কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গৌরবাজার পঞ্চায়েতটি পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূম জেলার সীমানা এলাকা। দুই জেলার সীমানা দিয়ে অজয় নদ বয়ে চলেছে। পঞ্চায়েতের গ্রামগুলির দু’টি প্রধান রাস্তা রয়েছে। একটি রাস্তা গৌরবাজার থেকে কাঁকসা থানার শিবপুর এলাকায় গিয়েছে। প্রায় ১৪কিলোমিটার ওই রাস্তাটি খানাখন্দে ভরে যাওয়ায় বেহাল দশা। বালিবোঝাই যানবাহন চলাচলের কারণে বেহাল অবস্থা। গৌরবাজার থেকে মাধাইগঞ্জ গ্রামে যাওয়ার প্রায় সাত কিলোমিটার রাস্তারও বেহাল অবস্থা। ওভারলোডেড ডাম্পার চলার সময় ভেজা বালির জল চুঁইয়ে রাস্তায় পড়ে। সেই জলে পিচ রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। পিচ উঠে গিয়ে রাস্তার কঙ্কাল বেরিয়ে এসেছে। রাস্তার কিছু জায়গায় বড় বড় গর্তও হয়ে গিয়েছে। ব্যস্ততম রাস্তা হওয়ায় অনবরত যানবাহন চলাচলে ধুলো উড়ছে, জেরবার অবস্থা। রাস্তার পাশের বাসিন্দাদের নাভিশ্বাস উঠছে।
শ্রীকৃষ্ণপুরের বাসিন্দা উত্তম মণ্ডল বলেন, রাস্তার অবস্থা বেহাল হওয়ায় পথচারীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। আবার ধুলোর দূষণে বাড়িঘরের দরজা-জানলা ২৪ঘণ্টা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। আশপাশের রাস্তায় জল ছিটিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও কাজ হচ্ছে না। রাস্তাটি অবিলম্বে সংস্কারের প্রয়োজন।
পথচারী বিজলা রুইদাস ও টুম্পা সাহা বলেন, গৌরবাজার এলাকায় একটি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। এই বিপজ্জনক রাস্তা দিয়ে পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্র হয় ওই স্কুলে। তাদেরও যাতায়াতে ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়াও এই পঞ্চায়েত এলাকার রোগীদের চিকিৎসার জন্য লাউদোহা স্বাস্থ্যকেন্দ্র অথবা দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে যেতে হয়। রোগীদেরও ভোগান্তির শেষ নেই। রাস্তাটি অবিলম্বে সংস্কারের প্রয়োজন।
পঞ্চায়েত প্রধান হাঁসু সৌদত্ত বলেন, ২০১৬ সালে রাস্তাটি সংস্কার হয়েছিল। এলাকায় পাঁচটি বৈধ বালিঘাট রয়েছে। বালিবোঝাই যানবাহন চলাচল করায় আমাদের দু’টি প্রধান রাস্তাই বেহাল হয়ে যায়। মানুষজনকে চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়। ব্লক প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিডিও অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায় বলেন, রাস্তা দু’টির বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই একটি রাস্তা সংস্কারের জন্য টেন্ডার হয়ে গিয়েছে।-নিজস্ব চিত্র