দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
গত শুক্রবার দুপুরে হালিশহর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার ভাগাড়ে থাকা একটি পরিত্যক্ত জলের ট্যাঙ্ক থেকে অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোবাইল উদ্ধার করেছিল পুলিস। ওই মোবাইলের সূত্র ধরেই বীজপুর থানার পুলিস ঘটনার তদন্তে নামে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম মিলন খাঁ। তাঁর বাড়ি বর্ধমানের ধানতলা কাঞ্চননগরে। বছর কুড়ির ওই যুবকের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপ হয়েছিল হালিশহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর পল্লির গৃহবধূ সোনালী হালদারের। ফেসবুক থেকে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায়শই ওই যুবক হালিশহরে আসত। গৃহবধূর সঙ্গে দেখা করত যুবকটি। এদিকে স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পারে সোনালীর স্বামী সৌমিত্র হালদার। সে পেশায় শ্রমিক। স্ত্রী ও যুবককে একাধিকবার বারণও করেছিল সে। কিন্তু তবু তাদের সম্পর্ক চলছিল। পুলিস সূত্রের খবর, গত ২৬ নভেম্বর মিলনকে ফোন করে হালিশহরে ডাকে সৌমিত্র। লক্ষ্মীনারায়ণপুর পল্লির সংলগ্ন এলাকায় হালিশহরের ভাগাড়টি। রাতে মিলনকে এক দিকে ডেকে নিয়ে যায় সৌমিত্র। সেখানে তার স্ত্রীও ছিল। দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সেই সময়ই সৌমিত্র মিলনকে গলা টিপে খুন করে বলে অভিযোগ। এরপরেই মৃতদেহ ভাগাড়ের জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয়।
চারদিন পর জলের ট্যাঙ্ক থেকে মিলনের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিস। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রীর প্রেমিককে খুনের পর সৌমিত্র বাড়িতেই ছিল। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই স্বাভাবিক জীবন যাপন করছিল। তারা কোথাও পালিয়ে যায়নি। যুবকের ফোনের কললিস্ট পাওয়ার প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ওই গৃহবধূকে। তার কাছ থেকে পুরো ঘটনা জানার পর আটক করা হয় তারই স্বামীকে। পরে দুজনেকেই গ্রেপ্তার করা হয়। বীজপুর থানার পুলিস জানিয়েছে, জলের ট্যাঙ্কে থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের সময়েই পুলিস খুনের সন্দেহ করেছিল। ঘটনার তদন্তে নেমে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃত দম্পতি এখন জেল হেফাজতে।