কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, আইডি হাসপাতাল সম্প্রতি প্রথম দিকে ভর্তি হওয়া আট করোনা আক্রান্তের নমুনা হু-এর গাইডলাইন মেনে ফের পরীক্ষার জন্য নাইসেডে পাঠায়। টানা ১০ থেকে ১৫ দিনের সরকারি চিকিৎসায় আদৌ কি করোনামুক্তি ঘটেছে তাঁদের, এটা জানাই উদ্দেশ্য। দপ্তর সূত্রের খবর, আটজনের মধ্যে তিনজনের নমুনা নেগেটিভ মিলেছে। বাকিরা পজিটিভ, অর্থাৎ ভর্তির সময়ের মতোই। হু’র গাইডলাইন অনুযায়ী, চিকিৎসা চলাকালীন আক্রান্তের নমুনা পরীক্ষা নেগেটিভ এলে, পরদিন ফের তাঁর করোনা পরীক্ষা হবে। সেক্ষেত্রেও যদি করোনার অস্তিত্ব না মেলে, রোগীদের পর্যবেক্ষণ করে করোনামুক্ত বলে জানাবেন তাঁদের চিকিৎসক। আইডি’র অধ্যক্ষা ডঃ অনিমা হালদার বলেন, আজ সোমবার ওই তিনজনের ফের পরীক্ষা করাব। তখন কী হয়, সেটাই দেখার।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, শনিবার থেকে রবিবার—মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আলিপুরের সেনা হাসপাতাল তথা কমান্ড হাসপাতালের এক চিকিৎসক সহ তিনজনের শরীরে নোভেল করোনা মিলেছে। রাজ্যে এই প্রথম কোনও চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হলেন। ৫২ বছর বয়সি ওই চিকিৎসক একজন অ্যানাসথেটিস্ট। সম্প্রতি দিল্লি গিয়েছিলেন। ১৬ মার্চ শহরে ফেরেন। ১৭ মার্চ হাসপাতালের কাজে যোগ দেন। ২১ পর্যন্ত নিয়মিত কাজ করেছেন। ২৪ মার্চ থেকেই সর্দি, জ্বরের সঙ্গে শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা যায় তাঁর। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার পরও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় তাঁর থুতুর নমুনা পাঠানো হয় নাইসেডে। রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
দ্বিতীয় আক্রান্ত একজন বৃদ্ধ। তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তাঁরও। তিনি বরানগর এলাকার বাসিন্দা এবং একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। মধ্যপ্রদেশে থেকে আসা তাঁর ভাই ইতিমধ্যেই অন্য রোগ নিয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। তাঁকে তড়িঘড়ি আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। আজ তাঁরও নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। আক্রান্ত তৃতীয় ব্যক্তি শেওড়াফুলির বাসিন্দা। তিনি দুর্গাপুরে যাতায়াত করেছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এঁরা বহু মানুষের সংস্পর্শে এসেছিলেন। সেই তথ্য জোগাড়েরও চেষ্টা চলছে।
স্বাস্থ্যভবনের সন্ধ্যার বুলেটিন অনুযায়ী, গোটা রাজ্যের ৪৭ হাজার ১৩০ জনকে গৃহবন্দি রাখা হয়েছে। ৪৫৭ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ঝাড়গ্রামে বাড়ির মালিক পানীয় জল বন্ধ করে দেওয়ায় এদিন ভাড়া বাড়ি ছাড়েন জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের এক নার্স। লকডাউনের সময় ওই নার্সকে বাড়ি ছেড়ে অন্য বাড়িতে ভাড়া থাকার কথা বলেন বাড়ির মালিক, এমনই অভিযোগ। বাড়ির মালিক ঝর্না নামাতা নায়েক বলেন, রিম্পাকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে থাকতে বলেছিলাম। কিন্তু মিথ্যা অভিযোগ করে পুলিস এনে আমাকে হেনস্তা করল।