কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
পর্দার আড়ালে অনেক কিছুই ঘটছে ভারতীয় দলে। অশ্বিনের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারকে অপমানে সিরিজের মাঝ পথেই অবসর ঘোষণা করে দেশে ফিরে আসতে হয়েছে। সবকিছু বুঝেও ধৃতরাষ্ট্রের ভূমিকায় বিসিসিআই কর্তারা। কেউ কোনও প্রশ্ন করছেন না। আসলে প্রশ্ন করার লোক কোথায়? ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কার্যত অভিভাবকহীন। বোর্ড সভাপতি রজার বিন্নিকে কাঠের পুতুল বানিয়ে রেখেছেন জয় শাহ। সচিব হিসেবে তিনিই ছড়ি ঘোরাতেন। এখন আইসিসি’র চেয়ারম্যান। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার সর্বময় কর্তা। সরকারিভাবে ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নেই। তাই রোহিতদের ব্যর্থতা নিয়ে জয়ের কোনও হেলদোলও নেই। টিম ইন্ডিয়ার এই বিপর্যয় নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ আদৌ হবে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ থাকছেই। সাধারণত, কোনও বিদেশ সফরের পর রিপোর্ট জমা দেন ম্যানেজার। তার ভিত্তিতেই হয় পর্যালোচনা, গৃহীত হয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। তেমন প্রত্যাশা অবশ্য এখন আর না করাই ভালো। কারণ, বিসিসিআইয়ের নতুন সচিব পদে ১২ জানুয়ারি দায়িত্ব নেবেন দেবজিৎ সাইকিয়া। অজ্ঞাতকুলশীল এই ক্রিকেট কর্তাকে বোর্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর নেপথ্যে রয়েছে রাজনীতির খেলা। আর সবটাই চলছে ‘শাহ’ পরিবারের অঙ্গুলিহেলনে। বোর্ডে না থেকেও কীভাবে ভারতীয় ক্রিকেটের রাশ নিজের হাতে রাখা যায়, সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যাকুল ‘শাহ জুনিয়র’।
রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার কর্তারা তালপাতার সেপাই। ভয়ে কিছু বলতে পারছেন না। তবে শোনা যাচ্ছে, ১২ জানুয়ারি বোর্ডের সভায় টিম ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন। সেক্ষেত্রে হয়তো লোক দেখানো একটা কমিটি গঠন করা হবে। রিপোর্ট চাওয়া হতে পারে নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর এবং টিম ম্যানেজারের থেকে।
এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রোহিত শর্মার নেতৃত্বেই খেলতে যাচ্ছে ভারত। তবে ডেপুটি হিসেবে বুমরাহকেই চাইছেন বোর্ড কর্তারা। ১২ জানুয়ারি দল নির্বাচন। একই সঙ্গে ইংল্যান্ড সিরিজের স্কোয়াডও ঘোষণা করা হতে পারে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে আসন্ন দল নির্বাচন।