মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, এই কর্মসূচিটা মূলত পুলিসের। তবে আমি পুলিস সুপারের আহ্বানে গিয়েছিলাম। খুব ভালো একটা প্রচেষ্টা। এর মধ্যে দিয়ে কার কী সমস্যা আমরা জানতে পারছি। কোথায় আমাদের কী খামতি থাকছে, তাও উঠে আসছে। সর্বোপরি সাধারণ মানুষের পুলিস প্রশাসনের উপর আস্থাও বাড়ছে। আমি এদিন অনেকের সমস্যা নোট করেছি। সাধ্যমতো সমস্যা মেটানোর আমরা চেষ্টা করব। জেলার পুলিস সুপার জাফর আজমল কিদওয়াই বলেন, এই কর্মসূচি আমরা নতুন করে শুরু করলাম। কার কী সমস্যা, অভিযোগ তা আমরা শুনছি। সেগুলি যত দ্রুত সম্ভব মেটানোর চেষ্টা আমরা করছি। প্রত্যেক সপ্তাহে এক একটি করে থানায় এই কর্মসূচি পালন করা হবে। সব জায়গাতেই আমরা যাব। আর এই কাজে প্রশাসনকেও আমরা যুক্ত করেছি।
এদিন বিডিও কল্লোল বিশ্বাস, অতিরিক্ত পুলিস সুপার(গ্রামীণ) কৃশানু রায় সহ পুলিস প্রশাসনের একাধিক কর্তারা হাজির ছিলেন। ফুলচাঁদ শেখ নামে বড়গাছি গ্রামের এক বাসিন্দা এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের জন্য আবেদন করেন। তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েত ও ব্লক অফিসে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। স্কুলের সামনে পাঁচিলের একান্ত প্রয়োজন বলে জানান। বিক্রমপুর পঞ্চায়েতের ওয়াহেদ আলি শেখ বার্ধক্য ভাতা পাননি বলে অভিযোগ করেন। তাঁর আরও অভিযোগ, ঘর পাওয়ার যোগ্য হলেও তাঁকে সরকারি প্রকল্পে ঘর দেওয়া হয়নি। এই সমস্ত কিছুই প্রশাসনের কর্তারা লিখে নেন। একাধিক জন প্রতিবন্ধী শংসাপত্র নিয়েও অভিযোগ জানান। যা শুনে জেলাশাসক সিদ্ধান্ত নেন, ১৯ ডিসেম্বর নাকাশিপাড়ায় বিশেষ শিবির হবে।
বিক্রমপুর গ্রামের আব্দুল খালেদ শেখ নামে এক গ্রামবাসী বলেন, আমি একটি দুর্ঘটনার পর কাজ করতে পারি না। বর্তমানে মোটরবাইকে শাল কম্বলের ব্যবসা করি। কিন্তু লাইসেন্সের জন্য কম্পিউটারে পরীক্ষা দিতে হবে। আমি কম্পিউটার চালাতে পারি না। এর কিছু ব্যবস্থা করলে ভালো হয়।
গত মাসেই মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব জেলার পুলিস সুপার ও জেলাশাসককে মাঠে নেমে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেইমতো জেলা পুলিস এবং প্রশাসনও মাঠে নেমে পড়ল। যদিও জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, এর আগে জেলা প্রশাসন ‘সমন্বয়’ কমর্সূচির মাধ্যমে অনেক আগেই মাঠে নেমে গিয়েছিল। একাধিক ব্লকে জেলাশাসক নিজে গিয়েছেন।