শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
রবিবার ফরাসি ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সেই ‘স্পেশাল ফ্যান’কে র্যাকেট উপহার দিলেন বিশ্বের একনম্বর প্লেয়ার। এই প্রসঙ্গে জোকার বলেন, ‘আমি ছেলেটির টেনিসপ্রেম দেখে অভিভূত! পুরো ম্যাচ জুড়ে ও আমাকে উৎসাহ দিয়ে গিয়েছে। প্রথম দুই সেটে পিছিয়ে যাওয়ার পর ছেলেটি আমার ভুলও ধরিয়ে দিয়েছে। ফলে খুশি হয়েই ওকে র্যাকেট উপহার দিয়েছি।’ টেনিসপ্রেমী সেই বালক কী বলেছিলেন দু’বারের ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়নকে? জকোভিচ বলছেন, ‘কোনও সন্দেহ নেই, ছেলেটি আমার ভক্ত। আর সে জন্যই প্রতিপক্ষ সিটসিপাসের খেলা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে সেইমতো আমাকে পরামর্শ দিয়েছে আকার ইঙ্গিতে। আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো সেটা অনুসরণ করেছি। খেলাটা সম্পর্কে ওর জ্ঞান আমাকে অবাক করেছে। এখনও কানে ভাসছে ওর কথাগুলো, সার্ভিস ধরে রাখো। প্রথম রিটার্নটা ঠিকঠাক মারো। তারপর বিপক্ষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ো। ব্যাকহ্যান্ড দিয়ে বিপক্ষের উপর চাপ বাড়াও। ম্যাচের পর ভাবলাম, জয়ের কৃতিত্ব আমার একার নয়, ছেলেটিরও।’
এদিকে, রবিবার ফরাসি ওপেন ফাইনাল খেলতে নামার পাঁচ মিনিট আগে ঠাকুমার মৃত্যুর খবর পান সিটসিপাস। সেই শোক দ্রুত সামলে দুরন্ত লড়াই উপহার দিয়েছেন গ্রিক যুবক। কেরিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে খেলতে নেমে রানার্স হওয়ার পর ট্যুইটারে সিটসিপাস লিখেছেন, ‘ঠাকুমার মৃত্যুর খবরে কয়েক সেকেন্ড বাগরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু পেশাদারদের সব রকম পরিস্থিতিতেই মাথা ঠিক রাখতে হয়। অবশ্য এটা ঠিক যে, ফাইনালে হারের থেকেও বেশি কষ্ট দিয়েছে এই ঘটনা। কারণ টেনিস জীবনের শুরু থেকে ঠাকুরমাই আমার প্রেরণা। তাঁর থেকেই শিখেছি, জেতা-হারাই জীবনের শেষ কথা নয়। ঠাকুরমার জন্য চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে ভালো লাগতো। রানার্স ট্রফি তাঁকেই উৎসর্গ করছি।’