কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
স্বাধীনতার পরপরই কালনা মহকুমার ক্রীড়া ক্ষেত্রে উৎসাহ নিয়ে যেক’টি ক্লাব বা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে, তার মধ্যে অন্যতম সমুদ্রগড় বান্ধব সমিতি। কালনা মহকুমার ফুটবলের স্বর্ণযুগে বিদেশ বসু থেকে সুবীর ঘোষরা বান্ধব সমিতির ফুটবল ময়দানে দাপিয়ে খেলে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন। আরও প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের জন্ম দিয়েছে এই বান্ধব সমিতি। জেলা ছাড়িয়ে ভিনজেলায় বান্ধব সমিতির ফুটবল টিম দাপিয়ে খেলে সুনাম অর্জন করেছে। শুধু খেলাধুলা নয়, এলাকার সাংস্কৃতিক প্রতিভার বিকাশেও ক্লাবের ভূমিকা রয়েছে।
এই ক্লাবের উদ্যোগে বছরভর ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে। বছর কয়েক ধরে খেলাধুলায় কিছুটা ভাটা পড়েছে। কিন্তু ক্লাব সম্পাদক সত্যেন্দ্রনাথ কর্মকার, সভাপতি বিনয় দাসদের মতো প্রবীণদের হাত ধরে সামাজিক কর্মসূচি ও সাংস্কৃতিক চর্চায় এই ক্লাব আজও এগিয়ে চলেছে।
এবার ক্লাবের ৭৫তম বর্ষ তথা প্লাটিনাম জুবিলি উদ্যাপন বর্ষ। নানা অনুষ্ঠানের এদিন তারই শুভ সূচনা হয়। সকালে সমিতির স্মরণীয় ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এলাকা পরিক্রমা করে। সন্ধ্যার পর প্লাটিনাম জুবিলি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
স্বপনবাবু বলেন, বান্ধব সমিতি মানেই উন্নত খেলাধুলার আতুঁড়ঘর। বহু প্রতিভাবান ফুটবলার এই ক্লাবে খেলেছে। সামাজিক অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক চর্চায় এই ক্লাবের সুনাম রয়েছে। আগামী দিনে ক্লাব মানুষের পাশে থেকে আরও এগিয়ে যাবে, এই আশা রাখি।
ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ আনারুল মণ্ডল বলেন, ক্রীড়া ও সামাজিক কাজের মধ্যে দিয়েই সমিতির উত্থান। একসময় বেড়ার ঘর থেকে আমরা স্থায়ী ক্লাবঘর করতে পেরেছি। যা এলাকার মানুষের নানা অনুষ্ঠানে কাজে আসে। প্রবীণদের সহযোগিতা ও নবীনদের উৎসাহে আমরা এগিয়ে চলেছি।-নিজস্ব চিত্র