শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
এই উত্তেজক পরিস্থিতিতে গুতেইরেসকে চিঠিতে কুরেশি লিখেছেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে আমি আপনার নজরে আনতে চাই যে পাকিস্তানকে ভারতের হুমকির প্রেক্ষিতে এই উপমহাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।’ পুলওয়ামা হামলার পিছনে পাকিস্তানের কোনও দায় নেই বলেও দাবি করা হয়েছে। এই হামলা ঘটিয়েছে স্থানীয় এক কাশ্মীরি। তাই উপযুক্ত তদন্তের আগে পাকিস্তানকে দোষী ঠাওরানো অর্থহীন ছাড়া কিছু নয়। কাশ্মীর নিয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ভারত চিরকালই অস্বীকার করে এসেছে। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চলতি বিবাদ দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে মেটানোর পক্ষপাতী ভারত। তাছাড়া, আলোচনা এবং সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না বলে ইসলামাবাদকে জানিয়েছে দিল্লি। এই অবস্থায় ঘরে বাইরে কোণঠাসা পাকিস্তান রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে ভারতের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে চাপমুক্ত হওয়ার কৌশল নিয়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।
চিঠিতে কুরেশি আরও লিখেছেন, ঘরোয়া রাজনীতির কারণেই ভারত যে কোনও সমস্যায় পড়লে পাকিস্তানকে দোষী বলে প্রচার শুরু করে। তাতে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। পুলওয়ামা কাণ্ডের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি বাতিল করার ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত। তাতে পরিস্থিতি শোচনীয় হয়ে উঠবে। রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানের আর্জি, ভারত যাতে উত্তেজনা না বাড়িয়ে পাকিস্তান এবং কাশ্মীরিদের সঙ্গে আলোচনায় বসে, তারজন্য দিল্লিকে নির্দেশ দেওয়া হোক।
এদিকে, পুলওয়ামা হামলার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসতে চলেছে পাকিস্তানের নাগরিক সমাজ এবং সেনা। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবর অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহে পাকিস্তানি কূটনীতিকরা সেনা এবং নাগরিক সমাজকে পরিস্থিতি অবগত করবেন।