কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
এদিকে, ঘরের মাঠে মুম্বই সিটির কাছে হার কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না অনুরাগীরা। রক্ষণের অমার্জিত ভুলে ফিরে আসার লড়াই শেষ। রাগে, ক্ষোভে গজগজ করতে করতেই মাঠ ছাড়লেন বছর ষাটেকের এক লাল-হলুদ সমর্থক। বললেন, ‘আর কতদিন এভাবে হারের গ্লানি মাথায় নিয়ে বাড়ি ফিরব? প্রায় প্রতি ম্যাচেই রক্ষণের ভুলে গোল হজম করতে হচ্ছে। তারপরও কেন হিজাজি, হেক্টরদের বয়ে বেড়াচ্ছে দল?’ উত্তর নেই কারও কাছে।
সোমবার ম্যাচ শেষে প্রায় দীর্ঘক্ষণ কোচ ও ফুটবলারদের সঙ্গে ড্রেসিং-রুমে কথা বলেন শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। ডার্বির আগে কোন পথে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব, তারই উত্তর খোঁজার চেষ্টায় মশাল বাহিনী। তবে সামান্য চাপের মুখেই যেভাবে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছেন হিজাজি-প্রভাতরা, তাতে মর্যাদার লড়াইয়ে জেসন কামিংস-জেমি ম্যাকলারনেদের আটকানো যে দিবাস্বপ্ন তা বলাই যায়। কোচ অস্কার অবশ্য আইএসএলের ফিরতি ডার্বিতে ভালো ফলের ব্যাপারে আশাবাদী। মুম্বইয়ের কাছে হারের পর তাঁর বিশ্লেষণ, ‘প্রথমার্ধে দল মোটেই ভালো খেলতে পারেনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ছেলেরা দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। এই পর্বে তারা হৃদয় দিয়ে লড়াই করেছে। শেষলগ্নে গোল হজম করতে হল ঠিকই। তবে এই লড়াই অবশ্যই আগামী ম্যাচে আত্মবিশ্বাস জোগাবে।’ কোচ অস্কার মুখে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বললেও বাস্তব বড় কঠিন। বিশেষত চলতি মরশুমে ফর্মে রয়েছেন মোহন বাগানের দুই উইঙ্গার লিস্টন ও মনবীর। শনিবার ডার্বিতে তাঁরা ইস্ট বেঙ্গল উইং-ব্যাকদের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠতেই পারেন। তার উপর, মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে চোট পাওয়ায় বড় ম্যাচে অনিশ্চিত আনোয়ার আলি। মঙ্গলবার ফুটবলারদের ছুটি দিয়েছিলেন কোচ অস্কার। বুধবার অনুশীলনে দেখার পরই আনোয়ারকে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।