কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
প্রকৃতির নিয়মে জন্মগ্রহণ করি আবার মারাও যাই। এই গোটা প্রক্রিয়াটাই যোগাসনের মধ্যে হয়। যখন মাতৃগর্ভে থাকি তখনকার অবস্থাকে বলে গর্ভাসন। মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হলে তখনকার অবস্থাকে বলে শীর্ষাসন। আর মৃত্যুকালীন অবস্থাকে বলে শবাসন। আমাদের অজান্তেই প্রকৃতি যোগাসন করায় সুস্থভাবে দীর্ঘায়ু জীবন পেতে।
রোজ নিয়মিত যোগাসন করলে সুস্থ সবল হয়ে বাঁচতে ও দীর্ঘায়ু, কর্মঠ হতে সাহায্য করে যোগব্যায়াম। নিজের জন্য ২৪ মিনিট যোগাভ্যাস করলেই কেল্লাফতে। তাও যদি সম্ভব না হয় কমপক্ষে ১৫ মিনিট প্রতিদিন যোগ অভ্যাস করলেই যথেষ্ট।
পরামর্শ: নিয়মিত যোগ অভ্যাস করা পরিমিত আহার সুস্থভাবে দিনযাপন সুস্থ চিন্তাভাবনা করা রুচিসম্মত পোশাক পরিচ্ছদ ব্যবহার করা দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুম, ৮ ঘণ্টা কাজ ও ৮ ঘণ্টা সংস্কৃতি চর্চা করা সমাজ উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে যুক্ত রাখা পজিটিভ অর্থাৎ ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা করা খাদ্যাভ্যাসে ৮০ ভাগ ক্ষারধর্মী ও ২০ ভাগ অ্যাসিড ধর্মী খাবার খাওয়া।
এবার তিনটি কথা বলব— ১) আমি জানিনি মানিনি, ২) আমি জানি মানি, ৩) আমি জানি মানিনি। এককথায় বললে বোঝায়—মানলে সুখ, আর না মানলে অসুখ। প্রথমে আমি যোগ অভ্যাস দ্বারা— ১) অবস্থা রক্ষা করব ২) পুরনো অবস্থা পুনরুদ্ধার করব ৩) অবস্থার আরও উন্নতি সাধন করব। Illness হতে Fitness হতে Wellness এইভাবে সুস্থভাবে দীর্ঘায়ুর জীবনের দিকে এগিয়ে চলব।
এবার যোগের কিছু সহজ পদ্ধতির কথা জানাই। যা প্রতিদিন অভ্যাস করতে হবে— ১) প্রার্থনা, ২) শিথিলীকরণ, ৩) স্ট্রেচিং, ৪) আসন, ৫) সহজ প্রাণায়াম ও লঘু প্রাণায়াম, ৬) মুদ্রা, ৭) শবাসন, ৮) ধ্যান, ৯) সংকল্প।
এবার ষটকর্মের কথা বলি— নেতি, ধৌতি, বস্তি, ত্রাটক, নৌলিকী ও কপালভাতি। এগুলি চর্চাকারীর অবস্থা অনুযায়ী নির্বাচন করে অভ্যাস করাতে হয়। এটা যোগাচার্য বা যোগ শিক্ষকের বিষয়। চর্চাকারীর নিজের কোনও পদ্ধতি নির্বাচন না করাই ভালো। কারণ, হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই রাজ্য সরকার স্বীকৃত ব্যক্তি বা যাঁরা যোগাচার্য তাঁদের দ্বারা অভ্যাস করাই নিরাপদ।
রোজ যে সব যোগাসন করবেন—
১) পদ্মাসন, ২) বজ্রাসন, ৩) পবনমুক্তাসন, ৪) শশঙ্গাসন, ৫) উষ্ট্রাসন, ৬) শবাসন।
রোজ যে প্রাণায়ামগুলি জরুরি—
১) অনুলোম বিলোম, ২) সূর্য ভেদি, ৩) ভামরী।
ষটকর্মের মধ্যে করবেন—
১) জল নেতি, ২) সহজ গোষ্ঠী, ৩) বমন ধৌতি, ৪) কপালভাতি
কখন করবেন যোগা?
যোগাসন সবসময় খালি পেটে করা দরকার। তাই ঊষাকাল যোগাসনের জন্য শ্রেষ্ঠ। আর যোগাসন করার পর আধঘণ্টা কিছু খাওয়া চলবে না। তবে বিকেলেও যোগা করা যায়। সেক্ষেত্রে দ্বিপ্রাহরিক আহারের অন্তত ঘণ্টা তিনেক পরে যোগাসন করা দরকার।