সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
পাড়ুই থানার সাত্তোর অঞ্চলের শিমুলিয়া, দেবগ্রাম, ভেড়ামারি গ্রামের বাসিন্দারা সোমবার রাত ৮টা থেকে ২টো পর্যন্ত ব্যাপক বোমা ফাটার আওয়াজ শুনতে পান। মূলত শিমুলিয়া গ্রামে প্রচুর পরিমাণে বোমাবাজি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে গ্রামের রাস্তায় চারিদিকে বোমার ছাপ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। বাসিন্দাদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট ছিল। পরিস্থিতি যাতে নতুন করে অশান্ত না হয়ে ওঠে তার জন্য গ্রামে প্রবেশের মুখে পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। কে বা কারা সোমবার রাতভর এলাকায় বোমাবাজি করেছে তা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারা যায়নি। তবে গ্রামবাসীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় দেবগ্রামে এক বিজেপি কর্মীর বাইক ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সেখানকার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় শুরু হয়ে যায় বোমাবাজি। মুহুর্মুহু বোমার আওয়াজে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। পাড়ুই থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, বোমাবাজি করে এলাকায় অশান্তি করার জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। গ্রামবাসীরা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যেই এদিনের বোমাবাজি হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই পাড়ুই এলাকায় ব্যাপক শক্তি বৃদ্ধি করেছে বিজেপি। যা ক্রমাগত শাসকদলকে অস্বস্তিতে রেখেছে। যদিও সোমবার রাতে বোমাবাজির ঘটনায় একে অপরের উপর দায় চাপিয়েছে বিজেপি ও তৃণমূল।
সাত্তোর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আনোয়ার সিকদার বলেন, বিজেপি সমাজবিরোধী ও তৃণমূলে থেকে দুর্নীতি করতে না পারা ব্যক্তিদের নিজেদের দলে নিয়ে এলাকা দখল করতে চাইছে। প্রশাসন তদন্ত করে দেখে সঠিক ব্যবস্থা নেবে।
বিজেপির জেলা সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, পাড়ুইয়ে আমাদের সংগঠন বরাবরই ভালো। মানুষ বিজেপির হাত ধরে সন্ত্রাস থেকে মুক্তি চাইছে। কিন্তু, তৃণমূল বোমা, বন্দুকের সাহায্য নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চাইছে। রাতভর এলাকায় বোমাবাজি করেও কোনও লাভ হবে না। মানুষ তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।