, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে ৬২টি স্কুল, সুতাহাটা ব্লকে ৬৮টি স্কুল, তমলুক ব্লকে ৬৭টি স্কুল এবং তমলুক পুরসভায় ২২টি প্রাইমারি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণী চালু হচ্ছে।
বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক সতীশ সাউ বলেন, পরিকাঠামো ঠিকমতো তৈরি না করেই পঞ্চম শ্রেণীকে প্রাথমিক স্কুলে যুক্ত করার ফলে শিক্ষার মান খারাপ হবে। শ্রেণীভিত্তিক শিক্ষক এবং ক্লাসরুম না থাকা সত্ত্বেও অনেক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণী যুক্ত করা হয়েছে। শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে সোনাপেত্যা দেশপ্রাণ প্রাথমিক স্কুলে তিনজন শিক্ষক আছেন। ডিসেম্বর মাসেই একজন অবসর নেবেন। সেখানে পঞ্চম শ্রেণী জোড়া হয়েছে। ওই ব্লকের খোসটিকরি প্রাইমারি স্কুলে মাত্র তিনটি শ্রেণীকক্ষ আছে। সেখানেও পঞ্চম শ্রেণী চালু করা হচ্ছে। তমলুক শহরে পদুমবসান ক্ষুদিরাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র ১২জন ছাত্র। সেখানেও পঞ্চম শ্রেণী যুক্ত করা হচ্ছে। ঠিকমতো চিন্তাভাবনা না করেই গড়পড়তা এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় একচেটিয়া স্কুলগুলিতে দুই থেকে তিনজন করে শিক্ষক আছেন। সেখানে পঞ্চম শ্রেণীকে নিয়ে ছ’টি ক্লাস চালু হওয়ার ফলে পঠনপাঠন ব্যাহত হবে। এর ফলে শিক্ষার মান আগামী দিনে কমবে। এর দায় শিক্ষকদের উপর বর্তাবে।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সাধারণ সম্পাদক অরূপকুমার ভৌমিক বলেন, জেলায় ১৩৫০টি প্রাইমারি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণী যুক্ত করার একটি তালিকা এসেছে। সেই পদক্ষেপের বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। কারণ, ইতিমধ্যেই সমস্ত হাইস্কুল পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির ফর্ম বণ্টন করে দিয়েছে। অভিভাবকরাও ফর্ম সংগ্রহ করেছেন। কোনও কোনও স্কুল অলিখিতভাবে ভর্তিও করে নিয়েছে। এই অবস্থায় প্রাথমিক স্কুলগুলিতে পঞ্চম শ্রেণীতে কত সংখ্যক পড়ুয়া ভর্তি হবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। আরও আগে থেকে এনিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন ছিল।
জেলায় ৩৯৫টি প্রাইমারি স্কুলে অতিরিক্ত শ্রেণীকক্ষ নির্মাণের জন্য স্কুলশিক্ষা দপ্তর থেকে ৩২কোটি টাকা দেওয়া হয়। প্রতিটি ইউনিটের জন্য খরচ ৭লক্ষ ২৬হাজার ৩০০টাকা। তাতে সাড়ে চারশো অতিরিক্ত শ্রেণীকক্ষ হবে। আরও ১০১৮টি প্রাইমারি স্কুলে অতিরিক্ত শ্রেণীকক্ষ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ চেয়ে সুপারিশ করেছে জেলা প্রশাসন। কিন্তু, অনেক জায়গায় উপযুক্ত সংখ্যক শ্রেণীকক্ষ না থাকা সত্ত্বেও এবং বেশকিছু ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকা সত্ত্বেও পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির জন্য ওয়েবসাইটে স্কুলের নাম রয়েছে।
এব্যাপারে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মানস দাস বলেন, ২০২০সাল থেকে গোটা রাজ্যে ১৭হাজার ৯৯৬টি প্রাইমারি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণী চালু হবে। সেই সংক্রান্ত একটি তালিকা ওয়েবসাইটে দেখেছি। যদিও সরকারিভাবে এখনও আমাদের অফিসে আসেনি। সেই তালিকায় আমাদের জেলায় ১৩৫০টি স্কুলের নাম রয়েছে।