উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
বনদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ একটি বুনো হাতি পড়িহাটি রেঞ্জের শঙ্খহার জঙ্গল থেকে ঝাড়গ্রাম শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভালুকখুলিয়া এলাকায় ঢুকে পড়ে। এরপর হাতিটি ওই এলাকার একটু সেগুন বাগানে আশ্রয় নেয়। ওই সময়ে বাইকে যাচ্ছিলেন স্থানীয় যুবক শঙ্কু। আচমকা হাতিটি তাঁর সামনে চলে আসে। কোনওরকমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন শঙ্কু। তবে হাতিটি তাঁর বাইকটি লাথি মেরে ভেঙে চুরমার করে দেয়। তারপর এলাকাবাসীর তাড়া খেয়ে হাতিটি চাঁদাবিলা এলাকায় নির্মীয়মাণ ইকো পার্ক চত্বরে ঢুকে পড়ে। হাতিটি সেখান থেকে আবার বেরিয়ে ভালুকখুলিয়া জগদ্ধাত্রী মাঠে ফুটবলের গোলপোস্ট ভেঙে দেয়। বনদপ্তরের বক্তব্য, পড়িহাটি রেঞ্জ থেকে দলমার পালের হাতিটি কোনভাবে শহরে ঢুকে পড়েছিল। তবে এলাকাবাসীর বক্তব্য, একটি নয়, দু’টি হাতি ঢুকেছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, শঙ্কুর বাইকটি যখন হাতিটি ভাঙচুর করছিল, সেই সময় সেগুন বাগানে আরও একটি হাতি লুকিয়ে ছিল। বনদপ্তর খবর পেয়ে আসার আগেই ওই হাতিটি তাড়া খেয়ে দহিজুড়ির দিকে চলে যায়। আর হামলাকারী হাতিটি ফের ইকো পার্কে ঘুরে বেড়াতে থাকে। বনকর্মীরা গিয়ে হাতি খেদাতে শুরু করেন। তাড়া খেয়ে হাতিটি একটি পুকুরে নেমে যায়। কিছুক্ষণ জলে থাকার পরে হাতিটি শঙ্খহারের জঙ্গলের দিকে চলে যায়। যাওয়ার আগে ঝাড়গ্রাম শহরের সরেন পাম্পের পিছন দিকে কিছুক্ষণ দাপাদাপি করে হাতিটি। তবে বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি করেনি।
এই ঘটনার পরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। শহরে এর আগেও একাধিকবার হাতি ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দু’টি হাতির কথা বললেও ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ এস হেলোইচ্চি বলেন, একটি হাতি ঢুকেছিল বলে আমরা খবর পেয়েছি। হাতিটিকে শহর থেকে বের করে দেওয়া হয়। বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
অন্যদিকে, এদিন সকালে ঝাড়গ্রাম-লোধাশুলি ৫ নম্বর রাজ্য সড়কে জিতুশোল এলাকায় একটি প্রকাণ্ড দাঁতাল হাতি আধ ঘণ্ট ধরে রাস্তায় দাপিয়ে বেড়ায়। সেই সময় দু’টি মারুতি গাড়ি হাতির কাছাকাছি চলে আসে। হাতিটি একটি গাড়িকে শুঁড়ে দিয়ে ঠেলারও চেষ্টা করে। কিন্তু, বাসিন্দাদের তাড়া খেয়ে হাতিটি গাড়ির পাশ থেকে সরে যায়। পরে জিতুশোলের জঙ্গলে ঢুকে পড়ে।