বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
তবে একটি বিশ্বকাপে সর্বাধিক শতরানের (৫) মালিক রহিত শর্মার প্রশংসা করেছেন শচীন। তাঁর বক্তব্য, ‘অনেক বছর আগে কিরণ মোরের মুখে প্রথম রহিতের নাম শুনি। মোরে বলেছিল, এই ছেলেটির ব্যাটের স্যুইং দুর্দান্ত। এর উপর নজর রেখো। ঠিকই বলেছিল মোরে। এখনও পর্যন্ত রহিতের সাফল্যের চাবিকাঠি ওর ব্যাটের স্যুইংই। পেন্ডুলামের মতো ব্যাটকে ব্যবহার করে রহিত প্রতিপক্ষের তাবড় তাবড় বোলারদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।’
ক্রিকেট শেখার শুরুর দিনে বোলার হওয়ার লক্ষ্য ছিল রহিতের। কিন্তু কোচের পরামর্শে ব্যাটিংয়ে মনোনিবেশ করে ও। বাকিটা এখন ইতিহাস। এই প্রসঙ্গে শচীনকে বলতে শোনা যায়, ‘রহিত ব্যাটসম্যান হওয়ায় লাভ হয়েছে ক্রিকেটের। এই মুহূর্তে ওই একদিনের ফরম্যাটে সেরা ব্যাটসম্যান। আর এর জন্য রহিতের কোচের দূরদর্শিতাকে বাহবা জানাতেই হবে।’ চলতি বিশ্বকাপে দলের স্বার্থে নিজের ব্যাটিংকে বেশ খানিকটা বদল এনেছেন রহিত। শুধুই মারকাটারি নয়, প্রয়োজন অনুযায়ী স্থিতধী রূপও ধরতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। উইকেটের চারদিকে স্ট্রোক নেওয়ার সময় এখন অনেক পরিণত রহিত। এই প্রসঙ্গে শচীনের বিশ্লেষণ, ‘শেষ ছ’বছরে ব্যাটিং পরিকাঠামোয় পরিবর্তন এনেছে রহিত। সমালোচকদের বিদ্রুপ সত্ত্বেও ফোকাস নড়েনি ওর। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচের শুরুতে টাইমিংয়ে সমস্যা হচ্ছিল রহিতের। কিন্তু হাল ছাড়েনি। ধৈর্য ধরে উইকেটে পড়ে থেকে ছন্দ খুঁজে নিয়েছে। ইস্পাত কঠিন মানসিকতার জন্যই এখন অনেক ধারাবাহিক ভারতীয় দলের ওপেনারটি। এখনও ব্যাট করতে নামার আগে ও নিজেকে বলে, ‘এটাই আমার প্রথম ম্যাচ।’ এটাই ওর সম্পদ।’