কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
২৯ ডিসেম্বর খানাকুলের ধরমপুরের বাসিন্দা বছর পঞ্চান্নর ফতেমা বেগমকে আরামবাগ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, প্রৌঢ়ার শ্বাসকষ্ট ছাড়াও লিভার ও কিডনিতে সমস্যা রয়েছে। এদিন চিকিৎসকের পরামর্শমতো রোগিণীকে হাসপাতালের বাইরে একটি ল্যাবে নিয়ে গিয়ে ইকো পরীক্ষা করানো হয়। সেজন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেন তাঁর আত্মীয়রা। রোগিণীর স্বামী শেখ ফাতেয়ার আলি বলেন, বাইরের ল্যাব থেকে পরীক্ষা করিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আসি।
স্ত্রী অ্যাম্বুলেন্সেই শুয়ে ছিল। ওয়ার্ডে নিয়ে যেতে হুইলচেয়ারের দরকার পড়ে। কিন্তু জরুরি বিভাগে তা পাওয়া যায়নি। এমনকী, নির্দেশমতো তিনতলার ওয়ার্ডে গিয়েও পাইনি। ফের অ্যাম্বুলেন্সের কাছে ফিরে আসি। প্রায় আধঘণ্টা স্ত্রীকে অ্যাম্বুলেন্সেই রাখতে হয়। তারপর সাংসদের নির্দেশে হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়।
সাংসদ বলেন, হাসপাতালে এতক্ষণ ধরে হুইলচেয়ার না পাওয়ার ঘটনা অনভিপ্রেত। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এবিষয়ে নজর দিতে বলেছি।
পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা যে তলানিতে পৌঁছেছে, এই ঘটনা তারই নমুনা। সাংসদের এখানে কিছু বলে লাভ নেই। যেখানে বললে কাজ হবে, সেখানে বলার ক্ষমতা তাঁর নেই।
আরামবাগ মেডিক্যালের অধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ রায় বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত হুইলচেয়ার ও স্ট্রেচার রয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীরা তা দিয়ে সাহায্য করেন। এদিন কী হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোগী পরিবহণের জন্য একটি অতিরিক্ত অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে সাংসদকে অনুরোধ করা হয়েছে। তিনিও আশ্বস্ত করেছেন।