শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
এদিন ম্যাচ শুরুর আগে দিয়েগো মারাদোনাকে শ্রদ্ধা জানানো হয় রিও ডি জেনেইরোর নেলসন স্যান্টোস স্টেডিয়ামে। যদিও করোনা অতিমারীর জেরে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামেই খেলা হয়। শুরুটা ভালোই করেছিল আর্জেন্তিনা। শুরুর দিকেই সতীর্থদের জন্য একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করেন জিওভানি লো সেলসো। আট মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যেতে পারত আর্জেন্তিনা। নিকোলাস তাগলিয়াফিকোর কাছ থেকে বল পেয়ে ক্যাপ্টেন মেসিকে পাস বাড়িয়েছিলেন। তবে মেসির ভলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে আর্জেন্তিনা। কিছুক্ষণ পরেই জিওভানি লো সেলসোর দুরন্ত ক্রস কাজে লাগাতে পারেননি লাউতারো মার্টিনেজ। গঞ্জালেজ এদিন বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করেছেন। মেসির কর্ণার থেকেই হোক বা লো সেলসোর পাস থেকে, একের পর সুযোগ নষ্টের প্রদর্শনী এদিন জারি রাখেন তিনি।
তবে ৩৩ মিনিটে স্বভাবচিত ভঙ্গিমায় চোখ ধাঁধানো ফ্রি-কিক থেকে দলের ত্রাতা হয়ে ওঠেন সেই মেসিই। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে মেসির বাঁ পায়ের বাঁকানো ফ্রি-কিক চিলির জাল কাঁপিয়ে দেয়। ক্লদিও ব্রাভো শরীর ছুড়ে তা আটকানোর চেষ্টা করলেও, সম্ভব হয়নি। নীল-সাদা সমর্থকদের এদিনের প্রাপ্তি ব্যাস ওইটুকুই । গোটা ম্যাচে একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও ফিনিশিংয়ের অভাব ফের ভোগালো আর্জেন্তিনাকে।
বিরতির পর চিলি অনেক বেশি জমাটিভাবে খেলা শুরু করে। ভিদাল কার্যত একক প্ৰচেষ্টায় দলের হয়ে সমতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আর্জেন্তিনার গোলমুখী তাঁর শট পোস্টে লেগে ফিরে আসার পর হ্যান্ডবল করে বসেন তাগলিয়াফিকো। রেফারি পেনাল্টি দেন। আর্তুরো ভিদালের পেনাল্টি আর্জেন্তাইন গোলরক্ষক ইমিলিনো মার্টিনেজ আটকালেও সেটি পোস্টে লেগে ফিরে আসে। সেই ফিরতি বলেই হেড করে সমতা ফেরান এদুয়ার্দো ভারগাস। এরপর ম্যাচে কার্যত আর্জেন্তিনার সেই পুরনো ছবিই ধরা পড়ে। ৭০মিনিটে মেসি বক্সের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছিলেন। তবে তাঁর লো শট বাঁচিয়ে দেন ব্র্যাভো। এরপর আরও একবার সহজতম সুযোগ পান মার্টিনেজ। মেসি দুরন্তভাবে গোলের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন। তবে মাত্র ৭ গজ দূর থেকে জালে বল জড়াতে পারেননি গঞ্জালেজ। এই রকম একের পর এক সুযোগ তৈরি করেন মেসি। কিন্তু সতীর্থরা গোলের রাস্তাই খুঁজে পেলেন না।