কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
সোমবার শিশু সুরক্ষাদপ্তরে দত্তক নেওয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে আমেরিকার এক দম্পতির হাতে সঙ্গীতকে তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) কেম্পা হোনাইয়া সহ জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। সঙ্গীতকে কোলে নিয়ে খুশি মার্কিন দম্পতি। মন খারাপ প্রশাসনের আধিকারিক থেকে হোমের কর্মীদের। অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, ‘শিশুটি একটি পরিবার পেল। যা সত্যিই আনন্দের। অসহায় শিশুদের পাশে প্রশাসন সর্বদা থাকবে। উদ্ধার হওয়া শিশুদের খুবই যত্ন সহকারে রাখা হয়। তাঁদের জন্য উন্নতমানের পরিকাঠামো রয়েছে। সকলের সহযোগিতা পাওয়ায় একাজ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হল।’ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের ৫ মে ঘটনাটি ঘটে। ঝাড়গ্রামের এক জঙ্গল থেকে সঙ্গীতকে উদ্ধার করেছিলেন টুম্পারা। জন্মের পর শিশুটির মুখ ও ডান পা স্বাভাবিক ছিল না। সম্ভবত সেই কারণেই তাকে জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয় বলেই অনুমান প্রশাসনের আধিকারিকদের। টুম্পারা তাকে কুড়িয়ে এনে প্রথমে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসার পর ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়ার একটি হোমে রাখা হয় শিশুটি। পরে চিকিৎসার জন্য তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তারপর থেকেই সে মেদিনীপুরের হোমেই ছিল।
প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, শিশুর পায়ের সমস্যা অনেকটাই কমেছে। বিশেষ জুতো পরিয়ে সমস্যার সমাধান হয়েছে। সঙ্গীতের জন্য উন্নতমানের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। মুখের সমস্যার সমাধান হয়েছে অনেকটাই। ক্রমেই স্বাভাবিক হয়ে উঠছে সে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন মাস আগে দত্তক নেওয়ার আবেদন করেছিলেন আমেরিকার নিউ জার্সির বাসিন্দা জশুয়া মাইকেল লরেন্স ও রাভেন এলিজাবেথ লরেন্স। তাঁদের আবেদন মঞ্জুর হয়। জানা গিয়েছে, মাইকেল লরেন্স আমেরিকার নিউ জার্সি এলাকার ব্যবসায়ী। স্ত্রী এলিজাবেথ গৃহিণী। তাঁদের দু’টি সন্তান রয়েছে। সঙ্গীতের নতুন নাম দিয়েছেন ড্যানিয়েল সঙ্গীত লরেন্স । পুত্র সন্তানকে কাছে পেয়ে তাঁরা আপ্লুত। এদিন ওই দম্পতি বলেন, ‘এদেশে এসে দারুণ লাগছে। পরিবারের নতুন সদস্যকে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। এদেশের প্রশাসনের তরফে সহযোগিতা পেয়েছি। ওকে মানুষের মতো মানুষ করে তুলতে চাই।’-নিজস্ব চিত্র