কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
ঘরের মাঠে আক্রমণের ঢেউ তুলে জয় চেয়েছিলেন অস্কার ব্রুজোঁ। কিন্তু মাধি তালালের বিকল্প না থাকায় বল সেভাবে পাননি ক্লেটন-দিয়ামানতাকোসরা। পক্ষান্তরে, মুম্বই প্রান্তিক আক্রমণে ডানা মেলতেই ম্যালেরিয়া কিংবা টাইফয়েডের রোগীর মতো কাঁপলেন প্রভাত লাকরা ও নুঙ্গা। যোগ্য সঙ্গতে দুই বিদেশি ডিপ ডিফেন্ডারও! ৩৯ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় মুম্বই। ব্রেন্ডনের ঠিকানা লেখা পাস থেকে আড়াআড়ি শটে জাল কাঁপান ছাংতে (১-০)। এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই চার মিনিটের মধ্যেই দ্বিতীয় গোল হজম করে ইস্ট বেঙ্গল। এই দায় ভাগ করে নিতে হবে হেক্টর ও গিলকে। ফন নিফের পাস যখন কারেলিস ধরেন তখন চার্জ-আউট করতেই পারতেন লাল-হলুদ গোলরক্ষক। আর হেক্টর তো ভাঙা সাইকেলের মতো গতিশীল। বিপক্ষের স্ট্রাইকারের কাছে পৌঁছনোর জন্য তাঁর প্রয়োজন অত্যাধুনিক বাইকের। তাই কারেলিসের শট গিল আংশিক প্রতিহত করলেও ফিরতি বল জালে জড়ান তিনি (২-০)।
বিরতির পর নিশু ও মহেশকে নামিয়ে প্রান্তিক আক্রমণে জোর দেন অস্কার। পাশাপাশি আনোয়ারকে রক্ষণে এনে হেক্টরকে মাঝমাঠে খেলানো হয়। তা সত্ত্বেও ৫৬ মিনিটে একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে নিকোলাসের শট রুখে নিশ্চিত দলের পতন আটকান গিল। এই সেভটাই দলের মনোবল বাড়িয়ে দেয়। ৬৬ মিনিটে সাহিল পানওয়ারের আত্মঘাতী গোল ইস্ট বেঙ্গলের ম্যাচে ফেরার আশা উস্কে দেয় (২-১)। এরপর ৬৯ মিনিটে জিকসনের পরিবর্তে ডেভিডকে এনে অল-আউট আক্রমণে ঝাঁপান অস্কার। ৮৩ মিনিটে মুম্বই বক্সে হেক্টরের নামিয়ে দেওয়া হেড পেয়ে বাঁ পায়ের মাপা প্লেসিংয়ে দলকে সমতায় ফেরান মিজো স্ট্রাইকার (২-২)। কিন্তু হিজাজি রয়েছেন হিজাজিতেই! তাঁর অমার্জনীয় ভুল কাজে লাগিয়ে মুম্বইয়ের জয় নিশ্চিত করেন নিকোলাস (৩-২)। এই হারে ১১তম স্থানেই রইল ইস্ট বেঙ্গল। ১৪ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১৪ পয়েন্ট।
ইস্ট বেঙ্গল: প্রভসুখন, প্রভাত (নিশু), হেক্টর, হিজাজি, লালচুংনুঙ্গা, আনোয়ার (শৌভিক), জিকসন (ডেভিড), নন্দ (মহেশ), বিষ্ণু, ক্লেটন দিয়ামানতাকোস।
(সাহিল-আত্মঘাতী, ডেভিড) (ছাংতে, কারেলিস-২)