মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
উল্লেখ্য, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণ পেতে নিয়ম অনুযায়ী কৃষি জমির পরচা থাকা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। কিন্তু, এমন অনেক চাষি রয়েছেন যাঁদের জমির দলিল থাকা সত্ত্বেও তাঁরা মিউটেশন করাননি। ফলে ওই সকল চাষিদের জমির পরচা না থাকার কারণে ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে যাতে অসুবিধা না হয় সেই কারণেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের দাপটে হুগলি জেলাজুড়ে আমন ধান সহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। সেই ক্ষতিপূরণের জন্য জেলার তরফে ১৭০ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দের জন্য চেয়ে আবেদন করা হয় রাজ্যস্তরে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই চাষিদের ক্ষতিপূরণ দিতে রাজ্য সরকার কেবলমাত্র হুগলি জেলার জন্যই ১০০কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
আরামবাগ মহকুমা কৃষি দপ্তর সূত্রে খবর, এবছর বুলবুলের কারণে মহকুমার অধীনে থাকা মোট ৫৮৪টি মৌজাতেই চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, গত সোমবার থেকে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন জমা নেওয়ার কাজ শুরু করেছে কৃষিদপ্তর। চলতি ইংরেজি মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত চলবে এই আবেদনপত্র জমা নেওয়ার কাজ। এছাড়া সরকারিভাবে প্রতি এক শতক আমন ধান চাষের জমিতে ৫৪ টাকা করে দেওয়া হবে ক্ষতিপূরণ। সেক্ষেত্রে ন্যূনতম এক হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন চাষিরা। এছাড়াও একজন কৃষক জমির পরিমাণ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২৭ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন।
জানা গিয়েছে, আবেদনকারী চাষিদের আবেদনপত্রের সঙ্গে অবশ্যই কৃষি জমির পরচা থাকা বাধ্যতামূলক। চলতি বছরের তোলা জমির পরচা না থাকলেও ২০১৭, ২০১৮ সালের কৃষি জমির পরচা থাকলেও আবেদন করতে পারবেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। এছাড়া কৃষকবন্ধু প্রকল্পের আওতায় না থাকা চাষিরাও এবার ক্ষতিপূরণের আবেদন করতে পারবেন। আরামবাগ মহকুমা কৃষি আধিকারিক প্রশাসন সজল কুমার ঘোষ বলেন, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্দিষ্ট করে দু’দিন কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরা যাবেন। ওই দু’দিন ধরে গ্রাম পঞ্চায়েতের চাষিদের কাছ থেকে আবেদন নেওয়ার কাজ চলবে।