কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, ১৯৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান হিস্ট্রি কংগ্রেস অন্যতম একটি সরকারি সংস্থা। সংস্থার বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৩৫ হাজারের বেশি। এছাড়া প্রতিবছর ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও সংগঠন থেকে প্রায় দু’হাজার ইতিহাসবিদ, অধ্যাপক, গবেষক ও ছাত্র এই বার্ষিক অধিবেশনে যোগদান করেন। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে প্রতিবছরই ধারাবাহিকভাবে এই অধিবেশন আয়োজন করে আসছে ইন্ডিয়ান হিস্ট্রি কংগ্রেস। ধর্মনিরপেক্ষ ও বৈজ্ঞানিক ইতিহাস রচনার অন্যতম ক্ষেত্র এই সংস্থা। ২০২৩ সালে দক্ষিণ ভারতের তেলেঙ্গানার কাকাটিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সংস্থার অধিবেশন বসেছিল। জাতীয়স্তরের সেই কনফারেন্সে পুরাতত্ত্ব বিষয়ে গবেষণা ধর্মী প্রবন্ধ লেখেন বিশ্বভারতীর বিদ্যাভবনের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র সুরজিৎ। সেখানে দেশের নানা প্রান্তের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৬০জন গবেষক অংশগ্রহণ করেন। এবার পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় ইন্ডিয়ান হিস্ট্রি কংগ্রেসে তাঁর গবেষণাপত্রকে সেরার সম্মানে ভূষিত করে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কার্যকরী সমিতি।
সুরজিতের বাড়ি হুগলি জেলার আরামবাগ থানার বলরামপুর গ্রামে। বর্তমানে তিনি প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস, সংস্কৃতি ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অনিল কুমারের তত্ত্বাবধানে পিএইচডি করছেন। তাঁর এই স্বীকৃতিতে অত্যন্ত খুশি অনিলবাবু। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সুরজিকে দেখছি। অত্যন্ত মেধাবী হলেও তিনি দুঃস্থ পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। স্নাতকোত্তরস্তর উত্তীর্ণ হওয়ার পর পড়াশোনার খরচ চালাতে তাঁকে ১০০ দিনের কাজও করতে হয়েছে। এরপর ‘নেট কোয়ালিফায়েড’ হয়ে গবেষণা করছেন। তাই ওঁর জন্য আমরা গর্বিত। দারিদ্রকে পিছনে ফেলে যেভাবে সুরজিৎ এগিয়ে চলেছেন, তা অন্যান্য ছাত্রদের কাছে উদাহরণ হয়ে থাকবে। নিজের স্বীকৃতির বিষয়ে সুরজিৎ বলেন উচ্চশিক্ষার জন্য প্রচুর লড়াই করতে হয়েছে। আমার সুপারভাইজার অধ্যাপক অনিল কুমার সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অধ্যাপকরা যেভাবে সহযোগিতা করেছেন, তাতে আমি কৃতজ্ঞ।