কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
কাটোয়া বনদপ্তরের রেঞ্জার শিবপ্রসাদ সিনহা বলেন, এবারে চুপিতে পাখির সংখ্যা বেড়েছে। কচুরিপানা কিছুটা পরিষ্কার হওয়ায় পাখি বেশি এসেছে। কাটোয়া ও কালনা মহকুমার বিভিন্ন জলাশয়েও পরিযায়ী পাখি আসে। সেখানেও পক্ষী গণনার কাজ চালানো হবে।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর চুপিতে পাখির সংখ্যা কম ছিল। তাই গতবছর জানুয়ারির বদলে ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে পক্ষী গণনার কাজ করতে হয়। তার আগে কাটোয়ার করজগ্রাম বিল ও কালনার ভাগীরথীর চরে পক্ষী গণনা করা হয়। ২০২২-২৩ মরশুমে বনদপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী শুধু পূর্বস্থলীর চুপির ছাড়িগঙ্গায় ৬০ প্রজাতির পাখি এসেছিল। তারমধ্যে অবশ্য কিছু দেশীয় প্রজাতির পাখিও ছিল। চুপিতে গতবার সাড়ে ১১ হাজারের বেশি পাখি এসেছিল। এবার সেখানে ১৪ হাজারের বেশি পাখি এসেছে। চুপির পাখিরালয়কে ঘিরে গড়ে ওঠা পর্যটন কেন্দ্রজুড়ে প্রচুর মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রত্যেকের দাবি, চুপির ছাড়িগঙ্গায় ভাগীরথীর জল যাতে প্রবেশ করে তারজন্য ড্রেজিং করা হোক। পাশাপাশি ভাগীরথীর পাড়ে রিসর্ট গড়ার ক্ষেত্রে রাশ টানা হোক।
কয়েক বছর ধরে পরিযায়ী পাখিদের নতুন করে বিচরণস্থল হয়েছে পূর্বস্থলীর ছাড়িগঙ্গার রাজারচর এলাকা। কিছু পরিযায়ীর ঝাঁক আসছে জাহান্নগরের নবপল্লীতেও। নতুন বছরের শুরুতে চুপিতে ব্যপক ভিড় বেড়েছে। মাঝি গোপাল পাড়ুই বলেন, এবার পাখি এসেছে প্রচুর। নাহার শেখ বলেন, এবারে আয় ভালোই হচ্ছে আমাদের। অনেক পর্যটক বাইরে থেকেও আসছেন। তবে পাখিরালয়জুড়ে সেরকম সৌন্দর্যায়ন না দেখতে পেয়ে অনেকেই হতাশ হন। এদিন নৈহাটি থেকে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে চুপিতে পাখি দেখতে এসেছিলেন আশিস মণ্ডল। তিনি বলেন, আমি প্রথমবার চুপিতে এসেছি। ইউটিউবে পাখির ছবি দেখেই আকৃষ্ট হয়েছিলাম। ভালোই পাখি দেখেছি। শীতের হাওয়ায় নৌকা বিহার করতে ভালোই লাগল। • নিজস্ব চিত্র