দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, করুণাময়ী কালীমন্দিরে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান, বিয়ের আয়োজন সহ একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন একটি পরিবারের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান, অন্য একটি অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। টালিগঞ্জের পূর্ব পুঁটিয়ারি ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা একটি পরিবারের সেখানে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান চলছিল। সেখানেই সেই পরিবারের অনেক বন্ধুবান্ধব-আত্মীয়রা এসেছিলেন। এদিন দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর ওই পরিবারের বেশ কয়েকটি কিশোরী মেয়ে মন্দির সংলগ্ন চত্বরে খেলা করছিল। পূর্ব পুঁটিয়ারির বাসিন্দা রাজীব বসু বলেন, আমার দাদুর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান ছিল। ওই মন্দিরে অন্য একটি পরিবারের অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠানও চলছিল। আমাদের পরিবারের পাঁচজন মেয়ে মন্দির সংলগ্ন অংশে লুকোচুরি খেলছিল। দুপুর আড়াইটে নাগাদ খাওয়াপর্ব শেষে আমার শ্যালিকা মেয়েদের ডাকতে গিয়ে দেখে, চারজন নেই। আমার শ্যালিকা খোঁজ করতে গিয়ে জানতে পারে, একজন লোক এসে আমাদের মেয়েদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলতে চাইছিল। কিন্তু মেয়েরা রাজি হচ্ছিল না। ওই লোকটি নিজে থেকেই মেয়েদের মধ্যে ঢুকে পড়তে চাইছিল। এরপরই চারজন মেয়েকে ওই ব্যক্তি বলে, এমন একটি জায়গায় সে লুকিয়ে দেবে, কেউ খুঁজে পাবে না। এরপরই ওই ব্যক্তি চারজন মেয়েকে নিয়ে করুণাময়ী মন্দিরের পিছন দিকের একটি গেটে নিয়ে যায়। ওই গেটটি অনেকেই জানেন না। গেটটি দিয়ে সোজা আদি গঙ্গার দিকে যাওয়া যায়। আমার বাবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের উপাচার ওই গেট দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম বলে জানতাম। এদিকে, শ্যালিকা চিৎকারে সবাই ছুটে আসে এবং মন্দিরের বড় গেট দিয়ে বেরিয়ে ছুটতে থাকে। এরপরই আমাদের নজরে আসে, করুণাময়ী সেতুর মুখে সিগন্যাল পোস্টের সামনে থেকে ওই ব্যক্তি চারজনকে নিয়ে যাচ্ছে। তখনই আমরা ছুটে গিয়ে চারটি মেয়ে ওই ব্যক্তির হাত থেকে উদ্ধার করি। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে ট্রাফিক পুলিসের সার্জেন্টরা ছুটে আসেন। খবর যায় হরিদেবপুর থানায়। তারপর পুলিস এসে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।