মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খেজুরির বীরবন্দরের পাটনা এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকার সঙ্গে মাসখানেক আগে খেজুরি এলাকার এক যুবকের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সে নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা করছিল। তার বয়স বর্তমানে ১৭বছর চার মাস। কিন্তু, বুধবার শাঁখা¬¬¬-সিঁদুরের কোনও চিহ্ন না রেখে কামারদায় বিডিও অফিসে ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পের সাইকেল নিতে আসে ওই নাবালিকা। স্কুলের শিক্ষকরা বিষয়টি লক্ষ্য করেন। তাঁরা ব্লক প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, ওই মেয়েটির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি জানার পর বিডিও তীর্থঙ্কর ঘোষ ওই নাবালিকা এবং তার পরিবারের লোকজনদের অফিসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ চালান। তিনি খেজুরি থানাকেও বিষয়টি জানান। পুলিসও নাবালিকা এবং তার পরিবারের লোকজনদের ডেকে পাঠায়। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার নাবালিকার পরিবারের লোকজন বিডিও এবং পুলিসের কাছে মুচলেকা দিয়ে জানান, মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত সে বাপেরবাড়িতে থাকবে এবং পড়াশোনা করবে।
বিডিও বলেন, নাবালিকাকে বিয়ে করার ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক ও তার পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে কথা বলার জন্য পুলিসকে বলা হয়েছে। মেয়েটি ১৮বছর না হওয়া পর্যন্ত সে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে কি না কিংবা সে বাপেরবাড়ির হেফাজতে রয়েছে কি না, সেবিষয়ে প্রশাসনকে নিয়মিত জানানোর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। ওসি গোপাল পাঠক বলেন, নাবালিকাটি যতদিন পড়াশোনা চালিয়ে যাবে, ততদিন পর্যন্ত তার পড়াশোনার খরচ বহন করবে থানা। আমরা অভিযুক্ত যুবক ও তার পরিবার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছি।