কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
দুর্গাপুর-ফরিদপুর বিডিও অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত বছর আগে দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের ছ’টি অঞ্চলেই কঠিন তরল বর্জ্য নিষ্কাশন কেন্দ্র গড়ে উঠেছিল। বর্জ্য প্লাস্টিক ও আবর্জনা পৃথকীকরণ করে জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ব্লকের প্রতিটি পঞ্চায়েতের প্লাস্টিক বর্জ্যগুলি প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েত মেশিনের সাহায্যে প্রক্রিয়াকরণ করে বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের জন্যও পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এরই মধ্যে বিক্রয় অযোগ্য বর্জ্য প্লাস্টিক নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়। ওই প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করতে ব্লক প্রশাসন ‘ক্যাপচার দ্য প্লাস্টিক’ প্রকল্প চালু করে প্রায় এক বছর আগে। ওই প্রকল্পে পানীয় জলের পরিত্যক্ত বোতলে বর্জ্য প্লাস্টিক ভর্তি করতে হবে। বর্জ্য প্লাস্টিক ভর্তি প্রতি বোতল পিছু ২ টাকা করে দেওয়া হবে সংগ্রহকারীকে। বাড়ি বাড়ি সেই কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ব্লকের ৮টি উচ্চ ও ৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের দিয়ে চলছে প্লাস্টিক সংগ্রহের কাজ।
জেমুয়া ভাদুবালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নুল হক বলেন, প্লাস্টিকের জন্য মাটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নালা-নর্দমা, নদী ও সমুদ্র থেকে সাগরে জলে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যাপকভাবে দূষণ ছড়াচ্ছে। প্লাস্টিক যেখানে সেখানে ফেলা উচিত নয়। আমাদের লক্ষ্য ১০ হাজার বোতল তৈরি করা। বিডিও’র এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। ওই স্কুলের পড়ুয়া নন্দিতা সাহা ও জিনিয়া পারভিন বলে, আমরা বাড়ির বর্জ্য প্লাস্টিক সংগ্রহ করছি বোতলে। এতে আমাদের পরিবেশ সুস্থ থাকবে। সবাই এই কাজে যুক্ত হলে দূষণ রোখা সম্ভার হবে। বিডিও অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায় বলেন, পরিবেশ দূষণ রুখতে ও সুস্থ পরিবেশ গড়তে একমাত্র লক্ষ্য প্লাস্টিক বর্জ্য মুক্ত পরিবেশ। সেই লক্ষ্যে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। অর্থের বিনিময়ে আমরা ওই প্ল্যাস্টিক বর্জ্য ভরা বোতল সংগ্রহ করব। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ও পড়ুয়ারা সংগ্রহ করছে। এখন সরকারিভাবে রাস্তা নির্মাণের কাজে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। ওই বোতলগুলি আমরা রাস্তা নির্মাণের কাজে ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে দেব।-নিজস্ব চিত্র