দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে শিয়ালদহ কোর্ট থেকে চতুর্থ সিভিল কোর্ট স্থানান্তরিত হয় বারাকপুর মহকুমা আদালতে। রেকর্ডপত্র বস্তাবন্দি করে শিয়ালদহ থেকে বারাকপুরে নিয়ে আসা হয়। সিভিল কোর্টের বিচারক চিরশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় বারাকপুর মহকুমা আদালতে এজলাস চালাচ্ছেন। তবে বিচারপ্রার্থীদের অভিযোগ, শিয়ালদহ থেকে নিয়ে আসা রেকর্ডপত্র বস্তাবন্দিই রয়েছে। সেগুলি খোলা হয়নি। নতুন যে মামলা এখানে হয়েছে। সেগুলিরই বিচার চলছে। পুরনো মামলাগুলির বিচার হচ্ছে না। আদালতে লোকবলের অভাব। বস্তা খুলে রেকর্ড বের করা হচ্ছে না। এ নিয়ে বিচারকও ক্ষুব্ধ রয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিচারপ্রার্থী বলেন, ২০০৪ সালের মামলা। সেই মামলার রেকর্ডপত্র বস্তাবন্দি থাকায় বিচার হচ্ছে না।
বারাকপুরে মহকুমা প্রশাসনিক ভবনের সামনে ঝাঁ চকচকে গড়ে উঠেছে বারাকপুর মহকুমা আদালতের নতুন প্রশাসনিক ভবন। এক বছর আগে কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। তিনতলা ভবনের উপরের দুই তলায় ১৬টি কোর্ট রুম। কোনটা কোন কোর্ট, তাও ঠিক হয়ে গিয়েছে। প্রত্যেক কোর্টরুমের সঙ্গে অফিসঘর, বিচারকের ঘর, স্টোনোরুম রয়েছে। সব ঘরই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। ছ’মাসের বেশি হল এসি বসানো হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগও দেওয়া হয়েছে। নিচতলায় রয়েছে লকআপ, জিআর সেকশন, ভেন্ডার রুম। কেবল আসবাবপত্র নেই। সূত্রে জানা গিয়েছে, আসবাব না থাকার কারণে নতুন ভবনে বারাকপুর মহকুমা আদালতকে স্থানান্তরিত করা যাচ্ছে না।
নতুন ভবনে আদালতকে স্থানান্তরিত করার দাবিতে গত শুক্র ও শনিবার আইনজীবীরা অবস্থান করেছেন। আদালত চত্বরে পোস্টার লিখে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আইনজীবীরা জানান, আগামী মঙ্গলবার একটি বৈঠক হবে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরবর্তী আন্দোলনের রূপরেখা।
বারাকপুর থানার সামনে ঘিঞ্জি এলাকার মধ্যে রয়েছে মহকুমা আদালত। বহু পুরনো এই আদালত ভবনের অনেক ঘরে ছাদ ও দেওয়ালের চাঙড় খসে পড়ছে। বাম জমানায় ২০০৭ সালে নতুন আদালত ভবনের শিলান্যাস হয়। কিছুটা কাজ হওয়ার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে নতুন আদালত ভবনের কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য ১০ কোটি ৩৭ লক্ষ বরাদ্দ হয়। ওই টাকায় ভবনের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে ঝাঁ চকচকে হয়ে উঠেছে।
আইনজীবীদের এই আন্দোলনের জেরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা আদালতের এক বিচারক আগামী সপ্তাহে বারাকপুর আদালতের নতুন ভবন পরিদর্শনে আসতে পারেন। বারাকপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশান্ত রায় বলেন, আইনজীবীরা আন্দোলন করছেন। আমরা রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি, যাতে নতুন ভবনে বারাকপুর মহকুমা আদালত স্থানান্তরিত হয়। তিনি বলেন, শিয়ালদহ কোর্ট থেকে চতুর্থ সিভিল কোর্ট এখানে এসেছে। রেকর্ডপত্র বস্তাবন্দি। সেকারণে বিচার প্রক্রিয়ায় সমস্যা হচ্ছে। রেকর্ডপত্র বস্তাবন্দি রয়েছে, নতুন ভবনে স্থানান্তরের কারণেই।