Bartaman Patrika
সাপ্তাহিক বর্তমান
 

রহস্য মুক্তি পোস্টমর্টেমে!

শুধুই মৃতদেহ কাটাছেঁড়া নয়, অপরাধীকে চিহ্নিত করতে জরুরি হয়ে পড়ে পারিপার্শ্বিক প্রমাণও। জানাচ্ছেন প্রবীণ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডাঃ অজয় গুপ্ত

ফরেনসিক এক্সপার্ট হিসেবে চিকিত্‍সক চন্দন সেন, চিকিত্‍সক সুশীল পালের পোস্টমর্টেম আপনিই করেছিলেন। আর আপনার করা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের কারণে সেই সময় আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল!
ডাঃ চন্দন সেন আর সুশীল পালের ঘটনার মধ্যে সময়ের ব্যবধান ছিল খুব কম। ২০০৩ সালে ঘটে ডাঃ চন্দন সেনের ঘটনাটি। পরের বছর ঘটে ডাঃ সুশীল পালের ঘটনা। ডাঃ চন্দন সেন রাণাঘাট হাসপাতালে সার্জেন হিসেবে কাজ করতেন। ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের এক রাতে হাসপাতালেরই এক কর্মীর বাড়িতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছিলেন। আর সেই কর্মীর বাড়ির পাশে পুকুরেই তাঁর মৃতদেহ ভেসে উঠতে দেখা যায়! আর ২০০৪ সালের জুলাই মাসের প্রথমদিকের কথা। হাওড়ার বাগনানের কাছে সরস্বতী খালে একটি মৃতদেহ ভেসে উঠতে দেখা যায়। পুলিস আমার কাছে সেই মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে ময়নাতদন্তের জন্য। মৃতদেহ নিয়ে যে পুলিস অফিসার এসেছিলেন, তিনি আমাকে জানান, মৃতদেহের পকেটে থাকা মানিব্যাগ থেকে ভিজিটিং কার্ড মিলেছে। ভিজিটিং কার্ডে লেখা আছে ডাঃ সুশীল পাল।

ডাঃ চন্দন সেনের মৃত্যু ও আপনার করা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
হ্যাঁ। অভিযুক্তদের দাবি ছিল ডাঃ সেন পুকুরের ধারে সিগারেট ধরাতে গিয়ে মদের নেশার ঘোরে পুকুরে পড়ে মারা গিয়েছেন। ডাঃ সেনের মৃত্যু হয়েছে জলে ডুবেই। আমার করা রিপোর্ট নিয়ে তাদের বক্তব্য ছিল, জলে ডোবার একটা সাধারণ দুর্ঘটনাকে আমি মার্ডার হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি! অথচ কেউ পুকুরে ডুবে গেলে রেসপিরেটরি ট্র্যাক্টে বা শ্বাসনালীতে জল থাকার কথা। জল ঢুকেই শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়! অর্থাৎ পোস্টমর্টেমে ট্রাকিয়া বা শ্বাসনালীতে জল পাওয়া যাবে। আর যদি কেউ গলা টিপে বা তার পেঁচিয়ে অথবা যে কোনওরকমভাবে নাক-মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে থাকে, সেক্ষেত্রেও পোস্টমর্টেমে গলায় রক্ত পাওয়া যাবে! কিন্তু, গলায় রক্ত পাওয়া গেল না। আবার শ্বাসনালীতে পুকুরের জল, কাদাও মিলল না! অর্থাৎ ডাক্তার সেনকে গলায় চাপ প্রয়োগ করে শ্বাসরোধ করা হয়নি। আবার জলে ডুবেও তাঁর শ্বাসরোধ হয়নি। তাহলে? শ্বাসরোধ হল কীভাবে? তাছাড়া শরীরে একাধিক জায়গায় কালশিটে মিলল কেন! নিশ্চয় একাধিক ব্যক্তি বলপ্রয়োগ করেছিল। আর খাবারের প্যাকেট দিয়ে আরও একজন ব্যক্তি ডাক্তারবাবুর মাথা ও মুখ চেপে ধরেছিল! তারপর প্লাস্টিক ব্যাগের হ্যান্ডেল দুটো ধরে ফাঁস দেওয়ার কারণে ঘাড়ের কাছে, গলার দু’পাশে লম্বা কিন্তু সরু কালশিটে পড়ে গিয়েছিল!

ডাঃ সুশীল পালের পোস্টমর্টেমের কথা শুনে মনে হয়েছিল, খুনের রহস্য উন্মোচনে মৃতের পোশাক খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ?
নিশ্চয়। পোশাক থেকেই বহুসূত্র আবিষ্কার করা যায়। পোশাক থেকে স্টিচলাইনে কতটা ফোর্স পড়েছে, তা জানা সম্ভব! তা থেকেও মৃত্যুর আগে পর্যন্ত  কী কী ঘটনা ঘটেছে সেটাও বোঝা যায়। সবটাই হয় গাইডলাইন মেনে। ডাঃ সুশীল পালের ক্ষেত্রে যেমন দেখা গিয়েছিল শার্টের বোতামের ঘরগুলো বেশ বড় হয়ে গেছে। বোতাম ছেঁড়াও রয়েছে। এমনকী জামার কিছু জায়গায় সেলাই বেশ আলগা হয়েও আছে! সাধারণত একাধিক লোকের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হলেই জামার হাল এমন হয়। আবার মৃতের পোশাকের ভিতরেও এমন কোনও ছোট্ট জিনিসও থাকতে পারে যা খুনির কাছে পুলিসকে পৌঁছতে সাহায্য করতে পারে। ডাঃ পালের পরনের প্যান্টের স্টিচ লাইন বের করতেই দেখা গেল, স্টিচলাইনের ভিতরে একটা ছোট্ট লুকনো পকেট রয়েছে। সেখানে থেকে বেরল সিকো গোল্ডেন ওয়াচ। আসলে ডাঃ পাল একজন গাইনিকোলজিস্ট ছিলেন। স্ত্রীরোগের চিকিৎসকদের মাঝেমধ্যেই আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ডাক আসে হাসপাতাল, নার্সিংহোম থেকে। তাঁদের ছোটখাট অনেক ধরনের অপারেশন করতে হয়। তাই হাসপাতাল থেকে ডাক এলে তাঁরা ওটিতে ঢোকার আগে আংটি, ঘড়ি পকেটের ভিতরে অ্যান্টি পকেটে ঢুকিয়ে রাখেন। 
অর্থাত্‍ ডাঃ  পাল, খুন হওয়ার আগে অপারেশন করার জন্যই হাতের ঘড়ি খুলে অ্যান্টি পকেটে ঢুকিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু আর ঘড়ি পরার সুযোগ পাননি! তত্‍কালীন পুলিস অফিসারদের জানিয়েছিলাম, সম্ভবত তিনি কোনও একটি নার্সিংহোম বা হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানে একটা অপারেশন করার জন্য তৈরি হয়েছিলেন। কিন্তু অপারেশন করতে পারেননি। অথবা অপারেশন থিয়েটারেই কোনও একটা ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার কারণেই সম্ভবত ওই নার্সিংহোমে ওঁর মৃত্যু হয়। ওঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন আছে! আরও বলেছিলাম, ডাঃ পালের নিথর দেহ সরস্বতী খাল থেকে উদ্ধার হলেও, ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে বালি ব্রিজের নীচ থেকে। সম্ভবত বালিতেই রয়েছে সেই নার্সিংহোম। এরপর খুব দ্রুত ওই নার্সিংহোম চিহ্নিত হয়। খুনিরাও ধরা পড়ে।

মৃতদেহের ডিসেকশনের সময় কী কী বিষয় খেয়াল রাখতে হয়?
এক কথায় সব কিছু। মাথার চুল থেকে পায়ের নখ অবধি। এমনকী যে ব্যক্তি মারা গিয়েছেন তিনি কীভাবে শায়িত ছিলেন, পাশ ফিরে হলে কোনদিকে, উপুড় হয়ে নাকি চিত্‍ হয়ে। মৃতের হাত শরীরের মিড লাইন থেকে কতটা দূরে রয়েছে তা দেখতে হয়। মৃতের শরীরে একটা বোতাম পাওয়া গেলে সেই বোতাম কোথায় কীভাবে ছিল তারও নোট রাখতে হয়। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়ও অপরাধীর কাছ পর্যন্ত পৌঁছতে সাহায্য করে। খুব সামান্য বিষয়েরও ফরেনসিকে বিপুল গুরুত্ব রয়েছে। কেন ছোট ছোট বিষয়গুলি বোঝার দরকার পড়ে? ধরা যাক পিছন থেকে কোনও ব্যক্তিকে গুলি করা হল। ঠিক গুলি করার আগে তিনি ঘাড় ঘুরিয়ে খুনির দিকে তাকিয়েছিলেন আর একটা হাত তুলে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। সেক্ষেত্রে মৃত্যুর পরে তাঁর হাতের অবস্থান যেমন হবে, তেমনটি হবে না বাধাহীনভাবে মারা গেলে।
ডিসেকশনের কথা বরং একটা উদাহরণ দিয়ে বলি। ধরা যাক একজন ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া গেল পিঠে গুলিবিদ্ধ অবস্থায়। মৃতদেহ এল ময়নাতদন্তের জন্য। দেখা গেল আগ্নেয়াস্ত্র থেকে বেরনো বুলেট পিঠের পাঁজরের দুটি হাড়ের মধ্যে দিয়ে ঢুকেছে। এক্ষেত্রে দেখতে হবে এই বুলেট কি শরীরের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে? নাকি সামনে গিয়ে আটকে আছে? ১২টি পাঁজরার মধ্যে কোন জায়গায় বুলেট আছে? বুলেট কি বেরিয়ে হাতে লেগেছে? ত্বকে পোড়ার ভাগ কতখানি, আগ্নেয়াস্ত্র থেকে বেরনো ধোঁয়া থেকে ত্বকে কেমন প্রভাব পড়েছে ইত্যাদি।
এমন নানা ছোট ছোট প্রশ্ন এবং তার থেকে বেরিয়ে আসা উত্তর থেকেই জানা যায় কত কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্রটি নিয়মিত ব্যবহার করা হতো কি না, আগ্নেয়াস্ত্র কমজোরি ছিল নাকি শক্তিশালী ইত্যাদি। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর সম্ভাব্য অপরাধী সম্পর্কে তথ্যের জোগান দেয়।

আচ্ছা এমনও তো হয় যে খুন করা হয়েছে এক জায়গায় আর তারপর দেহ অন্য জায়গায় এনে সাজিয়ে রাখা হয়েছে? দুর্ঘটনা বা আত্মহত্যার রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে?
•• অপরাধী যতই খুন লুকোনোর চেষ্টা করুক, প্রমাণ থাকবেই। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও হয়। খুনের সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি যুক্ত থাকলে  মাথা বেশি খাটায় তারা। বেশি বেশি প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে! সেসব চেষ্টাও ধরা পড়ে যায়। অনেকসময় হয়তো দেখা যায় খুনি একজন ব্যক্তির গলায় গুলি চালিয়ে তাকে রেললাইনে ফেলে দিয়ে চলে এল। যেন গলার উপর দিয়ে ট্রেনের চাকা চলে গেলে খুনের সব প্রমাণ লোপাট হয়ে যাবে! হাড়গোড়ও গুঁড়ো হয়ে যাবে! কিছুই আর বোঝা যাবে না! এমনটা হয় না। প্রমাণ থাকেই। এমন ক্ষেত্রে শুধু মৃতদেহ নয়, তার সঙ্গে আশপাশে কী কী জিনিস পড়ে আছে তার দিকেও নজর দিতে হয়। ছবি তুলতে হয়। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে হয় আশপাশ। আশপাশে পড়ে থাকা নানা বিষয়ে নজর দিলেই প্রকৃত ঘটনা বোঝা সম্ভব হয়। 
একটা ঘটনার কথা মনে পড়ছে। ঘটনাটা পুরুলিয়ার। আমি ময়নাতদন্ত করিনি। মতামত দিয়েছিলাম। আপাতভাবে ঘটনাটি একটি ট্রেনের সঙ্গে গাড়ির ধাক্কা ও গাড়িচালকের ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ে মৃত্যুর। তবে প্রকৃত ঘটনা কি সত্যিই তাই ছিল? ৩ বছর পর, কোর্টের অর্ডারে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে ঘটনাটির পুনরায় পর্যবেক্ষণ করি। প্রাথমিকভাবে শোনা যায়, পাহারাহীন, রেলিংহীন লেভেল ক্রসিং-এ একটা গাড়ি উঠে এসেছিল রেললাইনে। ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে সেই গাড়ির। গাড়ির ভিতরে একজন ডাক্তার ছিলেন! তিনিই রেলে কাটা পড়েন। এখন প্রশ্ন হল, যে চিকিত্‍সকের মৃতদেহ মিলল, তিনি কি ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেলেন নাকি তাকে আগে খুন করা হয়েছিল? আদৌ তিনি গাড়ির ভিতরে ছিলেন? নাকি রেললাইনে গাড়ি একজায়গায় রাখা হয়েছিল আর খুন করার পর ডাক্তারবাবুর বডি এক জায়গায়? কেন এমন প্রশ্ন উঠছে? কারণ, মৃতদেহের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল।
ড্রাইভার ও গার্ডের সঙ্গে কথা বলি। বোঝার চেষ্টা করি ধাক্কা লাগার আগে গাড়ির মুখ কোনদিকে ছিল। তার থেকেও অনেক প্রশ্নের উত্তর জানার কথা। পুলিস অফিসারদের সঙ্গে কথা বলি। পুরনো ছবি দেখি। তাতেই নজরে আসে অকুস্থলে রেললাইনের পাশে মাটিতে গাড়ির চাকার অদ্ভুত দাগ! ওই চাকার দাগেই বোঝা যায় ব্যাক গিয়ারে ফেলে গাড়িটাকে অপেক্ষাকৃত উঁচু রেললাইনে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন ব্যাক গিয়ারে গাড়ি চালানো হয়েছে? আসলে গাড়ি চালাতে পারেন এমন লোকেরা জানেন গাড়ির ব্যাক গিয়ার হল সবচাইতে শক্তিশালী গিয়ার। ঢালু কিন্তু উঁচু জায়গায় গাড়ি তুলতে হলে তাই ব্যাক গিয়ার ব্যবহার করেন ড্রাইভাররা! তা একজন ডাক্তারবাবু বেঁচে থাকা অবস্থায় কেন ব্যাক গিয়ায়ে দিয়ে গাড়ি নিয়ে রেললাইনে তুলবেন, তা বেশ ভাবনার বিষয় তাই না? অতএব প্রমাণ থাকে। নজর করে দেখতে হয়।  

 আজকাল ধর্ষণ এবং খুন অতিপরিচিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধর্ষণ হয়েছে তা বোঝার উপায় কী?
একেবারে প্রাথমিক বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত। যিনি মারা গিয়েছেন তাঁর বয়স কত? যেখানে মৃতদেহ পড়ে আছে, তার আশপাশে জিনিসপত্রের অবস্থা কেমন, বিছানায় কি ধস্তাধস্তির চিহ্ন আছে? এমন কোনও প্রমাণ কি বিছানার উপর আছে যাতে বোঝা যায় মৃতার উপর বলপ্রয়োগ হয়েছিল ঘৃণ্য উদ্দেশ্যে! শরীরে আঘাত আছে? সবকটি প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ হলে বোঝাই যাচ্ছে ঘটনা একটা ঘটেছে। এছাড়া ব্যক্তিগত অঙ্গ ও তার পাশ থেকে যে ফ্লুইড সংগ্রহ করা হয়েছে তা বিশ্লেষণের জন্য ল্যাবরেটেরিতে পাঠানো যায়। ডিএনএ অ্যানালিসিস করলেই বোঝা যাবে মূল ঘটনা। তাছাড়া একাধিক ব্যক্তি জড়িত ছিলেন কি না তাও জানা সম্ভব। 
এছাড়া যিনি অত্যাচারিত হচ্ছেন তার নখেও অত্যাচারী ব্যক্তির কোষ, কলা লেগে থাকার সম্ভাবনা থাকে। সেখান থেকেও ডিএনএ পরীক্ষা করা যেতে পারে। এমনকী দেহ, বিছানা থেকে নানা এনজাইমের পরীক্ষাও করা যায়। 

শোনা যায় ছাদ থেকে ফেলে দিলে নাকি খুন না আত্মহত্যা তা বোঝা যায় না। সত্যিই কি তাই?
ছাদ থেকে পড়ে যাওয়া বা ‘ফল ফ্রম এ হাইট’-এর কেসগুলো খুব গোলমেলে। এই জন্য এই ধরনের কেস-এ অনেক খুঁটিয়ে তদন্ত করা দরকার। কারণ কোনও ব্যক্তিকে অজ্ঞান করেও ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হতে পারে। আবার, ছাদ থেকে কেউ দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারেন। তবে যাই হোক না কেন, বিষয়টি খুন বা আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা তা বের করা যায়। ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুর বেশিরভাগ ঘটনাগুলির ক্ষেত্রেই দেখা যায় মৃতর পেটে বিষ আছে বা রয়েছে ঘুমের ওষুধ! অর্থাত্ ওই ব্যক্তিকে বিষ বা ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর তিনি যখন প্রায় অচেতন, তখনই তাকে ছাদে তুলে সেখান থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে! কারণ অতখানি বিষ বা ঘুমের ওষুধ খেয়ে নিজে নিজে ছাদে ওঠা যায় না। 
এই প্রসঙ্গে একটা অদ্ভুত ঘটনার কথা বলি। বহু দিন আগের কথা। এক মাড়োয়ারি মেয়ে গয়নাগাটি, জামাকাপড় বেছে রেখেছিলেন কোনও এক বিয়ের অনুষ্ঠানে যাবেন বলে। অনেকগুলো জামা একটার উপর একটা পরে পছন্দ করে রাখছিলেন। তার সঙ্গে যত গয়না ছিল সব পরেছিলেন হাতে, গলায়, কানে, নাকে...! সারা শরীরই প্রায় গয়নায় মোড়া হয়ে গিয়েছিল। সেই গয়না পরা নিয়ে নিজের বিপত্নীক বাবার কোনও একটা কথায় তার সম্মানে লাগে। মেয়েটি যেন কোথাও লুকিয়ে পড়ে। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। হঠাত্‍ই উপর থেকে ভারী কিছু একটা পড়ার শব্দ পাওয়া গেল। 
সবাই দৌড়ে গিয়ে দেখল মেয়েটি বাড়ির নীচে পড়ে আছে। তার মুখে জল দিতে তার সংজ্ঞা ফিরল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল। দেখা গেল গোড়ালি ভাঙা ছাড়া আর কোনও সমস্যা সেভাবে নেই! পুলিসে রিপোর্ট হয় ঘটনাটির। পুলিস ঘটনাটি বিশ্বাস করতে চায়নি। কারণ চার তলা থেকে পড়ে কেউ বাঁচবে কীভাবে? নিশ্চয় ছোটাছুটি করতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়েছে! তবু তদন্ত শুরু হল। তাতে দেখা গেল মেয়েটি ঝাঁপ দেওয়ার আগে গা থেকে গয়না খুলে ছাদে একজায়গায় রেখেছিল। আর যেখান থেকে ঝাঁপ দিয়েছিল বলে দাবি, সেখানকার শ্যাওলায় পায়ের ছাপও মিলেছে! তার মানে সে ঝাঁপ দিয়েছিল! তাহলে বাঁচল কী করে? এক্ষেত্রে আমার বিশ্লেষণ হল, আসলে ওইদিন মেয়েটি একাধিক পোশাক পরেছিল। পরনে ছিল ঘাঘরার মতো পোশাক। ছাদ থেকে সামনে ঝুঁকে লাফ দেয়নি। দিয়েছে সরাসরি লাফ। ফলে মেয়েটির পোশাক ফুলে গিয়ে প্যারাশ্যুটের মতো কাজ করে, আর তার ফলেই পতনের বেগ কমে। মেয়েটির প্রাণহানি রোধ হয়।

নানা সময়েও আমরা ভিসেরা রিপোর্টের কথা বার বার শুনি। ভিসেরা রিপোর্ট কী? 
খুব সহজভাবে বললে, মৃতের দেহের ফ্লুইড ও টিস্যুর কেমিক্যাল অ্যানালিসিস। এই বিশ্লেষণে মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করা। একইসঙ্গে কোনও রাসায়নিক বা বিষপ্রয়োগ হয়েছে কি না তাও নির্ণয় করা যায় ভিসেরা রিপোর্ট থেকে।
সাক্ষাত্‌কার: সুপ্রিয় নায়েক

01st  January, 2025
খাবার নিয়ে নানা ভুল ধারণা 

খাবার নিয়ে প্রচলিত এমন অনেক ধারণা আছে যা একেবারেই ভুল। কলা খেলে নাকি শ্লেষ্মা হয়। ইউরিক অ্যাসিডে মসুর ডাল নিষিদ্ধ। এসব কি ঠিক? খাবার নিয়ে নানা ভুল ধারণা ভেঙে দিলেন পুষ্টিবিদ স্বাগতা মুখোপাধ্যায়।  বিশদ

01st  January, 2025
কোন খাবারের পর কী খাওয়া উচিত নয়?

ভোজনরসিক বাঙালি খেতে বসলে হুঁশ থাকে না। ভাত-রুটি, ডাল-তরকারি, মাছ-মাংসে রসনা তৃপ্তি হয় বটে, কিন্তু এইসব খাবার কতটা প্রয়োজনীয়? কতটা ক্ষতিকর? আয়ুর্বেদে আছে সব খাবারই ভালো, কিন্তু সংযোগ দোষে তা ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। দেশ, কাল, অগ্নি, কোষ্ঠ, সংস্কার, পরিহার, উপচার, সম্পদ —এইরকম ১৭টি বিরোধ খাদ্য এড়িয়ে চলা দরকার। কোন খাবারের সঙ্গে কোন খাবার খাবেন না? কোন খাবার দিনে খাবেন? কোন ফল কখন খেতে হয়? বিরুদ্ধ খাদ্য কেন খাবেন না? লিখেছেন ডাঃ সুবলকুমার মাইতি।
বিশদ

01st  January, 2025
পোস্টমর্টেম কী

খুনের কিনারা করার জন্য সবথেকে প্রয়োজনীয় যে তথ্য তার সিংহভাগই পোস্টমর্টেম রিপোর্টে থাকে। হত্যার আগে ও সেই মুহূর্তে মনের অবস্থা, আচরণ কেমন ছিল ধর্ষক- হত্যাকারীর? সেটাই অপরাধের চালিকাশক্তি। আর সেই হদিশ মেলে পোস্টমর্টেমে। তদন্তের চাবিকাঠি ফরেনসিক রিপোর্ট। দেশের সাড়া জাগানো ধর্ষণ-প্রতিশোধমূলক 
হত্যার কথা লিখলেন সমৃদ্ধ দত্ত। ফরেনসিক এবং অটোপসি পরীক্ষা কী? খুন, অপঘাত, দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা—সবকিছুরই প্রমাণ রয়ে যায় দেহে। খুন কি চাপা দেওয়া যায়? দক্ষ পরীক্ষক-বিশেষজ্ঞরা বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে উদ্ধার করে আনেন নিখুঁত সত্যকে। সেই কাজের ধরণ কেমন? ক্রাইমের আড়ালে থাকে এক অন্য থ্রিলার। ধাপে ধাপে এগন ফরেনসিক এক্সপার্টরা। কীভাবে? সেই রহস্যকথা শোনালেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ডাঃ অজয় গুপ্ত। 
বিশদ

01st  January, 2025
গয়া কেন 
মুক্তিতীর্থ?

গয়াকে কেউ বলে তীর্থ, কেউ বলে ক্ষেত্র, কারও কাছে পরিচিত ধাম নামে। ইতিহাস-কিংবদন্তি-লোকথায় জড়িয়ে আছে গয়া। শুধু তীর্থই নয় পর্যটনেও গয়া প্রসিদ্ধ। শহরটির উত্থান ভৌগোলিকতাকেও হার মানায় পুরাণের রোমাঞ্চকর কাহিনি। এখানেই গয়াসুর বধ হয়। এখানেই আছে প্রাচীন অক্ষয়বট, বিষ্ণুপাদপদ্ম। এমন কোনও মহাপুরুষ নেই যিনি এখানে আসেননি। আছে রহস্যময় গদাধর শিলা আর প্রেতশিলা! মৃত‌্যুর পর মানুষের আত্মার ঠিকানা স্থির হয় এখানেই। মৃতের কল্যাণে আছে নানা বিধিব্যবস্থা। তবে সবকিছুকেই ছাড়িয়ে যায় গয়ার নানা মিথ। কেন এটি মুক্তিতীর্থ? অজানা, রহস্যময় গয়ার কথা লিখেছেন ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিশদ

01st  January, 2025
ব্লু জোনের শতায়ু ডায়েট
সঞ্চিতা চট্টোপাধ্যায়

নাম, যশ, অর্থ, ক্ষমতাশীল ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ এবং সুস্বাস্থ্য— তাহলে আপনি অবশ্যই ঈশ্বরের কাছ থেকে বরদান হিসেবে সুস্বাস্থ্যই বেছে নিতে চাইবেন! কারণ সুস্বাস্থ্য বজায় থাকলে যে কেউ বাকি সৌভাগ্য অর্জন করে নিতে পারেন। আর ভগ্নস্বাস্থ্য হলে বাকি সব সৌভাগ্য অধরা থাকতে বাধ্য! বিশদ

31st  December, 2024
দীর্ঘ জীবনের দাওয়াই 
সিম্পল লিভিং হাই থিংকিং
ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায়

৮৯ বছর বয়স হল। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে রোগী দেখছি। এতদিন কেটে গেল সারা জীবনই কি স্বাস্থ্য অটুট থেকেছে? তা নয়। একবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। জোর ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়েছিল। সেই একবারই! বরাবর যতখানি স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখা সম্ভব, করেছি। তাতে কর্মবিরতি হয়নি। বিশদ

31st  December, 2024
আয়ু বাড়ানোর ডায়েট
শতভিষা বসু

প্রতিটি জাতির আলাদা আলাদা গড় আয়ু আছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আয়ুষ্কাল মোটামুটি ৭০ বছর। ২৫ বছর আগে যা ছিল ৬২! আবার একজন মার্কিনির আয়ু প্রায় ৮০ বছর! ভারত বা বিদেশ— এতখানি আয়ুবৃদ্ধির পিছনে চিকিত্‍সাশাস্ত্রের উন্নতির যথেষ্ট হাত রয়েছে। বিশদ

31st  December, 2024
সুস্থভাবে দীর্ঘায়ু হতে কীভাবে 
সাহায্য করে যোগব্যায়াম
পরিতোষকুমার হাজরা

সারা বিশ্ব মেনে নিয়েছে যোগব্যায়ামের অপরিসীম গুণের কথা। ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর ২১ জুন বিশ্বযোগ দিবস হিসাবে পালিত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO), ভারত সরকার ও রাজ্য সরকার যোগ ও নেচারোপ্যাথি সিস্টেম অব মেডিসিন অ্যাক্ট ২০১০ তৈরি করেছে। বিশদ

31st  December, 2024
হোমিওপ্যাথিতে অসুখ নিরাময়
ডাঃ রামকৃষ্ণ ঘোষ

১৭৯৬ সাল। ওই বছরই বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথি নামে একটি চিকিৎসা পদ্ধতি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেন। যেখানে রোগীকে একসঙ্গে একটি মাত্র ওষুধ দিয়ে সুস্থ করে তোলাই হল চিকিৎসার মূলমন্ত্র। বিশদ

31st  December, 2024
সুস্থ দীর্ঘজীবনের 
জন্য কী কী করবেন?

মৃত্যু জীবনের অন্তিম পরিণতি, এটি জানার পরও বলতে হয়—প্রথমত এই সুন্দর পৃথিবী, ভালোবাসা, আনন্দ আর সম্পর্কের মধুর স্মৃতি ছেড়ে যেন মন বিশ্ব ছেড়ে যেতে চায় না। দ্বিতীয়ত, নশ্বর দেহ থেকে প্রাণবায়ু বেরিয়ে যাক, কিন্তু আমাদের কৃতকর্ম যেন মানুষের মনে বেঁচে থাকে, একেই বলে মরে বেঁচে থাকা, অমরত্ব। কিন্তু দেহের কোনও অমরত্ব নেই। জীবনযাত্রা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার সুষ্ঠু সমন্বয় গড়তে পারলে নীরোগ ও বলিষ্ঠ দেহ নিয়ে দীর্ঘকাল বাঁচা যায়। দীর্ঘজীবনের উপায় জানালেন ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায়, আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডাঃ সুবলকুমার মাইতি, ডাঃ রামকৃষ্ণ ঘোষ, যোগবিশারদ পরিতোষকুমার হাজরা, পুষ্টিবিদ শতভিষা বসু। ব্লু জোন-এর শতায়ু মানুষদের আশ্চর্য জীবনযাত্রার কথা শোনালেন সঞ্চিতা চট্টোপাধ্যায়।
বিশদ

31st  December, 2024
জাতিস্মর কারা হয়?
তাঁরা কেন রহস্যময়?

জাতিস্মর কারা হয়? এখানেই যত বিস্ময়! এদের পূর্বজন্মের কথা মনে পড়ে। তেমনই তাদের কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল সেই বিবরণও দেয়। একমাত্র তারাই মৃত্যুর অভিজ্ঞতা কিংবা স্মৃতির প্রত্যক্ষ বিবরণ দেওয়ার অধিকারী। জাতিস্মরদের নিয়ে যখনই গবেষকরা রিসার্চ করেন, তখনই প্রশ্ন করা হয়েছে মৃত্যু কীভাবে হল? তাঁর পরিবার-পরিজন-প্রতিবেশি-বন্ধু কেমন ছিল? মানুষ মৃত্যুর আগে পর্যন্ত জানতে পারে না যে, ঠিক মৃত্যুর মুহূর্তটি কেমন হবে! কীভাবে পলকের মধ্যে মৃত্যু এসে জীবনকে স্তব্ধ করে দেয়! তখন কেমন বোধ হয়? মৃত্যুকে কেমন দেখেছে সে? এটাই যুগ যুগ ধরে জানতে চায় নশ্বর মানুষ! এর উত্তর জানে জাতিস্মররাই। কিন্তু সত্যিই কি উত্তর মেলে? এই চির রহস্যের কথা শোনালেন সমৃদ্ধ দত্ত।
বিশদ

30th  December, 2024
মৃত্যু কি আগাম
ইঙ্গিত দেয়?

স্বামী বিবেকানন্দ বলে গেছেন, মৃত্যু চিন্তা ভালো। কারণ এই জগৎ কতটা মিথ্যা সেটা বোঝার জন্য। তবে মৃত্যুভয় ভালো নয়। জগতের বড় বিস্ময় মৃত্যু। মৃত্যুকালে মানুষের শুদ্ধ চেতনাকে আচ্ছন্ন করে দেয় অন্ধকার। সাধক-যোগীরা সেই অন্ধকারকে কাটাতে পারেন। বীরের মতো দেহ ছেড়েছেন বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী, রাম ঠাকুর, বালানন্দ ব্রহ্মচারি, নিগমানন্দ ঠাকুর, পরমহংস যোগানন্দ স্বামী, দুর্গাপুরী মাতাজি। মৃত্যুযোগ যাঁরা অভ্যাস করেন তাঁরাই নিজের মৃত্যুকালটি জানতে পারেন। সাধারণ মানুষ কীভাবে বুঝবেন মৃত্যুকাল আসন্ন? মৃত্যুকালে মানুষের মুখ কেন খোলা থাকে? শাস্ত্রে আছে, কারও যদি মনে হয় সূর্যের তেজ কমে আসছে, তাহলে তার আয়ু বেশিদিন নেই। রয়েছে আরও কিছু পূর্ব লক্ষণ। মৃত্যুর পূর্বে মানুষ নানারকম স্বপ্ন দেখেন, কী সেই স্বপ্ন? লিখেছেন সোমব্রত সরকার।
বিশদ

07th  October, 2024
আত্মার উপস্থিতি কীভাবে
অনুভব করা যায়?

আত্মার অস্তিত্ব নিয়ে সারা বিশ্বজুড়ে অনেক কথা শোনা যায়। আশ্চর্যের বিষয়, মহাপুরুষ থেকে সাধারণ মানুষও আত্মার উপস্থিতি বুঝতে পারেন। আচার্য শঙ্করাচার্য থেকে শ্রীরামকৃষ্ণ, আবার রাম ঠাকুর থেকে নিগমানন্দ সরস্বতী এমনকী বিশ্বের তাবড় মনীষীরাও স্বীকার করেন আত্মার অস্তিত্ব। জীবন ফুরিয়ে গেলেই তা শেষ হয়ে যায় না। এ বিষয়ে গীতা থেকে ভারতীয় অধ্যাত্মশাস্ত্র কী বলে? প্ল্যানচেটে অাত্মা আনা সম্ভব। কলকাতায় এক সময় এটি জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু আত্মারা কখনও স্বইচ্ছায় আসেন তাঁর প্রিয়জনের কাছে! তাঁদের সুখ-দুঃখের সাথী হন। কোন পরিস্থিতিতে আত্মারা আসেন? কীভাবে বুঝবেন তাঁদের উপস্থিতি? কী সহায়তা করেন তাঁরা? লিখেছেন সোমব্রত সরকার। 
বিশদ

07th  October, 2024
অপদেবতা কি ক্ষতি করে?

অপদেবতা মানুষের ক্ষতি না উপকার করে? লিখেছেন অগ্নিশ্বর সরকার। বিশদ

07th  October, 2024

Pages: 12345

একনজরে
ছাত্রছাত্রীদের ইংরেজিতে শান দিতে একদিনের কর্মশালা আয়োজন করল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। মঙ্গলবার এই কর্মশালায় ৬০টি স্কুলের মোট ৩০০ জন ছাত্রছাত্রী যোগ দেয়। এই কর্মশালায় পড়ুয়াদের ব্যাকরণ, শব্দভাণ্ডার এবং বাক্য গঠনের শুদ্ধতার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। ...

ডাকাতদের বিরুদ্ধে বড়সড় সাফল্য পেল বিহার পুলিস। মঙ্গলবার ভোররাতে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই ডাকাতের। পাটনা জেলার ফুলবাড়ি শরিফের হিন্দুনির ঘটনা। এক ডাকাতকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিস। গুলির লড়াইয়ে জখম হয়েছেন পুলিসের এক সাব-ইনসপেক্টর। ...

মালদহে শ্যুটআউটের পর পুলিস উত্তর দিনাজপুরের সঙ্গে বিহার সংযুক্তকারী ছোটবড় রাস্তার পৃথক ম্যাপিং করেছে। যেখানে গোয়েন্দাদের নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি  জোরদার করা হয়েছে নাকা চেকিং। ...

লিবারেল পার্টির দলনেতা ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। শাসক দলের নেতা ও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে উঠে এসেছে এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতর নামও। তিনি পরিবহণ মন্ত্রী অনিতা আনন্দ। তামিল পরিবারে জন্ম অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কৃতী প্রাক্তনীর। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন।  ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১০২৫: সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করলেন সুলতান মামুদ
১৩২৪:  ভেনিসিয় পর্যটক ও বনিক মার্কো পোলোর মৃত্যু
১৬৪২: বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর মৃত্যু
১৮০৬: ব্রিটেন উত্তমাশা অন্তরীপ দখল করে নেয়
১৮৬৭: আফ্রিকান আমেরিকানরা ভোটাধিকার লাভ করে
১৮৮৪: সমাজ সংস্কারক ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র সেনের মৃত্যু
১৯০৯: সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর জন্ম
১৯২৬: বাদশা হোসেন বহিষ্কার। ইবনে সাউদ হেজাজের নতুন বাদশা। দেশের (হেজাজ) নাম পরিবর্তন করে সৌদি আরব করা হয়।
১৯২৬:  কিংবদন্তি ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী তথা ওড়িশি নৃত্যের জন্মদাতা কেলুচরণ মহাপাত্রের জন্ম 
১৯৩৫: প্রবাদপ্রতিম অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবীর জন্ম
১৯৩৫: মার্কিন গায়ক এলভিস প্রেসলির জন্ম
১৯৩৯: অভিনেত্রী নন্দার জন্ম
১৯৪১: ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রণবানন্দের প্রয়াণ
১৯৪২: ইংরেজ পদার্থবিদ স্টিফেন হকিংয়ের জন্ম
১৯৫৭: অভিনেত্রী নাফিসা আলির জন্ম
১৯৬৩: প্রথমবারের মতো লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির বিখ্যাত পেইন্টিং ‘মোনালিসা’ আমেরিকার ন্যাশনাল গ্যালারী অব আর্টে প্রদর্শন
১৯৬৫: অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদারের জন্ম
১৯৬৬: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক বিমল রায়ের মৃত্যু
১৯৮৪: প্রথম ভারতীয় মহিলা পাইলট সুষমা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৯০: অভিনেত্রী নুসরত জাহানের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৯৭ টাকা ৮৬.৭১ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৭০ টাকা ১০৯.৪৩ টাকা
ইউরো ৮৭.৫৩ টাকা ৯০.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৪ পৌষ, ১৪৩১, বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫। নবমী ২০/৮ দিবা ২/২৬। অশ্বিনী নক্ষত্র ২৫/১৮ দিবা ৪/৩০। সূর্যোদয় ৬/২২/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/৪/৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ৮/৩২ মধ্যে পুনঃ ১০/৪০ গতে ১২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ৮/৩৮ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৬ গতে ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে ৩/৪০ মধ্যে। বারবেলা ৯/২ গতে ১০/২৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ১/৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/২ গতে ৪/৪২ মধ্যে।
২৩ পৌষ, ১৪৩১, বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫। নবমী দিবা ২/২। অশ্বিনী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/৩৬। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে ও ১০/১ গতে ১১/২৮ মধ্যে ও ৩/৭ গতে ৪/৩০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১১ গতে ৮/৫৭ মধ্যে ও ২/১ গতে ৬/২৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫৭  গতে ১০/৩২ মধ্যে। কালবেলা ৯/৫ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১১/৪৪ গতে ১/৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৫ গতে ৪/৪৫ মধ্যে। 
৭ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানাতে দিল্লিতে একটি স্মারক প্রতিষ্ঠার অনুমোদন কেন্দ্রের

07-01-2025 - 10:27:00 PM

 মানুষ কংগ্রেসের প্রতি উৎসাহ দেখাচ্ছেন: কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিত

07-01-2025 - 10:00:00 PM

গুজরাতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল

07-01-2025 - 09:23:00 PM

গুজরাতে একাধিক নতুন সেতু নির্মাণের জন্য ৭৭৯ কোটি টাকা অনুমোদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল

07-01-2025 - 08:59:00 PM

আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির সম্ভাবনা

07-01-2025 - 08:34:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজে মাউন্টেড পুলিসের জন্য ৩৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ৫টি ঘোড়া কিনল যোগী সরকার

07-01-2025 - 08:24:00 PM