শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
সাদা টি-শার্টের একদিকে লাল মাটির দাগ। ধূলোয় শরীর ছুঁড়ে শট নিলে যা হয়। আন্ডারগড হিসেবে কোর্টে নেমেও কিংবদন্তি প্রতিদ্বন্দ্বীকে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে রাজি ছিলেন না সিটসিপাস। ফরাসি ওপেনে নিজেকে তিনি তুলে নিয়ে গেলেন এক অন্য উচ্চতায়। জন্ম দিলেন ‘স্লাইডিং রিটার্ন’এর। পঞ্চম বাছাই গ্রিক প্রতিভার ঝলকে মাঝেমধ্যেই অসহায় মনে হচ্ছিল বিশ্বের একনম্বর জকোভিচকে। প্রথম সেটে একাধিক ‘এস’ মারলেন সিটসিপাস। নোভাকের নেটের কাছাকাছি ফার্স্ট কোর্ট রিটার্ন বারবার মিটও করলেন তড়িৎ গতিতে। অনবদ্য ফিটনেস, অফুরন্ত উদ্যম, নিখুঁত প্লেসিংয়ের জবাব ছিল না জোকারের কাছে। সিটসিপাস ৭২ মিনিটে প্রথম সেট জেতেন। দ্বিতীয় সেটে বেসলাইন ও নেট র্যালিতে সার্বিয়ানকে প্রায় দাঁড় করিয়ে রেখে হারান সিটসিপাস। জোকারের প্রথম সার্ভিস ভেঙে তিনি এগিয়ে যান ৩-১ গেমে। ৩৫ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে সিটসিপাস জেতেন ৬-২ গেমে।
তবে এরপরেই বদলে যায় ম্যাচের রং। তৃতীয় সেটে বুড়ো হাড়ে ভেল্কি দেখান নোভাক। তাঁর পাল্টা আক্রমণে ১-৪ গেমে পিছিয়ে পড়ার পর সিটসিপাস কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মাথা ঠাণ্ডা রেখে প্রতিপক্ষের সার্ভিস ভেঙে জোকার সেটটি জিতে নেন ৪৬ মিনিটে। চতুর্থ সেটেও দাপট বজায় রেখে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনেন জকোভিচ। এই সময় কিছুটা ক্লান্ত মনে হয়েছে গ্রিসের প্লেয়ারটিকে। কোমরের সমস্যাও তাঁর অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে সে সব উপেক্ষা করে পঞ্চম তথা নির্ণায়ক সেটে মরিয়া চেষ্টা চালান সিটসিপাস। কিন্তু জকোভিচের অভিজ্ঞতা ও মাস্টার ক্লাসের সামনে তাঁর প্রয়াস সফল হয়নি। ৬-৪ গেমে শেষ সেট দখল করে দ্বিতীয়বার ফরাসি ওপেন জয়ের স্বাদ পূরণ করেন জোকার।
সিটসিপাসকে হারিয়ে রয় এমার্সন ও রড লেভারকে ছুঁয়ে ফেলেলেন জকোভিচ। প্রত্যেকটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম অন্তত দু’বার করে জিতেছেন তাঁরা। নাদাল বা ফেডেরার কেউই এই কৃতিত্ব দেখাতে পারেননি। ১৯৬৯ সালে শেষবার দ্বিতীয় ক্যালেন্ডার গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছিলেন রড লেভার। অবশেষে ৫২ বছরের পুরানো ইতিহাস ফিরল জোকারের হাত ধরে।