কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
হতাশ অবশ্য দেশবাসী হয়েছে। বারবার। একদিনের ক্রিকেটে রোহিতের ক্যারিশ্মায় ক্রিকেটপ্রেমীরা যত দ্রুত ভেসে যায়, সাদা পোশাকের খেলায় তার লেশমাত্র থাকে না। টেস্ট কেরিয়ারে রোহিতের যা রান, তার বেশিটাই দেশের মাটিতে। বল যেখানে হাঁটুর উপরে উঠবে না, বা হাওয়ায় নড়বে না... সেখানে এই মুম্বইকরের স্ট্রোক প্লে চোখে লেগে থাকার মতো। কিন্তু বিদেশের মাটিতে? হাতে গোনা। যশপ্রীত বুমরাহের অধিনায়কত্বে যে সফর জয় দিয়ে শুরু হয়েছিল, তাতে যদি মুখ থুবড়ে পড়ার মতো অবস্থা হয়, ক্রিকেটারের নাম খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রাধান্য পায় না। গুরুত্ব তখন শুধু দলের। তাই গৌতম গম্ভীর যদি রোহিত শর্মা নামের তারকাকে ছেঁটে ফেলেন, অবাক হওয়ার কিছু নেই। বৃহস্পতিবার তিনি সেভাবে অনুশীলনও করেননি। শোনা যাচ্ছে, অধিনায়কত্বে ফিরছেন বুমরাহ। এখানে অবশ্য আরও একটা সমীকরণ কাজ করছে। রাহুল দ্রাবিড় বিদায় নেওয়ার পরই দল এতটা বেসামাল কেন? কোচ গম্ভীরকে কি ক্রিকেটাররা পছন্দ করছেন না? তবে সেটা দলের অন্দরের সমস্যা হতে পারে। দেশের সম্মানের সঙ্গে তার জন্য সমঝোতা করা যায় না। দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে যা প্রকাশ্যে চলে আসছে। এবং সবচেয়ে বড় কথা, ক্ষোভ থাকলেও বিজেপির ঘরের ছেলে গম্ভীরকে সরানো তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাহলে এই ‘অসম লড়াই’য়ের মানে কী? দিনের শেষে তো পারফরম্যান্স! তাতেই চূড়ান্ত ব্যর্থ ক্যাপ্টেন রোহিত।
অবসরের সিদ্ধান্তের টাইমিংয়ে ভুল করেন অনেকেই। ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন উদাহরণ ভূরি ভূরি। ব্যতিক্রম সানি গাভাসকর। বেঙ্গালুরুতে টার্নিং পিচে জীবনের শেষ টেস্টে তিনি করেছিলেন ৯৬ রান। কিন্তু মুম্বইয়ের কিংবদন্তিকে অনুসরণে ব্যর্থ রোহিত। একদিনের ক্রিকেটে থাকলেও টি-২০ ফরম্যাটকে গুডবাই জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু টেস্ট ম্যাচ? এদিনই তাঁর টেস্ট কেরিয়ারে যবনিকা পড়ে গেল না তো? মেলবোর্নেই কি রোহিত খেলে ফেলেছেন জীবনের শেষ টেস্ট? লাখ টাকার প্রশ্ন আজ এটাই।