নয়াদিল্লি: দেরিতে হলেও বোধোদয়। খেলরত্ন সম্মান পাচ্ছেন মানু ভাকের। প্যারিস ওলিম্পিকসে জোড়া পদক জিতে দেশকে গর্বিত করেন মানু। ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ছাড়াও ১০ মিটার পিস্তলেও ব্রোঞ্জ পান তিনি। প্রথম ভারতীয় হিসেবে একই ওলিম্পিকসে দু’টি পদক ছিনিয়ে নেওয়া নিঃসন্দেহে অন্য মাত্রা বহন করে। অনেকেই ভেবেছিলেন, এমন কৃতিত্বের পর তাঁর খেলরত্ন পাওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। কারণ ক্রীড়াক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ সম্মান খেলরত্ন। সেক্ষেত্রে ঝলমলে পারফরম্যান্সের পর খেলরত্নের তালিকায় অটোমেটিক চয়েস হতেই পারতেন তরুণী শ্যুটার। কিন্তু বিধি বাম। পুরস্কার প্রাপকের প্রাথমিক তালিকায় নামই ছিল না মানুর। কেন বাদ তিনি? বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রাক্তনীরা। ক্ষোভ উগরে দেয় মানুর পরিবারও। তাঁর বাবা রামকিষেণ কার্যত একহাত নেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রককে। খোদ মানুর মন্তব্য ছিল, পুরস্কারের কথা না ভেবে শুধু পারফরম্যান্সে নজর দিতে চান তিনি। নতুন বছরের শুরুতে অবশ্য সব জল্পনায় ইতি পড়ল। বৃহস্পতিবার খেলরত্ন প্রাপকদের তালিকায় উজ্জ্বল মানু ভাকেরের নাম। জোর গুঞ্জন, চাপে পড়েই ঢোক গিলতে হচ্ছে ক্রীড়া মন্ত্রককে। মানু ছাড়াও জাতীয় পুরুষ হকি দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং, দাবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ডি গুকেশ ও প্যারালিম্পকসের টি ৬৪ হাইজাম্প ইভেন্টে সোনাজয়ী প্রবীণ কুমারও খেলরত্ন পাচ্ছেন।
অর্জুন পুরস্কার পাচ্ছেন ৩২ জন অ্যাথলিট। দ্রোণাচার্য সম্মানে ভূষিত হবেন ফুটবল কোচ আর্মান্দো কোলাসো। তাঁর কোচিংয়ে পাঁচবার জাতীয় লিগ ও আই লিগ খেতাব জয় করে ডেম্পো। পরবর্তীতে ইস্ট বেঙ্গলেও কোচিং করান তিনি।