দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
এদিন সকালে কেআইটি মার্কেটে মহম্মদ কাজিম আলির খাসির মাংসের দোকান থেকে ক্যারিব্যাগে মাংস কিনছিলেন আলিপুর রোডের বাসিন্দা কাজল পুরকায়েত। মেয়র বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাঁর সামনে গিয়ে হাতজোড় করে বলেন, দিদি, প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করবেন না। বাজারের থলে নিয়ে বাজারে আসবেন। একইভাবে কাজিমকেও মেয়র অনুরোধ জানালেন, প্লাস্টিক ক্যরিব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করুন। কাজল পুরকায়েত বললেন, একজন মেয়র আমার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। আমরাও চাই প্লাস্টিকমুক্ত সমাজ হোক। কাজিমের বক্তব্য, উনি শহরের মেয়র, কিন্তু আমাদের প্রিয় ববিদা। উনি কিছু বললে তা কখনও ফেলতে পারিনি। আজও তা উপেক্ষা করার সাহস আমাদের নেই।
মেয়র এরপর সব্জি বাজারে যান। সেখানে তিনি দেখেন, একটি সব্জির দোকান থেকে মালপত্র কিনছেন চেতলার শঙ্কর বোস রোডের বাসিন্দা প্রদীপ ঠাকুর। দোকানের ব্যবসায়ী তখন শাকসব্জি একটি প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগে ভরে দিচ্ছিলেন। মেয়র তা দেখে একটি কাপড়ের থলি দিয়ে রামকে বললেন, প্লাস্টিক বর্জন করুন। পরিবেশ সুস্থ রাখুন। তা শুনে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ থেকে সব সব্জি চটের ব্যাগে ভরলেন ওই ব্যবসায়ী। ক্রেতা প্রদীপ ঠাকুর বললেন, শহরের মেয়র যদি এইভাবে রাস্তায় নেমে প্লাস্টিক ব্যবহার করতে নিষেধ করেন, আমরা কেন শুনব না। উনি তো আর নিজের জন্য বলছেন না, আমাদের সকলের ভালোর জন্য বলছেন।
এভাবেই চেতলা কেআইটি মার্কটের দোকানদার এবং ক্রেতাদের কাছে গিয়ে মেয়র প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহার না করার আর্জি জানান। বলেন, বিকল্প কাপড়ের ব্যাগ পেতে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য একটি ঘর থাকবে কেআইটি মার্কেটে। ঘরটি পাবে রক্ষা ফাউন্ডেশন। এই সংগঠনটি দীর্ঘদিন প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করা নিয়ে কাজ করছে। পাঁচ টাকায় একটি কাপড়ের থলি পাওয়া যাবে ওই ঘর থেকে।
প্লাস্টিক বিরোধী কর্মসূচির পরই জঞ্জাল-আবর্জনা সাফাই অভিযানে নামেন মেয়র। চেতলা, গোপালনগর, চেতলা হাট রোড, আম্বেদকর কলোনি, রাখাল দাস আঢ্যি রোডে ঘোরেন তিনি। বেলচা দিয়ে আবর্জনাও তোলেন। বাসিন্দাদের অনুরোধ করেন, যত্রতত্র আবর্জনা ফেলবেন না। সকালে পুরসভার ময়লার গাড়ি এলে সেখানে আবর্জনা ফেলুন। কর্মসূচির শেষে মেয়র বলেন, এই কাজ একদিনের নয়। সাধারণ মানুষকে সচেতন করার প্রয়াস লাগাতার চালিয়ে যেতে হবে।