উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
এবার নির্বাচনে প্রতিবন্ধী ভোটারদের ভোটদান নিশ্চিত করতে মরিয়া ছিল কমিশন। প্রতিবন্ধী ভোটারদের নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার, হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা, প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ অ্যাপ সহ সবরকম ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু বাস্তবে এসব উদ্যোগ কতটা ফলপ্রসু হল তা খতিয়ে দেখতে চাইছে কমিশন। অন্যদিকে, বীরভূম জেলা প্রশাসন প্রতিবন্ধীদের সুবিধার জন্য ১৮০০টি হুইল চেয়ার সংগ্রহ করেছিল, যা এই জেলায় কাজে লেগেছে। পাশের জেলাকেও হুইল চেয়ার দিয়ে সাহায্য করেছে বীরভূম।
জেলা নির্বাচনী আধিকারিক তথা জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, কত সংখ্যক প্রতিবন্ধী ভোটার ভোটদান করেছেন সেই রিপোর্ট কমিশন চেয়েছে। আমরা বুথ সহায়িকার মাধ্যমে সেই রিপোর্ট সংগ্রহ করছি। দ্রুত সেই রিপোর্ট কমিশনে জমা করা হবে। আমরা ১৮০০টি হুইল চেয়ার সংগ্রহ করেছিলাম, আমাদের জেলার ভোটে তা কাজে লেগেছে। হুগলি, ঝাড়গ্রাম জেলাকেও আমরা হুইল চেয়ার দিয়ে সাহায্য করেছি।
বছরখানেক আগে থেকেই লোকসভা নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এবার নির্বাচনকে অ্যাক্সেসেবল নির্বাচন নাম দিয়ে কোনও ভোটই যেন বাদ না যায় এই স্লোগান তুলেছিল তারা। তাদের বিশেষ নজর ছিল প্রতিবন্ধী ভোটারদের দিকে। কারণ দেশের লক্ষ লক্ষ প্রতিবন্ধী ভোটার ভোট দিতে পারতেন না। বিষয়টি মাথায় রেখে কমিশন লোকসভা ভোটের পোস্টারে কৃতী প্রতিবন্ধীর ছবিও দেওয়া হয়। বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচার করা হয়। পাশাপাশি ইভিএমে ভোটদানের প্রশিক্ষণ দেয় কমিশন। এমনকী, ভোটকেন্দ্রে যাতে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের কোনও সমস্যা না হয় সেজন্যও হুইল চেয়ার রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এসব উদ্যোগ প্রতিবন্ধীদের ভোট কেন্দ্র আনতে পারল কিনা, প্রতিটি জেলা কমিশনের নির্দেশ মেনেছে কিনা তা দেখতে চাইছে কমিশন। তাই প্রতিবন্ধীদের ভোটদানের বিস্তারিত রিপোর্ট তারা তলব করেছে। তাই গণনার প্রস্তুতির পাশাপাশি এই সংক্রান্ত রিপোর্টও দ্রুত তৈরির কাজ চলছে।
তবে প্রতিবন্ধীদের ভোটদানের ক্ষেত্রে বীরভূম জেলার প্রস্তুতি বেশ কিছুটা এগিয়ে ছিল। জেলা প্রশাসনের কাছে প্রতিবন্ধীদের অবস্থান সহ একটি বিস্তারিত ডেটাবেস ছিল। যা থেকেই তারা সহজেই কোন বুথে কত প্রতিবন্ধী ভোটার রয়েছে তা চিহ্নিত করে। এমনকী বিধানসভাভিত্তিক কতগুলি বুথে কী ধরনের প্রতিবন্ধী রয়েছে তাও চিহ্নিত করে নেয়। জেলার ৭১১টি বুথে দশজনের অধিক প্রতিবন্ধী ভোটার ছিল। ৫০০টি বুথে কোনও প্রতিবন্ধী ভোটার ছিল না। প্রয়োজনের ভিত্তিতে ৩০২১টি বুথের জন্য ১৮০০টি হুইল চেয়ার প্রস্তুত রাখে প্রশাসন। এছাড়াও জেলার কৃতি প্রতিবন্ধীদের দিয়ে ভোটদান করার জন্য প্রচারও চালানো হয়েছে।