কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
ক্রমাগত ব্যর্থতায় ক্রিকেটপ্রেমীদের তোপের মুখে পড়েছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। দুই মহারথীর অবসর নিয়ে চলছে জল্পনা। ভাজ্জির মতে, ‘ইংল্যান্ড সফরে কারা থাকবে, কারা বাদ পড়বে তা নিয়ে সবাই মতামত দিচ্ছে। আমার কাছে ব্যাপারটা একেবারে সহজ-সরল। যারা পারফরম্যান্স করছে তারাই যাবে। স্রেফ নামের ভিত্তিতে যেন কেউ দলে না আসে। তাহলে তো কপিল দেব স্যার ও অনিল কুম্বলেকে খেলাতে হয়। বিসিসিআই ও নির্বাচকদের এখনই এব্যাপারে কঠোর হতে হবে। কারণ সুপারস্টার সংস্কৃতি দলের পতন ডেকে আনে।’
কোচ গৌতম গম্ভীর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার বার্তা দিয়েছেন জাতীয় দলের প্লেয়ারদের। একই মনোভাব হরভজনেরও, ‘বিরাট, রোহিত হোক বা অন্য কেউ, পারফরম্যান্সই আসল। কেউ নিজেকে মহাতারকা ভাবলেও তার মাথায় রাখা উচিত খেলাটার থেকে সে বড় নয়। ভারতীয় ক্রিকেটের স্বার্থে তাই কঠিন প্রশ্নগুলো করতে হবে। আমি যদিও কাউকে বাদ দিতে বলছি না। কিন্তু যারা অস্ট্রেলিয়ায় ফর্ম হাতড়ে বেরিয়েছে তারা যেন ইংল্যান্ড সফরের আগে বাড়তি পরিশ্রম করে, খেলার মধ্যে থাকে। হয় কাউন্টি খেলতে যাক বা অন্য কোনও ম্যাচ খেলুক। নির্বাচকদেরও ঘুম থেকে জেগে উঠতে হবে।’
গত কয়েক বছরে কোহলির ব্যাটে সেভাবে রান নেই। ভাজ্জির মন্তব্য, ‘২০২৪ সালে ১১ টেস্টে ৪৪০ রান করেছে বিরাট। গড় মাত্র ২৩.১৫। ওর মতো ব্যাটারের থেকে এমনটা ভাবাই যায় না। এই পরিসংখ্যান অত্যন্ত হতাশাজনক। আমি সত্যিই স্তম্ভিত। কোনও জুনিয়র ক্রিকেটারকে সুযোগ দিলে সে এর চেয়ে খারাপ করত বলে মনে হয় না।’ যশপ্রীত বুমরাহকে নিয়ে তিনি অবশ্য উচ্ছ্বসিত। তাঁর কথায়, ‘আখ নিংড়ানোর মতো অবস্থা হয়েছে বুমরাহর। ট্রাভিস হেড, মার্নাস লাবুশানে বা স্টিভ স্মিথ ক্রিজে নামলেই ডাক পড়েছে বুমরাহর। এই সিরিজে কত ওভার যে বল করেছে, তার ইয়ত্তা নেই! ওকে এমনই ছিবড়ে করে ফেলা হয়েছে যে শেষদিকে আর বল করার অবস্থাতেই ছিল না। সিডনিতে শেষদিনে যদি ও বল করতে পারত তাহলে অস্ট্রেলিয়ার জয় এত সহজ হতো না।’
সিডনি টেস্টের দল নির্বাচন নিয়েও সোচ্চার হরভজন। তাঁর মতে, ‘সবুজ প্রাণবন্ত উইকেটে দু’জন স্পিনারকে খেলানোর কোনও মানে হয় না। এত অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও টিম ম্যানেজমেন্ট যদি প্রথম এগারো বাছতে এমন ভুল করে তাহলে মুশকিল। আমি তো বুঝতে পারছি না ওখানে বসে কোচ তাহলে কোন কাজটা করছে! আসলে একগুঁয়েমির জন্যই ভুলভাল দল বেছে নেওয়া হয়েছে। ওদের বোঝা উচিত ছিল যে, এটা টি-২০ নয়, টেস্ট ক্রিকেট।’ বক্তব্যেই পরিষ্কার, কোচ গৌতম গম্ভীরের পরিকল্পনা একেবারেই পছন্দ হয়নি ভাজ্জির।