কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
তবে মেলবোর্নে বিপর্যয়ের পর ভারতবাসীর মনে একটাই প্রশ্ন, রোহিত শর্মা কি সিডনিতে খেলবেন? এই প্রসঙ্গে গম্ভীর ঝেড়ে না কাশলেও, রোহিতের বাদ পড়া একপ্রকার নিশ্চিত। সূত্রের খবর, হিটম্যান নাকি নিজেই সরে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। আসলে দেওয়াল লিখন পড়তে পারছেন তিনি। ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাস তাঁর জানা। আর যাই হোক, শ্রীনিবাস বেঙ্কটরাঘবনের মতো লজ্জায় পড়তে হয়নি তাঁকে। ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ডে সিরিজ হেরে ভারতীয় দল যখন দেশে ফিরছিল, তখন বিমানেই পাইলট ঘোষণা করেছিলেন, বেঙ্কটরাঘবনকে সরিয়ে সুনীল গাভাসকরকে ভারতের অধিনায়ক করার খবর। রোহিতকে সেদিক থেকে ভাগ্যবান বলা যায়। পাঁচ ইনিংসের চারটিতে দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে না পারা সত্ত্বেও সসম্মানে তিনি প্রস্থানের পথ বেছে নিতে পারছেন।
প্র্যাকটিস দেখে যা ইঙ্গিত মিলেছে, তাতে ফর্মে থাকা যশস্বী জয়সওয়ালের সঙ্গে ওপেন করতে পারেন লোকেশ রাহুল। মনে রাখা দরকার, এই কম্বিনেশনেই পারথে প্রথম টেস্ট জিতেছিল ভারত। তাই সফরের শেষ ম্যাচে পুরনো ফর্মুলা প্রয়োগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। শুভমান গিল খেললে নামবেন তিন নম্বরে। কোহলি চারে ও পাঁচে ঋষভ পন্থ। শেষ দু’জনের খেলাতেও ধারাবাহিকতার অভাব স্পষ্ট। দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো তাঁরা আউট হয়ে দলকে ডুবিয়েছেন মেলবোর্নে। তা নিয়েও টিম মিটিংয়ে চর্চা হয়েছে। ঋষভের প্রতি আস্থা কমায় তৈরি রাখা হচ্ছে ধ্রুব জুরেলকে। তিনি দীর্ঘ সময় প্র্যাকটিসও করেন। ছন্দে থাকা নীতীশ রেড্ডিকে উপরের দিকে ব্যাট করতে পাঠানো হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
আকাশ দীপের বাদ পড়াও প্রত্যাশিত ছিল। তাই হয়তো চোটের বাহানা। তাঁর জায়গায় ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা বা হর্ষিত রানাকে খেলাতে পারে। প্র্যাকটিসে দু’জনেই ঘাম ঝরিয়েছেন। স্পিন অলরাউন্ডার হিসেবে জাদেজার খেলার সম্ভাবনা থাকছে। ওয়াশিংটন সুন্দর দুরন্ত ফর্মে। দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে তাঁরই খেলার কথা। আরও একবার নেতৃত্বের চাপ নিয়ে জ্বলে উঠতে হবে বুমরাহকেই। তাঁর স্বপ্নের ফর্মই একমাত্র আশার আলো।
এদিকে, দশ বছর পর বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি জেতার সুযোগ কোনওভাবেই হাতছাড়া করতে রাজি নয় অস্ট্রেলিয়া। তাই অফ-ফর্মে থাকা মিচেল মার্শকে বাদ দিতে দ্বিধা করেনি তারা। তাঁর জায়গায় অভিষেক হবে বেউ ওবেস্টারের। ব্যাটিংয়ে বড় ভরসা লাবুশানে, ট্রাভিস হেড, স্টিভ স্মিথ। নবাগত কনস্টাসও গত ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন। চোটের আশঙ্কা উড়িয়ে কামিন্স, বোল্যান্ডের সঙ্গী হবেন তারকা পেসার স্টার্ক।
ম্যাচ শুরু ভারতীয় সময় ভোর ৫টায়।
স্টার স্পোর্টসে সরাসরি সম্প্রচার।