দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত চালকের নাম কার্তিক ঘোষ(৪০)। তাঁর বাড়ি হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে। গত ১৭ বছর ধরে তিনি সরকারি অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎক শ্যামাপদ দাসের গাড়ি চালাতেন। চিকিৎসকের একটি বাড়ি রয়েছে নিমতার সেবাদল পাড়ায়। সেখানেই থাকতেন গাড়ির চালক কার্তিক। চিকিৎসক থাকেন কলকাতার অন্যত্র। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা থেকে কার্তিকের ফোন সুইচ অফ পাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী শম্পাদেবী। ফোন অফ পেয়ে রাতেই তিনি চলে আসেন নিমতায়। তিনি বাড়ির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পান। ডাকাডাকির পরেও স্বামী সাড়া না দেওয়ায় খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। পুলিস এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। দেখা যায়, সিঁড়ির রেলিংয়ে গলায় দড়ি নিয়ে ঝুলছেন গাড়ির চালক। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
মৃতার স্ত্রী শম্পাদেবী বলেন, স্বামীর সঙ্গে চিকিৎসকের পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। নিমতার এই বাড়িটি স্বামীকে লিখে দেবেন বলে চিকিৎসক জানিয়েছিলেন। এটা জানতে পেরেই চিকিৎসকের অন্যান্য আত্মীয়রা স্বামীকে হুমকি দিচ্ছিল। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। স্বামী আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে খুন করার পর ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নিমতা থানার পুলিস জানিয়েছে, বাড়ির দরজা ভেতর থেকেই বন্ধ ছিল। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, এটা আত্মহত্যার ঘটনা। তবে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।