কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
পড়ুয়াদের দাবি, এই শিক্ষাবর্ষে স্কুলে ভর্তি ফি বাবদ ৩০০ টাকার বদলে ৪০০ টাকা নিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অনেকেই এই বর্ধিত ফি দিতে পারবে না। তাই আগের মতোই ফি ৩০০ টাকা করার দাবি জানিয়েছিল তারা। গত ২ জানুয়ারি থেকে এনিয়ে স্কুলে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। এনিয়ে গার্জেন মিটিংয়ে অভিভাবকের অনুরোধে ভর্তি ফি কমিয়ে ৩০০ টাকা করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, শনিবার স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতেই কর্তৃপক্ষ পুনরায় বর্ধিত ফি নেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে বলে পড়ুয়াদের অভিযোগ। তাদের আরও অভিযোগ, শনিবার এনিয়ে তারা প্রতিবাদ করলে খয়রামারি পঞ্চায়েতের প্রধান মিঠুন বিশ্বাস ও তাঁর দাদা তথা ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ওহায়েদুজ্জামান বিশ্বাস গালিগালাজ ও ধাক্কাধাক্কি করেন। তার প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকেই স্কুলের গেটে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পড়ুয়ারা। স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। কয়েকজন শিক্ষক জোর করে স্কুলে ঢুকতে গেলে পরিস্থিতি বিগড়ে যায়। পড়ুয়ারা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিস এলে চলে পুলিসের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে দফায় দফায় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ঘটনায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ধনীরামপুর-ভাদুরিয়া সড়ক। দীর্ঘক্ষণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ঘটনাস্থলে আসেন ডোমকলের এসডিপিও সহ ব্লক ও মহাকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরা। এরপরে তাঁরা পড়ুয়াদের আশ্বাস দিলে ঘণ্টা দুয়েক পর পড়ুয়ারা অবরোধ তুলে নেয়।
এক স্কুল পড়ুয়া বলে, শনিবার ভর্তির জন্য ৪০০ টাকা চাওয়া হয়। আমরা সেই সময় প্রতিবাদ করতেই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ওহায়েদুজ্জামান বিশ্বাস, তাঁর ভাই তথা খয়রামারি পঞ্চায়েতের প্রধান মিঠুন বিশ্বাস ও তাঁর লোকজন আমাদের উপর চড়াও হয়। সোমবার ওই ঘটনার প্রতিবাদে ও ফি কমানোর দাবিতে আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছি। পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, শনিবার স্কুলে পড়ুয়াদের বেশে কিছু বহিরাগত, নেশাখোর ছেলে গণ্ডগোলের চেষ্টা করছিল। আমি তাদের স্কুল থেকে বের করে দিই। এরপরে ওইদিন পরিস্থিতি শান্তই ছিল। মাঝে স্কুল বন্ধ থাকার সুযোগে বিরোধী রাজনৈতিক দলের লোকজন ছাত্রছাত্রীদের উস্কানি দিয়েছে। তাতেই ওরা এদিন এই ঘটনা ঘটিয়েছে। স্কুলের টিআইসি উৎপল মণ্ডল বলেন, স্কুলে শিক্ষক কম থাকায় অতিথি শিক্ষকদের জন্য ওই ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তার প্রতিবাদে পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখিয়েছে। পরে ব্লক ও মহকুমা প্রশাসনের উপস্থিতিতে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।