কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
লরির পাশাপাশি ট্রাক্টরে বালি পাচারের বিরুদ্ধেও প্রশাসন কঠোর হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আসানসোল শিল্পাঞ্চলজুড়ে বালির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। অটোয় করে বালি নিয়ে যেতে দেওয়ার দাবিতে রাস্তা অবরোধও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শিল্পাঞ্চলে বালির জোগান বাড়াতে জেলাশাসক বৈধ ঘাট খোলার উপর জোর দিয়েছেন। নতুন করে ১০টি বালি ব্লকের টেন্ডার ডাকা হয়েছে। আরও ১০টি ব্লক চালু করতে পরিবেশ বিষয়ক ছাড়পত্রের জন্য তদ্বির করা হয়েছে।
জেলাশাসক পোন্নমবলম এস বলেন, আমরা বালি পাচার বরদাস্ত করব না। বালির জোগান বাড়াতে নতুন বৈধ বালিঘাট খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, তাতে বালির সঙ্কট মিটবে।
অজয় ও দামোদর নদীর মাঝে রয়েছে আসানসোল শিল্পাঞ্চল। দুই নদীর জল শিল্প গড়ার সুবিধা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে এসমস্ত নদীকে কেন্দ্র করে চুটিয়ে বালি কারবার চলছে। ই-টেন্ডারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে বণ্টনের আগে জেলায় ৩০টি বালি ব্লক চালু ছিল। পরে টেন্ডার করে ১০টি বালি ব্লক চালু রয়েছে। কিন্তু বালি পাচার রোধে তেমন পুলিসি নজরদারি না থাকায় বালির তেমন অভাব হয়নি। ফলে বৈধ বালিঘাট থেকে বিপুল পরিমাণ বালি কলকাতা নিয়ে যাওয়া হলেও চোরাই বালিতেই শিল্পাঞ্চলের বালির চাহিদা মিটে যেত। মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পর সেই অবৈধ কারবার বন্ধে উদ্যোগী প্রশাসন ও পুলিস। সেজন্যই বারাবনি ব্লকের জামগ্রাম পঞ্চায়েতের আমুলিয়া ঘাটে কজওয়ে ভেঙে দেওয়া হল।
অভিযোগ, এই কজওয়ে মূলত বালি ও কয়লা পাচারে ব্যবহার হতো। এদিন বিডিও শিলাদিত্য ভট্টাচার্যর উদ্যোগে তা ভাঙা হয়। তবে একইরকম একাধিক কজওয়ে জামুড়িয়া ব্লকে রয়েছে। তা নিয়ে কবে পদক্ষেপ হবে? এপ্রশ্নের উত্তরে অতিরিক্ত জেলাশাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সেচদপ্তরের অনুমতি না নিয়ে তৈরি প্রতিটি কজওয়ে ভেঙে দেব। -নিজস্ব চিত্র