কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
টিম ইন্ডিয়ার কোচ হিসেবে চূড়ান্ত ব্যর্থ গম্ভীর। শ্রীলঙ্কায় একদিনের সিরিজ হেরেছিল ভারত। এরপর ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ। তার মধ্যে ক্ষত হয়ে রয়েছে ৪৬ রানে অল-আউটের লজ্জা। অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে বিসিসিআই কর্তারা গম্ভীরকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। তবুও দল নিয়ে তিনি ক্রমাগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়া সফরে টিম ইন্ডিয়ার হতশ্রী পারফরম্যান্সে দুই মহাতারকা কোহলি, রোহিতের মতো অনেকাংশে দায়ী গম্ভীরও। ব্যর্থতার কারণে রোহিতের যদি ক্যাপ্টেন্সি যায়, তাহলে কোচের পদ থেকে গম্ভীরকে সরানো উচিত বলে মত ক্রিকেট মহলের একাংশের। সূত্রের খবর, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত গম্ভীরের ডেডলাইন। দল ব্যর্থ হলে বিকল্প চিন্তাভাবনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এমনকী, টিম ইন্ডিয়ার পরবর্তী কোচ হিসেবে ভিভিএস লক্ষ্মণের নামও হাওয়ায় ভাসতে শুরু করেছে।
সিডনি টেস্টের ফলের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। গম্ভীর সেটা ভালোই জানেন। তাই তিনি ক্রিকেটারদের আরও একবার সতর্ক করলেন। গোতির কথায়, ‘ব্যক্তি স্বার্থ নয়, দল সবার আগে। যেভাবে খেলার নির্দেশ দেওয়া হবে, প্রত্যেককে সেটাই মানতে হবে। ক্রিকেট দলগত খেলা। আমি ক্রিকেটারদের স্বাভাবিক খেলায় হস্তক্ষেপ করতে রাজি নই। তবে দলের দিকটাও ভাবা উচিত।’ গম্ভীরের এই বার্তা যে পন্থের জন্য, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কোহলিকেও তিনি পরোক্ষে সমঝে দিয়েছেন। মেলবোর্ন টেস্টে দুই ইনিংসেই কঠিন সময়ে ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলে আউট হয়েছিলেন পন্থ। আর কোহলি ক্রমাগত অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। তবে দুই ক্রিকেটারকে বৃহস্পতিবার প্র্যাকটিসে শট সিলেকশনের উপর বাড়তি নজর দিতে দেখা গিয়েছে। প্রথম দিকে স্পিনারদের বিরুদ্ধে কিছুটা জড়তা ছিল কোহলির। পরে তিনি ছন্দেই ধরা দেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক অনুশীলন করেন ঋষভও। ভুল শুধরে তাঁরা ঘুরে দাঁড়াতে পারেন কিনা, সেটাই দেখার।