শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
এই আন্তর্জাতিক মঞ্চকে ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদ যেভাবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে, সেবিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। এদিন মোদী বলেন, বিশ্বব্যাপী শান্তি ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদ অন্যতম চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে সব দেশকে এক হতে হবে। জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক নষ্ট করতে এবং তাদের আর্থিক সহযোগিতার সমস্ত রাস্তা বন্ধ করতে এবং জঙ্গি ভাবধারা ও পরিকল্পনা সমূলে বিনাশ করতে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে সবাইকে। তাই যারা মানবিকতায় বিশ্বাসী, তাদের একত্রিত হওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে।
শুক্রবার পুরস্কার গ্রহণের পর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নাম না করে পাকিস্তানকেও একহাত নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর কথায়, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো ভারতও সীমান্ত সন্ত্রাসের শিকার। এর ফলে বারবার দেশের শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে। মোদির সংযোজন, বিগত ৪০ বছর ধরে আমাদের দেশ এই সমস্যার মুখোমুখি। এখন একাধিক দেশও একই সমস্যার সম্মুখীন। উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল পুলিস এজেন্সি একটি মউ সাক্ষর করেছে।
সিওলে মোদি আরও বলেন, ভারতের উন্নতি শুধু ভারতবাসীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, সারা বিশ্বের মানুষ এর ফলে উপকৃত হবেন। দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি আন্তর্জাতিকস্তরে সার্বিক অগ্রগতিতেও সহযোগিতা করবে। সেই সঙ্গে আবহাওয়া পরিবর্তন, কার্বনের ব্যবহার কমানো সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নয়াদিল্লির সদর্থক ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
দু’দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি মুন জে-ইনের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন। এই বৈঠকে ব্যবসা, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা, শক্তি, মহাকাশ বিজ্ঞান সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এই বিষয়গুলি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে মোট ৬টি চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছেন।