Bartaman Patrika
সাপ্তাহিক বর্তমান
 

ব্লু জোনের শতায়ু ডায়েট
সঞ্চিতা চট্টোপাধ্যায়

নাম, যশ, অর্থ, ক্ষমতাশীল ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ এবং সুস্বাস্থ্য— তাহলে আপনি অবশ্যই ঈশ্বরের কাছ থেকে বরদান হিসেবে সুস্বাস্থ্যই বেছে নিতে চাইবেন! কারণ সুস্বাস্থ্য বজায় থাকলে যে কেউ বাকি সৌভাগ্য অর্জন করে নিতে পারেন। আর ভগ্নস্বাস্থ্য হলে বাকি সব সৌভাগ্য অধরা থাকতে বাধ্য! তাছাড়া শুধু সুস্বাস্থ্যই বা কেন, তার সঙ্গে দরকার আয়ু। কারণ এই বিরাট পৃথিবীতে রয়েছে কত কিছু উপভোগ্য। সুস্বাস্থ্য আর আয়ু— এই দু’টি বিষয় ধরে রাখার জন্য সেই প্রাচীনকাল থেকে মানুষের চেষ্টার শেষ নেই। সম্ভবত সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে যৌবন ধরে রাখার বিষয়টিও জড়িয়ে থাকে। ফলে অন্ত নেই গবেষণার। অথচ সব গবেষণাকে প্রায় বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রাকৃতিকভাবেই এই পৃথিবীতে কয়েকজন বেঁচে থাকেন একশো বছর! না, বিচ্ছিন্নভাবে বেঁচে থাকা কয়েকজন আশ্চর্য শতায়ুর কথা হচ্ছে না। আমরা কথা বলছি এক বিরাট জনগোষ্ঠীর কথা! তাঁরা সকলে শতায়ু!
ব্লু জোনের কথা
আমাদের এই পৃথিবীতে ব্লু জোন বলে কয়েকটি জায়গা রয়েছে যেখানকার মানুষেরা ১০০ বছরের অধিক আয়ু নিয়ে বেঁচে থাকেন। কেউ কেউ ১১০ বছরও বাঁচেন! জাপানের ওকিনাওয়া, ইটালির সারদিনিয়া, ক্যালিফোর্নিয়ার লোমালিন্ডা, কোস্টারিকার নিকোয়া, গ্রিসের ইকআরিয়া জায়গাগুলিকে লংজিভিটি হটস্পট বলা হয়। ব্লু জোন-এর মানুষেরা কোন ডায়েট অথবা কোন দামি সাপ্লিমেন্ট অথবা ভিগোরাশ এক্সারসাইজ ছাড়াই শতায়ু হয়েছেন তা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, একেবারে জীবনের একেবারে শুরু থেকেই সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা দরকার। ব্লু জোনের বাসিন্দাদের খাদ্যাভ্যাস পর্যালোচনা করে দেখা গেছে তাঁদের খাবারের মধ্যে ৭০ শতাংশ থাকে উদ্ভিজ্জ খাদ্য এবং ৩০ শতাংশ খাদ্য প্রাণিজ। মানুষের পরিপাকতন্ত্র ও দাঁতের গঠন দেখে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন মানুষ মূলত তৃণভোজী। মানুষের পৌষ্টিকতন্ত্রের দৈর্ঘ্য ৩০ ফুট যা হরিণের ও তৃণভোজী প্রাণীদের পৌষ্টিকতন্ত্রের মতো। ‘দ্য সিক্রেট অব লিভিং লংগার’ পুস্তকের লেখক ডান বুয়েটনারের মতে আমাদের আয়ুবৃদ্ধি নির্ভর করে ২৫ শতাংশ প্রবাহী জিনের ওপরে এবং বাকি ৭৫ শতাংশ নির্ভর করে সুস্থ ও প্রাণবন্ত জীবন যাপনের কারণে। 
আয়ুবৃদ্ধিতে মূলত প্রয়োজন সুষম খাদ্য তালিকা যা প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, মিনারেল, জল, হরমোন, এনজাইম, বায়ো ইলেকট্রিক্যাল এনার্জি ফোর্স বা প্রাণশক্তি প্রভৃতি উপাদানের সঠিক আনুপাতিক মেলবন্ধন। বর্তমানে পুষ্টিবিজ্ঞানীরা খাবারকে জীবিত এবং মৃত হিসেবে চিহ্নিত করছেন। তাঁরা বলছেন যতটা সম্ভব জীবন্ত খাবার যেমন  ফল, পাতা, বীজ, ফুল, মূল, কন্দ, রজন, বাকল, শিকড় যা প্রকৃতিতে যেমনভাবে পাওয়া যায় ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে তেমনভাবেই খেয়ে নেওয়া ও হজম করা যায়। এই ধরনের খাবারে লাইফফোর্স অনেক বেশি মাত্রায় পাওয়া যায়। বিপরীতে কারখানায় তৈরি প্যাকেটজাত খাবার আসলে মৃত খাবার। প্রক্রিয়াকরণের ফলে তার প্রাণশক্তি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া রন্ধনের সময় তাপমাত্রা অধিক হলে তাতেও খাবারের বায়ো ইলেকট্রিক্যাল এনার্জি ও ফাইটো কেমিক্যাল কমতে থাকে। ব্লু জোনের কিচেনগুলিতে খাবারের রেসিপি অতি সাধারণ এবং যা কম তাপে ধীর প্রক্রিয়ায় বানানো হয়। এর ফলে খাদ্যের লাইফ ফোর্স অনেক বেশি পরিমাণে বজায় থাকে। এবার দেখে নিই সারাদিন কীভাবে নিজের খাওয়া দাওয়ার দিকে নজর দেবেন। 
ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই কোনও ডিটক্স ওয়াটার অথবা পরিষ্কার জল দিয়ে দিন শুরু করুন। বাসি মুখে জল পান করুন। তাতে সারারাতে মুখের মধ্যে তৈরি হওয়া ভালো মাইক্রোব পেটের মধ্যে যেতে পারবে। এর পরে হার্বাল টি অথবা এক চামচ লেবুর রস দিয়ে এক গ্লাস জল খেয়ে নিন। এরপর রাত্রে ভিজিয়ে রাখা বাদাম অথবা বীজ অথবা শুকনো ফল অথবা টাটকা মরশুমি ফল খাওয়া শুরু করুন। ব্রেকফাস্ট করুন বাড়িতে তৈরি করা যে কোনও গরম জলখাবার দিয়ে। প্যাকেটের ব্রেকফাস্ট, কুকিজে প্রচুর পরিমাণে লুকানো চিনি ও রাসায়নিক থাকে। এগুলিকে খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিন। ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চের মাঝে খেতে পারেন গ্রিন জ্যুস। হুইট গ্রাস, ধনে পাতা, পুদিনা পাতা, লেটুস, থানকুনি প্রভৃতি পাতার জ্যুস বানিয়ে গুড় ও লবণ দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে লেমন গ্রাস ও রোজ মেরি চা পান বিশেষ উপকারী। ব্লু জোনে জাসমিন চায়ের প্রচলন রয়েছে। দুপুরে লাঞ্চের আগে ১ কাপ স্যালাড খেয়ে নিন। যে কোনও খাবারের সঙ্গে স্যালাড রাখলে, স্যালাড সেই খাবারটির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কমিয়ে দেয় এবং মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছাকে দমন করে। তাই স্যালাড অত্যন্ত উপকারী। সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে ফেলুন রাতের খাবারে মাছ, মাংস, ডিম না রাখাই শ্রেয়। 
বিকেলবেলা সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরের সমস্ত ডাইজেস্টিভ এনজাইমগুলির ক্ষরণ কমতে থাকে। তাই সন্ধ্যার পর থেকে খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। 
বিকেলে একটি ছোট্ট টিফিন আমাদের কাজ করার এনার্জি লেভেলকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ভারতীয়রা সেক্ষেত্রে দু’টি ইডলি, একটি প্লেন ধোসা, এক বাটি ছোলা, মুড়ি, শসা একটি সেঁকা ভুট্টা অথবা একটি কলা— এই ধরনের হালকা জলখাবার খেতে  পারেন বিকেলের দিকে। ডিনারে খেতে পারেন, ডাল ভাত অথবা ডাল রুটি। তার সঙ্গে থাকবে স্যালাড। রাতের খাবার কখনওই দেরি করে খাওয়া উচিত নয়। কারণ তা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। ঘুমোতে যাওয়ার দু’ঘণ্টা আগে ডিনার কমপ্লিট করুন। প্রতিটি খাবার গ্রহণের পরে রেস্ট নেওয়া ও তারপর একটি হালকা হাঁটাহাঁটি স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে। 
দুপুরের একটি ছোট্ট ন্যাপ রাতে ভালো ঘুমের সহায়ক ও স্বাস্থ্যবর্ধক। জাপানি ভাষায় ‘হারা হাচি বু’ বলে একটি কথা প্রচলিত আছে যার অর্থ মডারেশন। খাবার সব সময় এমন ভাবে খেতে হবে যাতে পেটের এক চতুর্থাংশ জায়গা ফাঁকা থাকে এবং আপনার কিছুটা খিদে বাকি থাকে। খাবারে পেট পূর্ণ হয়ে গেলে পাচক রস ক্ষরণের জায়গা থাকে না। তাই পাচন ক্রিয়া বিলম্বিত হয়। এটিও একটি লাইফস্টাইল প্রক্রিয়া। 
সবশেষে আসি অণুজীবদের কথায়। আমাদের দেহে থার্টি নাইন ট্রিলিয়ন মাইক্রোবিয়াল সেল রয়েছে যার শতকরা ৯০ ভাগই আছে আমাদের গাট-এ। 
এদেরকে বলে প্রো বায়োটিক। এরা আমাদের সার্বিক স্বাস্থ্য, মস্তিষ্কের প্রসন্নতা, ক্রেভিং প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণে রাখে। দই হল এই অণুজীবদের একটি খুব ভালো উৎস। এই অণুজীবদের খাদ্য ফাইবার বা আঁশ জাতীয় খাবার। তাই প্রতিদিনের খাবারে যাতে ফাইবার থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে এসবের সঙ্গে দরকার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। প্রয়োজন মেডিটেশন বা ধ্যান করাও চলে। ধ্যান আমাদের মস্তিষ্কের কিছু বিশেষ অংশে কাজ করে স্মৃতিশক্তি, বোধশক্তি, অনুপ্রেরণা, মনোযোগ ইত্যাদি বাড়িয়ে তোলার ক্ষমতা রাখে। নিয়মিত মেডিটেশন উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। 
ধ্যান করলে মস্তিষ্ক থেকে প্রতিদিন ৬০ রকমের রাসায়নিক বার্তা তৈরি হয় যার মধ্যে চারটি হ্যাপি হরমোন বলে পরিচিত। এগুলি হল— এন্ডোর্ফিন, ডোপামিন, সেরোটোনিন, অক্সিটোসিন। মস্তিষ্কে এদের প্রবাহ সঠিক থাকবে যদি কেউ নিয়মিত মেডিটেশন করেন। বিশ্বের সবথেকে সুখী মানুষ ম্যাথিউ রিচার্ড ৩৫ বছর ধরে মেডিটেশন করছেন। তিনি দলাই লামার অন্যতম প্রধান শিষ্য। প্রতিদিন আধঘণ্টা হালকা ব্যায়াম শরীরের প্রতিটি পেশি, জয়েন্ট, হাড় ও অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিকে সচল সজীব রাখতে সাহায্য করে। রাতের ৮ ঘণ্টা ঘুম হল শরীরের সবথেকে বড় ডিটক্স প্রক্রিয়া। এই সময় শরীর তার যাবতীয় ক্ষতিপূরণের কাজে ব্যস্ত থাকে। 
তাই রাতে শুতে যাওয়ার দু’ঘণ্টা আগে ব্লু লাইট বিকিরণ করে এরকম কোনও গ্যাজেট যেমন মোবাইল, ল্যাপটপ ব্যবহার করা বন্ধ করুন। ঘর অন্ধকার করে দিন। প্রতিদিন সকালে সূর্যের আলো গায়ে লাগান। 
মানুষের সঙ্গে কথা বলুন, আড্ডা দিন। নিজের একটি শখ জীবিত রাখুন।
লেখক ডক্টর বি সি রায় শিশু হাসপাতালের প্রাক্তন পুষ্টিবিদ।

31st  December, 2024
খাবার নিয়ে নানা ভুল ধারণা 

খাবার নিয়ে প্রচলিত এমন অনেক ধারণা আছে যা একেবারেই ভুল। কলা খেলে নাকি শ্লেষ্মা হয়। ইউরিক অ্যাসিডে মসুর ডাল নিষিদ্ধ। এসব কি ঠিক? খাবার নিয়ে নানা ভুল ধারণা ভেঙে দিলেন পুষ্টিবিদ স্বাগতা মুখোপাধ্যায়।  বিশদ

01st  January, 2025
কোন খাবারের পর কী খাওয়া উচিত নয়?

ভোজনরসিক বাঙালি খেতে বসলে হুঁশ থাকে না। ভাত-রুটি, ডাল-তরকারি, মাছ-মাংসে রসনা তৃপ্তি হয় বটে, কিন্তু এইসব খাবার কতটা প্রয়োজনীয়? কতটা ক্ষতিকর? আয়ুর্বেদে আছে সব খাবারই ভালো, কিন্তু সংযোগ দোষে তা ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। দেশ, কাল, অগ্নি, কোষ্ঠ, সংস্কার, পরিহার, উপচার, সম্পদ —এইরকম ১৭টি বিরোধ খাদ্য এড়িয়ে চলা দরকার। কোন খাবারের সঙ্গে কোন খাবার খাবেন না? কোন খাবার দিনে খাবেন? কোন ফল কখন খেতে হয়? বিরুদ্ধ খাদ্য কেন খাবেন না? লিখেছেন ডাঃ সুবলকুমার মাইতি।
বিশদ

01st  January, 2025
রহস্য মুক্তি পোস্টমর্টেমে!

শুধুই মৃতদেহ কাটাছেঁড়া নয়, অপরাধীকে চিহ্নিত করতে জরুরি হয়ে পড়ে পারিপার্শ্বিক প্রমাণও। জানাচ্ছেন প্রবীণ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডাঃ অজয় গুপ্ত বিশদ

01st  January, 2025
পোস্টমর্টেম কী

খুনের কিনারা করার জন্য সবথেকে প্রয়োজনীয় যে তথ্য তার সিংহভাগই পোস্টমর্টেম রিপোর্টে থাকে। হত্যার আগে ও সেই মুহূর্তে মনের অবস্থা, আচরণ কেমন ছিল ধর্ষক- হত্যাকারীর? সেটাই অপরাধের চালিকাশক্তি। আর সেই হদিশ মেলে পোস্টমর্টেমে। তদন্তের চাবিকাঠি ফরেনসিক রিপোর্ট। দেশের সাড়া জাগানো ধর্ষণ-প্রতিশোধমূলক 
হত্যার কথা লিখলেন সমৃদ্ধ দত্ত। ফরেনসিক এবং অটোপসি পরীক্ষা কী? খুন, অপঘাত, দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা—সবকিছুরই প্রমাণ রয়ে যায় দেহে। খুন কি চাপা দেওয়া যায়? দক্ষ পরীক্ষক-বিশেষজ্ঞরা বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে উদ্ধার করে আনেন নিখুঁত সত্যকে। সেই কাজের ধরণ কেমন? ক্রাইমের আড়ালে থাকে এক অন্য থ্রিলার। ধাপে ধাপে এগন ফরেনসিক এক্সপার্টরা। কীভাবে? সেই রহস্যকথা শোনালেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ডাঃ অজয় গুপ্ত। 
বিশদ

01st  January, 2025
গয়া কেন 
মুক্তিতীর্থ?

গয়াকে কেউ বলে তীর্থ, কেউ বলে ক্ষেত্র, কারও কাছে পরিচিত ধাম নামে। ইতিহাস-কিংবদন্তি-লোকথায় জড়িয়ে আছে গয়া। শুধু তীর্থই নয় পর্যটনেও গয়া প্রসিদ্ধ। শহরটির উত্থান ভৌগোলিকতাকেও হার মানায় পুরাণের রোমাঞ্চকর কাহিনি। এখানেই গয়াসুর বধ হয়। এখানেই আছে প্রাচীন অক্ষয়বট, বিষ্ণুপাদপদ্ম। এমন কোনও মহাপুরুষ নেই যিনি এখানে আসেননি। আছে রহস্যময় গদাধর শিলা আর প্রেতশিলা! মৃত‌্যুর পর মানুষের আত্মার ঠিকানা স্থির হয় এখানেই। মৃতের কল্যাণে আছে নানা বিধিব্যবস্থা। তবে সবকিছুকেই ছাড়িয়ে যায় গয়ার নানা মিথ। কেন এটি মুক্তিতীর্থ? অজানা, রহস্যময় গয়ার কথা লিখেছেন ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিশদ

01st  January, 2025
দীর্ঘ জীবনের দাওয়াই 
সিম্পল লিভিং হাই থিংকিং
ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায়

৮৯ বছর বয়স হল। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে রোগী দেখছি। এতদিন কেটে গেল সারা জীবনই কি স্বাস্থ্য অটুট থেকেছে? তা নয়। একবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। জোর ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়েছিল। সেই একবারই! বরাবর যতখানি স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখা সম্ভব, করেছি। তাতে কর্মবিরতি হয়নি। বিশদ

31st  December, 2024
আয়ু বাড়ানোর ডায়েট
শতভিষা বসু

প্রতিটি জাতির আলাদা আলাদা গড় আয়ু আছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আয়ুষ্কাল মোটামুটি ৭০ বছর। ২৫ বছর আগে যা ছিল ৬২! আবার একজন মার্কিনির আয়ু প্রায় ৮০ বছর! ভারত বা বিদেশ— এতখানি আয়ুবৃদ্ধির পিছনে চিকিত্‍সাশাস্ত্রের উন্নতির যথেষ্ট হাত রয়েছে। বিশদ

31st  December, 2024
সুস্থভাবে দীর্ঘায়ু হতে কীভাবে 
সাহায্য করে যোগব্যায়াম
পরিতোষকুমার হাজরা

সারা বিশ্ব মেনে নিয়েছে যোগব্যায়ামের অপরিসীম গুণের কথা। ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর ২১ জুন বিশ্বযোগ দিবস হিসাবে পালিত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO), ভারত সরকার ও রাজ্য সরকার যোগ ও নেচারোপ্যাথি সিস্টেম অব মেডিসিন অ্যাক্ট ২০১০ তৈরি করেছে। বিশদ

31st  December, 2024
হোমিওপ্যাথিতে অসুখ নিরাময়
ডাঃ রামকৃষ্ণ ঘোষ

১৭৯৬ সাল। ওই বছরই বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথি নামে একটি চিকিৎসা পদ্ধতি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেন। যেখানে রোগীকে একসঙ্গে একটি মাত্র ওষুধ দিয়ে সুস্থ করে তোলাই হল চিকিৎসার মূলমন্ত্র। বিশদ

31st  December, 2024
সুস্থ দীর্ঘজীবনের 
জন্য কী কী করবেন?

মৃত্যু জীবনের অন্তিম পরিণতি, এটি জানার পরও বলতে হয়—প্রথমত এই সুন্দর পৃথিবী, ভালোবাসা, আনন্দ আর সম্পর্কের মধুর স্মৃতি ছেড়ে যেন মন বিশ্ব ছেড়ে যেতে চায় না। দ্বিতীয়ত, নশ্বর দেহ থেকে প্রাণবায়ু বেরিয়ে যাক, কিন্তু আমাদের কৃতকর্ম যেন মানুষের মনে বেঁচে থাকে, একেই বলে মরে বেঁচে থাকা, অমরত্ব। কিন্তু দেহের কোনও অমরত্ব নেই। জীবনযাত্রা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার সুষ্ঠু সমন্বয় গড়তে পারলে নীরোগ ও বলিষ্ঠ দেহ নিয়ে দীর্ঘকাল বাঁচা যায়। দীর্ঘজীবনের উপায় জানালেন ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায়, আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডাঃ সুবলকুমার মাইতি, ডাঃ রামকৃষ্ণ ঘোষ, যোগবিশারদ পরিতোষকুমার হাজরা, পুষ্টিবিদ শতভিষা বসু। ব্লু জোন-এর শতায়ু মানুষদের আশ্চর্য জীবনযাত্রার কথা শোনালেন সঞ্চিতা চট্টোপাধ্যায়।
বিশদ

31st  December, 2024
জাতিস্মর কারা হয়?
তাঁরা কেন রহস্যময়?

জাতিস্মর কারা হয়? এখানেই যত বিস্ময়! এদের পূর্বজন্মের কথা মনে পড়ে। তেমনই তাদের কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল সেই বিবরণও দেয়। একমাত্র তারাই মৃত্যুর অভিজ্ঞতা কিংবা স্মৃতির প্রত্যক্ষ বিবরণ দেওয়ার অধিকারী। জাতিস্মরদের নিয়ে যখনই গবেষকরা রিসার্চ করেন, তখনই প্রশ্ন করা হয়েছে মৃত্যু কীভাবে হল? তাঁর পরিবার-পরিজন-প্রতিবেশি-বন্ধু কেমন ছিল? মানুষ মৃত্যুর আগে পর্যন্ত জানতে পারে না যে, ঠিক মৃত্যুর মুহূর্তটি কেমন হবে! কীভাবে পলকের মধ্যে মৃত্যু এসে জীবনকে স্তব্ধ করে দেয়! তখন কেমন বোধ হয়? মৃত্যুকে কেমন দেখেছে সে? এটাই যুগ যুগ ধরে জানতে চায় নশ্বর মানুষ! এর উত্তর জানে জাতিস্মররাই। কিন্তু সত্যিই কি উত্তর মেলে? এই চির রহস্যের কথা শোনালেন সমৃদ্ধ দত্ত।
বিশদ

30th  December, 2024
মৃত্যু কি আগাম
ইঙ্গিত দেয়?

স্বামী বিবেকানন্দ বলে গেছেন, মৃত্যু চিন্তা ভালো। কারণ এই জগৎ কতটা মিথ্যা সেটা বোঝার জন্য। তবে মৃত্যুভয় ভালো নয়। জগতের বড় বিস্ময় মৃত্যু। মৃত্যুকালে মানুষের শুদ্ধ চেতনাকে আচ্ছন্ন করে দেয় অন্ধকার। সাধক-যোগীরা সেই অন্ধকারকে কাটাতে পারেন। বীরের মতো দেহ ছেড়েছেন বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী, রাম ঠাকুর, বালানন্দ ব্রহ্মচারি, নিগমানন্দ ঠাকুর, পরমহংস যোগানন্দ স্বামী, দুর্গাপুরী মাতাজি। মৃত্যুযোগ যাঁরা অভ্যাস করেন তাঁরাই নিজের মৃত্যুকালটি জানতে পারেন। সাধারণ মানুষ কীভাবে বুঝবেন মৃত্যুকাল আসন্ন? মৃত্যুকালে মানুষের মুখ কেন খোলা থাকে? শাস্ত্রে আছে, কারও যদি মনে হয় সূর্যের তেজ কমে আসছে, তাহলে তার আয়ু বেশিদিন নেই। রয়েছে আরও কিছু পূর্ব লক্ষণ। মৃত্যুর পূর্বে মানুষ নানারকম স্বপ্ন দেখেন, কী সেই স্বপ্ন? লিখেছেন সোমব্রত সরকার।
বিশদ

07th  October, 2024
আত্মার উপস্থিতি কীভাবে
অনুভব করা যায়?

আত্মার অস্তিত্ব নিয়ে সারা বিশ্বজুড়ে অনেক কথা শোনা যায়। আশ্চর্যের বিষয়, মহাপুরুষ থেকে সাধারণ মানুষও আত্মার উপস্থিতি বুঝতে পারেন। আচার্য শঙ্করাচার্য থেকে শ্রীরামকৃষ্ণ, আবার রাম ঠাকুর থেকে নিগমানন্দ সরস্বতী এমনকী বিশ্বের তাবড় মনীষীরাও স্বীকার করেন আত্মার অস্তিত্ব। জীবন ফুরিয়ে গেলেই তা শেষ হয়ে যায় না। এ বিষয়ে গীতা থেকে ভারতীয় অধ্যাত্মশাস্ত্র কী বলে? প্ল্যানচেটে অাত্মা আনা সম্ভব। কলকাতায় এক সময় এটি জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু আত্মারা কখনও স্বইচ্ছায় আসেন তাঁর প্রিয়জনের কাছে! তাঁদের সুখ-দুঃখের সাথী হন। কোন পরিস্থিতিতে আত্মারা আসেন? কীভাবে বুঝবেন তাঁদের উপস্থিতি? কী সহায়তা করেন তাঁরা? লিখেছেন সোমব্রত সরকার। 
বিশদ

07th  October, 2024
অপদেবতা কি ক্ষতি করে?

অপদেবতা মানুষের ক্ষতি না উপকার করে? লিখেছেন অগ্নিশ্বর সরকার। বিশদ

07th  October, 2024

Pages: 12345

একনজরে
ডাকাতদের বিরুদ্ধে বড়সড় সাফল্য পেল বিহার পুলিস। মঙ্গলবার ভোররাতে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই ডাকাতের। পাটনা জেলার ফুলবাড়ি শরিফের হিন্দুনির ঘটনা। এক ডাকাতকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিস। গুলির লড়াইয়ে জখম হয়েছেন পুলিসের এক সাব-ইনসপেক্টর। ...

২০১৮ সালে কেপটাউনে টেস্ট অভিষেক যশপ্রীত বুমরাহর। আর এই ফরম্যাটে কেরিয়ারের শুরু থেকেই চোট-আঘাত তাঁর সঙ্গী। আসলে বুমবুমের বোলিং অ্যাকশনই এমন যে চোট পাওয়ার আশঙ্কা থাকে ...

মালদহে শ্যুটআউটের পর পুলিস উত্তর দিনাজপুরের সঙ্গে বিহার সংযুক্তকারী ছোটবড় রাস্তার পৃথক ম্যাপিং করেছে। যেখানে গোয়েন্দাদের নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি  জোরদার করা হয়েছে নাকা চেকিং। ...

