কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
প্রতিপক্ষকে ঝাঁকুনি দিতে শুরুতেই গোল চেয়েছিলেন হোসে মোলিনা। সেই লক্ষ্যে সফল স্প্যানিশ কোচ। নবম মিনিটে বাঁদিক থেকে তরতরিয়ে উঠে মাইনাস করেছিলেন লিস্টন। এক্ষেত্রে সাহালের জোরালো শট হায়দরাবাদ গোলরক্ষক সাময়িক রুখলে তা সেপিচের মাথায় লেগে জালে জড়ায় (১-০)। দশ মিনিট পরেই ব্যবধান বাড়ানোর সহজ সুযোগ নষ্ট করেন জেমি ম্যাকলারেন। অজি বিশ্বকাপারকে সোনার থ্রু পাস বাড়িয়েছিলেন স্বদেশীয় কামিংস। প্রতিপক্ষ গোলকিপারকে কাটিয়ে ম্যাকলারেনের নেওয়া শট পোস্টে প্রতিহত হয়। উইথড্রল স্ট্রাইকারের ভূমিকায় অনবদ্য কামিংস। পেন্ডুলামের মতো দুলে বিভ্রান্ত করলেন প্রতিপক্ষ রক্ষণকে। ঢেউয়ের মতো আক্রমণের মুখে বিরতির আগেই ব্যবধান বাড়ায় মোলিনা ব্রিগেড। ৪০ মিনিটে লিস্টনের মাইনাসে শরীর ছুড়ে হেড করে জাল কাঁপান টম আলড্রেড (২-০)। কিন্তু সবাইকে অবাক করে অফ-সাইডের পতাকা তোলেন সহকারী রেফারি। তাঁর সঙ্গে আলোচনার পর গোলের নির্দেশ দেন হরিশ কুণ্ডু।
বিরতির পর কামিংসরা আরও ভয়ঙ্কর। ৫১ মিনিটে ম্যাকলারেনের পাস ধরে চলতি বলে শট নেন কামিংস। হায়দরাবাদ গোলরক্ষক বোঝার আগেই বল জালে জড়ায় (৩-০)। কামিংসের বাঁপায়ে শেফিল্ড ছুরির ধার। বৃহস্পতিবারের সন্ধ্যায় যুবভারতীর নায়ক কিং কামিংস। ৫৩ মিনিটে তিনি দুরন্ত সেন্টার ভাসিয়েছিলেন হায়দরাবাদ বক্সে। এক্ষেত্রে আলবার্তোর হেড অল্পের জন্য লক্ষভ্রষ্ট হয়। ছবির মতো ফুটবলে তখন দিশাহারা হায়দরাবাদ। লিস্টনের এক-একটা স্প্রিন্ট কাঁপিয়ে দিল আলেক্স সাজিদের। তবে বক্সের কাছাকাছি পৌঁছে গোলের নেশায় সুযোগ হেলায় নষ্ট করলেন এই গোয়ানিজ। মনে হল, কেউ যেন তাঁকে জন্মদিনে বল উপহার দিয়ে বলেছেন একা-একা খেলতে। তবে লিস্টনই এদিন ম্যাচের সেরা হয়েছেন।
গত ম্যাচে ইস্ট বেঙ্গলের পয়েন্ট কেড়ে একটু বেশিই সাহসী হয়েছিলেন হায়দরাবাদ কোচ। বোঝেননি ‘ইসকা নাম হ্যায় মোহন বাগান।’ শেষলগ্নে কামিংসের পরিবর্তে স্টুয়ার্টকে নামিয়ে দেখে নিলেন মোলিনা। কয়েক হাজার মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে স্কটিশ ফুটবলারকে স্বাগত জানান সমর্থকরা।
মোহন বাগান: বিশাল, আশিস (মনবীর), আলবার্তো, আলড্রেড, শুভাশিস, অনিরুদ্ধ থাপা (অভিষেক), টাংরি, লিস্টন (সৌরভ), সাহাল (সুহেল), কামিংস (স্টুয়ার্ট) ও ম্যাকলারেন।
(সেপিচ-আত্মঘাতী, আলড্রেড, কামিংস)