কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
পূর্ব রেলের গুরুত্বপূর্ণ জংশন রামপুরহাট। শহরের বুক চিরে চলে গিয়েছে বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপ লাইন। বহু আগে দু’ পারের মানুষের যাতায়াতের জন্য ফটকদুয়ার এলাকায় রেল একটি ফুটব্রিজ তৈরি করে। ২০০৭ সালে লাইনচ্যুত হয়ে যাওয়া একটি মালগাড়ির ধাক্কায় সেই ফুটব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয়রা বলেন, সেই সময়ে নতুন করে ব্রিজটি তৈরির কথা বলে পুরনো ব্রিজটি ভেঙে ফেলে রেল। কিন্তু ১৮ বছর কেটে গেলেও সেই ব্রিজ আর তৈরি হয়নি। যার ফলে প্রায় দু’ দশক ধরে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছেন রামপুরহাট পুরসভার ১৩, ১৪ ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সহ কুসুম্বা গ্রাম পঞ্চায়েত ও আয়াস গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষ। ঘন ঘন ট্রেন যাওয়া-আসার ফলে অধিকাংশ সময়ে লেভেল ক্রসিং গেট পড়ে থাকে। ফলে এসডিও অফিস, থানা, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ, স্কুল, কলেজ সহ বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ে আসার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় মানুষকে। অনেক সময়ে ট্রেনও ‘মিস’ হয়ে যায় বলে অভিযোগ। অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইন পারাপার করেন। মাঝে মধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা।
ফুট ওভারব্রিজ ফেরানোর দাবিতে বহু ডেপুটেশন, অবস্থান বিক্ষোভ আন্দোলন করেছে কেন্দ্র বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। অবশেষে ১৮ বছর পর ফুট ওভারব্রিজ তৈরি শুরু করল রেল। যদিও ফটকদুয়ার থেকে কিছুটা দূরে লোকোপাড়ার কাছে সেই ব্রিজ তৈরি হচ্ছে।
প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মুর্তজা বলেন, পশ্চিমপাড়ের লোকোপাড়া থেকে শুরু হয়ে স্টেশনের উপর দিয়ে একেবারে চাঁদমারি মাঠ পর্যন্ত হবে ফুটব্রিজ। ৮৪ মিটার দীর্ঘ ও ১২ মিটার প্রশস্ত এই ফুটব্রিজটি স্টেশনের প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। যত দ্রুত সম্ভব ব্রিজটি শেষ করা হবে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, যাত্রীরা এই ফুটব্রিজ ব্যবহার করে নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে নেমে যেতে পারবেন। দু’ পারের মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইন পারাপার করতে হবে না। ওপারের মানুষ যেমন পূর্ব পাড়ে নেমে মূল শহরে আসা যাওয়া করতে পারবেন, তেমনি এপারের মানুষও যেতে পারবেন। ফটকদুয়ার লেভেল ক্রসিংয়ে চাপ কমবে। স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাদা হোসেন কিনু, কিসমত শেখ, আফতাব শেখরা বলেন, ফুটব্রিজটি হলে রেল লাইন পারাপারের সমস্যা কিছুটা মিটবে। তবে রোড ওভার ব্রিজ (আরওবি) হলে গাড়ি, বাইক, সাইকেল সবই যাতায়াত করতে পারত। সেটা না হওয়ায় ফটকদুয়ারের রেলগেটের যন্ত্রণা থেকেই গেল। আমাদের দাবি, ফটকদুয়ারে আরওবি তৈরি করুক রেল।