রোজই ভিড় বাড়ছে শ্রীরামপুর বইমেলায়। ৩ জানুয়ারি শ্রীরামপুর বইমেলার উদ্বোধন হয়েছিল। তারপর থেকেই ভিড়ের দাপট শুরু হয়েছে। এমনিতেই ঐতিহ্যের এই শহরে বইমেলাও একটি ঐতিহ্য। তারপর উৎসব মরশুম। ফলে গান্ধী ময়দানে ভিড় জমাচ্ছে জনতা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন।  ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১০২৫: সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করলেন সুলতান মামুদ
১৩২৪:  ভেনিসিয় পর্যটক ও বনিক মার্কো পোলোর মৃত্যু
১৬৪২: বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর মৃত্যু
১৮০৬: ব্রিটেন উত্তমাশা অন্তরীপ দখল করে নেয়
১৮৬৭: আফ্রিকান আমেরিকানরা ভোটাধিকার লাভ করে
১৮৮৪: সমাজ সংস্কারক ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র সেনের মৃত্যু
১৯০৯: সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর জন্ম
১৯২৬: বাদশা হোসেন বহিষ্কার। ইবনে সাউদ হেজাজের নতুন বাদশা। দেশের (হেজাজ) নাম পরিবর্তন করে সৌদি আরব করা হয়।
১৯২৬:  কিংবদন্তি ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী তথা ওড়িশি নৃত্যের জন্মদাতা কেলুচরণ মহাপাত্রের জন্ম 
১৯৩৫: প্রবাদপ্রতিম অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবীর জন্ম
১৯৩৫: মার্কিন গায়ক এলভিস প্রেসলির জন্ম
১৯৩৯: অভিনেত্রী নন্দার জন্ম
১৯৪১: ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রণবানন্দের প্রয়াণ
১৯৪২: ইংরেজ পদার্থবিদ স্টিফেন হকিংয়ের জন্ম
১৯৫৭: অভিনেত্রী নাফিসা আলির জন্ম
১৯৬৩: প্রথমবারের মতো লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির বিখ্যাত পেইন্টিং ‘মোনালিসা’ আমেরিকার ন্যাশনাল গ্যালারী অব আর্টে প্রদর্শন
১৯৬৫: অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদারের জন্ম
১৯৬৬: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক বিমল রায়ের মৃত্যু
১৯৮৪: প্রথম ভারতীয় মহিলা পাইলট সুষমা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৯০: অভিনেত্রী নুসরত জাহানের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৯৭ টাকা ৮৬.৭১ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৭০ টাকা ১০৯.৪৩ টাকা
ইউরো ৮৭.৫৩ টাকা ৯০.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৪ পৌষ, ১৪৩১, বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫। নবমী ২০/৮ দিবা ২/২৬। অশ্বিনী নক্ষত্র ২৫/১৮ দিবা ৪/৩০। সূর্যোদয় ৬/২২/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/৪/৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ৮/৩২ মধ্যে পুনঃ ১০/৪০ গতে ১২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ৮/৩৮ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৬ গতে ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে ৩/৪০ মধ্যে। বারবেলা ৯/২ গতে ১০/২৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ১/৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/২ গতে ৪/৪২ মধ্যে।
২৩ পৌষ, ১৪৩১, বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫। নবমী দিবা ২/২। অশ্বিনী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/৩৬। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে ও ১০/১ গতে ১১/২৮ মধ্যে ও ৩/৭ গতে ৪/৩০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১১ গতে ৮/৫৭ মধ্যে ও ২/১ গতে ৬/২৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫৭  গতে ১০/৩২ মধ্যে। কালবেলা ৯/৫ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১১/৪৪ গতে ১/৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৫ গতে ৪/৪৫ মধ্যে। 
৭ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানাতে দিল্লিতে একটি স্মারক প্রতিষ্ঠার অনুমোদন কেন্দ্রের

07-01-2025 - 10:27:00 PM

 মানুষ কংগ্রেসের প্রতি উৎসাহ দেখাচ্ছেন: কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিত

07-01-2025 - 10:00:00 PM

গুজরাতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল

07-01-2025 - 09:23:00 PM

গুজরাতে একাধিক নতুন সেতু নির্মাণের জন্য ৭৭৯ কোটি টাকা অনুমোদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল

07-01-2025 - 08:59:00 PM

আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির সম্ভাবনা

07-01-2025 - 08:34:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজে মাউন্টেড পুলিসের জন্য ৩৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ৫টি ঘোড়া কিনল যোগী সরকার

07-01-2025 - 08:24:00 PM