মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, সকলের মায়েদের নামে বাংলা আবাস যোজনার ঘর এসেছে। সেই বাড়ি নির্মাণ সংক্রান্ত কাজের উদ্দেশে সাতদিন আগে তাঁরা বাড়ি ফিরে আসেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দু’টি বাইকে চড়ে চার বন্ধু লাগোয়া মলয়পুর গ্রামে পার্কে বেড়াতে যান। পরে ওই গ্রামে তাঁরা খেজুর রস খান। একটি বাইকে ছিলেন সাদ্দাম ও মতিবুর। অপর একটি বাইকে ছিলেন বাকি দু’জন। রাতে বাড়ি ফেরার পথে সাদ্দামের কাছ থেকে জোর করে গাড়ির চাবি কেড়ে নিয়ে চালাতে শুরু করেন মতিবুর। মতিবুব সদ্য বাইক চালাতে শিখেছেন। পথে নাজরুলরা একটু এগিয়ে গেলে পিকআপ বাড়িয়ে তাঁদের ওভারটেক করতে যান মতিবুর। তাতেই দু’টি বাইকের পাশাপাশি সংঘর্ষ হয়। দু’টি বাইকই রাস্তার দু’দিকে ছিটকে পড়ে। মতিবুরদের বাইকটি রাস্তার ধারে থাকা বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মারে। হেলমেট না থাকায় মতিবুর ও সাদ্দাম মাথায় গুরুতর চোট পান। স্থানীয় বাসিন্দারা বিকট শব্দ শুনে দৌড়ে এসে চারজনকে উদ্ধার করে মুরারই ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে আসরাফুলকে প্রাথমিক চিৎিসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি তিনজনকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। রাতে সেখানেই দু’জনের মৃত্যু হয়। নাজরুল বুকে জোর আঘাত পেয়েছেন। তাঁর চিকিৎসা চলছে। নাজরুল বলেন, খেজুর রস খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎই মতিবুররা আমাদের বাইকে ধাক্কা মারে। আমি ছিটকে পরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। এরপরে কী হয়েছে জানি না।
নাজরুলের সম্পর্কিত দাদা বদিউল মল্লিক বলেন, মতিবুররা ভাইয়ের বাইকে ধাক্কা মারার পরে রাস্তার ধারের বিদ্যুতের খুঁটিতেও ধাক্কা মারে। তাতেই ওই বাইকে থাকা দু’জন মাথায় চোট পান। তবে, হেলমেট থাকলে হয়তো এযাত্রায় তারা প্রাণে বেঁচে যেত। মতিবুরের কাকা আলিমুদ্দিন মোবিন বলেন, শুক্রবার ভাইপো ও সাদ্দামের ট্রেন ধরে দিল্লি কাজে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, দু’টি বাইকই অত্যন্ত গতিবেগে ছিল। তাঁরা রেষারেষি করে বাইক চালাচ্ছিলেন। যার জেরেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
বৃহস্পতিবার রামপুরহাট হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর দেহ দু’টি গ্রামে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে শোকের ছায়া নেমে আসে। দু’টি পরিবারই কান্নায় ভেঙে পড়ে। বিকেলে গ্রামেই দুই বন্ধুকে কবর দেওয়া হয়।
পুলিসের এক আধিকারিক জানান, ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ নিয়ে লাগাতার প্রচার সত্ত্বেও অধিকাংশ বাইক চালক হেলমেট ব্যবহার করছেন না। সীমিত গতিবেগ, নিয়ন্ত্রণ রেখে ও নেশাগ্রস্ত অবস্থায় যানবাহন চলাচল না করার জন্য বলা হচ্ছে। কিন্তু, মানুষ সচেতন হচ্ছেন না।