কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
এদিন তিন দুষ্কৃতী উত্তম দাস ওরফে কটা, আমজাদ আলি শেখ ওরফে লম্বু ও হীরামোহন মল্লিককে দেখেই নিবাসবাবুর বাড়ির পোষ্য কুকুর চিৎকার শুরু করে দেয়। তাকে শান্ত করা হয়। কারণ দুষ্কৃতীরা ডাকাতির সময় কুকুরটিকে মেরে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল। এদিন ধৃতদের প্রথমে চন্দ্রপুর বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দুষ্কৃতীরা আসার সময় টোটো বদলায়। এরপর পুইনি গ্রামে নিবাসবাবুর বাড়ির সামনের মাঠের রাস্তা দেখায়। ওউ রাস্তা ধরে তারা কীভাবে বাড়ির পিছন দিক দিয়ে ঢুকেছিল সবই নাট্যরূপ করে দেখায় ধৃতরা। তারা ৩০ মিনিট ধরে অপারেশন চালিয়েছিল। কোন দুষ্কৃতী গুলি চালিয়েছিল তারা তদন্তকারীদের বলে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত হীরামোহনের সঙ্গে উত্তমের পরিচয় হয় বর্ধমান সংশোধনাগারে। সে সময় হীরামোহন ডাকাত সন্দেহে গ্রেপ্তার হয়েছিল। আর উত্তমও একই মামলায় অভিযুক্ত ছিল। উত্তমই হীরাকে পুইনি গ্রামের ডাকাতির কথা বলে। তারপর আমজাদ আলির সঙ্গেও সংশোধনাগারে পরিচয় হয়। এভাবেই পুরো গ্যাং তৈরি করে তারা।
উল্ল্যেখ, গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর রাতে কাটোয়ার পুইনি গ্রামে নিবাস দাসের বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। নিবাসবাবু বাড়িতে ছিলেন না। তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে কামারপুকুর ও জয়রামবাটি বেড়াতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে শুধু ছিলেন নিবাসবাবুর ছেলে রাকেশ দাস, শাশুড়ি খুকু দাস ও মাসিশাশুড়ি মিনাদেবী। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ রাকেশবাবু তাঁর পোষ্য কুকুরকে নিয়ে বাইরে বের হতেই ৬-৭ জনের একটি ডাকাত দল আগ্নেয়াস্ত্র ও ভোজালি নিয়ে ঘরে ঢুকে পড়ে। তারা ২০-৩০ ভরি রুপো, ৬-৭ ভরি সোনার গয়না ও ৫০-৬০ হাজার নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। বাধা দিতে গেলে রাকেশবাবুকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এমনকি তাঁকে লক্ষ্য করে গুলিও চালানো হয়। তাতে রাকেশবাবু সামান্য জখম হন। রাকেশবাবুই কাটোয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরেই পুলিস তদন্তে নেমে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। ডাকাতিতে জড়িত এখনও বেশ কয়েকজন পলাতক রয়েছে।-নিজস্ব চিত্র