কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
২০১৫ সালে ন্যাকের মূল্যায়নে ‘বি’ গ্রেড পেয়েছিল মিশন কলেজ। এক দশকে মানোন্নয়ন ঘটিয়ে কলেজ পৌঁছেছে প্রথম সারিতে। মিশন কলেজের সঙ্গে জেলা ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের কলেজের পড়ুয়া ও শিক্ষকদের ভাবনা বিনিময়ের জন্য হচ্ছে নিয়মিত মউ চুক্তি স্বাক্ষর। শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ তৈরিতেও হয়েছে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সংস্থার সঙ্গে মউ চুক্তি। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মতো মিশন কলেজে টিসিএস, মাহিন্দ্রার মতো শিল্প সংস্থা আসছে ক্যাম্পাসিং করতে। ইতিমধ্যে ইংরেজি, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের প্রায় ১০ জন চাকরি পেয়েছেন। গ্রামের কলেজেও এভাবে ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে চাকরি হয়, তা দেখে প্রশংসা করেছেন ন্যাকের সদস্যরা।
মিশন কলেজের পথচলা শুরু হয়েছিল ১৯৬৮ সালের ৯ আগস্ট। ৫৭তম বর্ষে পৌঁছেছে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থী দু’হাজারের বেশি। প্রথমে এটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৮৫ সাল থেকে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। বিবেকানন্দ মিশন আশ্রমের সন্ন্যাসী, ব্রহ্মচারী এবং স্থানীয় শিক্ষানুরাগী মানুষজন ওই কলেজ গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। মাত্র ৩০জন ছাত্র নিয়ে শুরু হয় কলেজ। প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন বিবেকানন্দ মিশন আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক স্বামী বিশ্বনাথানন্দজি মহারাজ। পূর্ণ সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকার ছিলেন ৮জন এবং আংশিক সময়ের ৬জন। বর্তমানে কলেজের অধ্যাপক ৩৪জন, স্টেট এডেড কলেজ শিক্ষক ৪২জন, শিক্ষাকর্মী রয়েছেন ১৮জন।
মিশন কলেজের অধ্যক্ষ মানবেন্দ্র সাহু বলেন, কলেজে এখন ১৫টি বিষয়ে অনার্স কোর্স এবং চারটি সাধারণ বিষয়ের কোর্স পড়ানো হয়। রয়েছে এনসিসি ও এনএসএস টিমও। যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে কম্পিউটার সায়েন্স, নিউট্রিশান, সোশ্যাল সায়েন্সের মতো কেরিয়ার ভিত্তিক কোর্স চালু হয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে কলেজে রয়েছে নেতাজি সুভাষ ওপেন ইউনিভার্সিটির অধীনে একটি স্টাডি সেন্টার। কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে দারুণ কৃতিত্ব রয়েছে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০টি কলেজ, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও শিল্প সংস্থার সঙ্গে মউ চুক্তি ও এডুকেশানাল ডেভেলপমেন্ট লিঙ্কেজ তৈরি হয়েছে। ফলে গ্রামের সাধারণ ছেলেমেয়েদের নতুন ধরনের চাকরিতে সুযোগ আসছে। বিভিন্ন সংস্থা এসে কলেজে পড়ুয়াদের কেরিয়ার ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি পার্থ বটব্যাল বলেন, ন্যাক মূল্যায়নের সাফল্য পড়ুয়াদেরও অনুপ্রাণিত করবে আগামীতে। মিশনের আদর্শে মূল্যবোধ ভিত্তিক শিক্ষাদান মানোন্নয়নে সহায়তা করছে প্রতিনিয়ত। কলেজের এনসিসি টিমের সদস্য দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশ নিয়ে গর্বিত করেছে হলদিয়াকে।-নিজস্ব চিত্র