কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
ডোমকলের ধুলাউড়ি অঞ্চলের কাশীপুরে খয়রামারী বিলের পাশে রাস্তার ধারেই ওই শ্মশান। তার উল্টোদিকে রয়েছে মস্তরাম সাধুর আখড়া।রাস্তার ধারে বিলের পাড়ে হলেও শ্মশানে ঢুঁ মারেন না কেউই। এদিন শ্মশানে গিয়ে কোনও কর্মীর দেখা না মেলায় এক চাষিকে প্রশ্ন করতেই সটান উত্তর এল, এই শ্মশানে কেউ থাকে না। তাহলে ডেথ সার্টিফিকেট কে দেখে? উত্তর এল, ওসব কিছু লাগে না। কিন্তু ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াশ্মশানে দাহ করা তো অপরাধ? এবার বিরক্তির সুরে উত্তর,অতশত জানিনা বাপু, লোকজন আসে চুপচাপ দাহকরে চলে যায়। কেউ দেখেও না, বলেও না।
একই বক্তব্য উল্টোদিকের মস্তরামের আখড়ার এক সাধুরও। তিনি জানালেন, বছরখানেক আগে শুনেছিলাম একটা কমিটি হবে।কিন্তু এখনও হয়নি।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, প্রায় প্রতিসপ্তাহেই একটা-দু’টো করে শবদাহহয়। তবে কোনদিন কার দেহ দাহ হচ্ছে, কারা করাচ্ছে, ডেথ সার্টিফিকেট রয়েছে কি না, সেসব দেখার বালাই নেই। যে যার মতো কাজ সেরে চলে যায়।
বছর দু’য়েক আগে নদীয়ার হাঁসখালিতে ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া দাহ করা হয়েছিল গণধর্ষণের পরে প্রবল রক্তক্ষরণে মৃত কিশোরীকে।ওই ঘটনার পর এই ধরনের শ্মশানগুলিতে কমিটি তৈরির পাশপাশি নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও এই ধরনের নজরদারিবিহীন শ্মশানযে এখনও আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে, তা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে।
ধুলাউড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান পিঞ্জিরা বিবি বলেন, আমি এবিষয়ে কিছু জানিনা, আমার স্বামী সব বলবে। তাঁর স্বামী মাইনুদ্দিন মণ্ডলকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, মস্তরাম শ্মশানে দেহ দাহ করতে কোনও কাগজপত্র লাগে না।দীর্ঘদিন থেকে এভাবেই চলছে।
কিন্তু এভাবে ডেথ সার্টিফিকেট, সরকারি নজরদারি ছাড়া শ্মশান চালানো কতটা যুক্তি সঙ্গত। প্রশ্ন করা হলে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক মানস ঘোষ বলেন, ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া দেহ দাহ করা আইনত অপরাধ।এভাবে চলতে পারেনা। এতে পরবর্তীকালে তদন্তে আর কোনও সূত্র পাওয়া যাবে না। ডোমকলের বিডিও শঙ্খদীপ দাস বলেন, বিষয়টি আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি।পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বলে কমিটি তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছি।এটা চলতে পারেনা।ডোমকলের এসডিপিও শুভম বাজাজ বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। আমরা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা করছি।