কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
আসানসোল পুরসভার ৬৬ ও ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশ নিয়ে গড়ে ওঠা বালতোড়িয়ায় কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। রেলের জমিতেই কয়েক দশক ধরে বসবাস করে রুজিরুটির জোগাড় করছেন বাসিন্দারা। দু’বছর আগেও একবার জমি ফাঁকা করার নোটিস দিয়েছিল রেল। কিন্তু তারপর আর কোনও পদক্ষেপ করেনি। রবিবারও রেলের পক্ষ থেকে জমি ছাড়ার নোটিস দেওয়া হয়। কিন্তু এবার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তারা সদলবলে এসে হাজির হয়। রবিবার সকাল হতেই বসতি ভাঙতে তৎপর হয়। মূলত অবাঙালি মানুষের বসতিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশাল আরপিএফ বাহিনী এনে বিক্ষোভ মোকাবিলার প্রস্তুতিও করে রেখেছিল রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাদের ছক কার্যত ভেস্তে দেয় তৃণমূল। পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য ইন্দ্রাণী মিশ্র, কুলটির তৃণমূল ব্লক সভাপতি কাঞ্চন রায়, স্থানীয় কাউন্সিলাররা বাসিন্দাদের সঙ্গে রাস্তায় ধর্নায় বসেন। আরপিএফ বহু চেষ্টা করেও তাঁদের পিছু হটাতে পারেনি। তাঁরা দাবি করতে থাকেন, এটা যোগীর বুলডোজার সরকার নয়। দিদির সরকার। পুনর্বাসন দিয়ে উন্নয়নের কাজ করুন। তুমুল বিক্ষোভে রেল সবেমাত্র পিছুহটা শুরু করেছে, তখনই হাজির হন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক অজয় পোদ্দার। তাঁকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। প্রবল বিক্ষোভের জেরে এলাকা ছাড়েন অজয় পোদ্দার। পিছু হটে রেলও।
বিজেপি বিধায়ক বলেন, আমি ডিআরএমের সঙ্গে কথা বলে এলাকাবাসীর জন্য কিছুট সময় চেয়েছি। রেল তো উচ্ছেদ করবেই। বাসিন্দাদের যাতে রাজ্য সরকার পুনর্বাসন দেয় তার জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখব। তিনি কি রেলমন্ত্রীকেও পুনর্বাসনের জন্য চিঠি লিখবেন? উত্তরে বলেন, আপনার জমিতে কেউ বহু দশক ধরে বসবাস করলে তাঁকে তুলতে কি আপনি পুনবার্সন দেবেন? রেল কেন পুনর্বাসন দেবে, এই বাসিন্দারা বাংলার। পুনর্বাসন দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। আসানসোল রেল ডিভিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের জন্য জমিটি প্রয়োজন। বাড়ির জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য কিছুটা সময় দেওয়া হয়েছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত বলেন, রেলের জমি রেলের জন্য, দখলদারদের বসবাসের জন্য নয়।
আসানসোল পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য ইন্দ্রাণী মিশ্র বলেন, ওঁরা ভুলে যাচ্ছেন এটা যোগী বা মোদিজির রাজ্য নয়। এখানে দিদি আছেন, পুনর্বাসন দিয়েই গরিবের বস্তি উচ্ছেদ করা যাবে। একই ইস্যুতে যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আসানসোলে জেলাশাসক অফিসে বিক্ষোভ দেখিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।