বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
সিএমওএইচ প্রণব রায় বলেন, ঘটনাটি শোনার পরই আমি সুপারের কাছ থেকে তদন্ত রিপোর্ট চেয়েছি। রিপোর্টে কারও গাফিলতির প্রমাণ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এই ঘটনার পর তিনদিন কেটে গেলেও এখনও থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশু তৈয়েব আলি খানের শরীরে রক্ত দেওয়া যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনও ওই শিশুর রক্তের সঠিক গ্রুপ নির্ধারণ করতে পারেনি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকবার বিভিন্ন ল্যাব থেকে ওই শিশুর শরীরে রক্ত পরীক্ষা করলেও বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন রক্তের গ্রুপ পাওয়া যাচ্ছে। আর তাতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিভ্রান্তিতে পড়েছে।
শিশুটির বাবা শেরখান শেখ বলেন, আমার ছেলের রক্তের সঠিক গ্রুপ ও-পজিটিভ। কিন্তু হাসপাতাল থেকে ওকে ভুল করে এ-পজিটিভ রক্ত দিচ্ছিল। বেশ কিছুটা রক্ত চলে যাওয়ার পরে আমরা যখন নার্সদের বলি, তখন রক্ত দেওয়া বন্ধ করে দেন। এবার যেহেতু ছেলের শরীরে ভুল করে এ-পজিটিভ গ্রুপের রক্ত চলে গিয়েছে, তাই এখন বারবার পরীক্ষা করলেও রক্তের গ্রুপ এ-পজিটিভ আসবে। এখন আমরাও দিশাহারা হয়ে যাচ্ছি।
এদিকে কাটোয়া হাসপাতালের সুপার রতন শাসমল বলেন, আমি তিনদিনের মধ্যেই ব্লাড ব্যাঙ্কের মেডিক্যাল অফিসার ইনচার্জকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছি। কেন এত বড় ভুল হল, তা ওই রিপোর্টে উল্লেখ করতে বলেছি। তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট না পেলে বিভাগীয় তদন্তের রিপোর্টকেই চূড়ান্ত ধরে নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি কাটোয়া ব্লাড ব্যাঙ্কের মেডিক্যাল অফিসার ইনচার্জ বাণীব্রত আচার্য বলেন, আমি এখনও রিপোর্ট জমা দেওয়ার কোনও লিখিত নির্দেশ পাইনি। এছাড়া ব্লাড ব্যাঙ্কে মাত্র একজন মেডিক্যাল অফিসার রয়েছেন। তাহলে আমার পক্ষে ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করা কী সম্ভব? তাই মেডিক্যাল অফিসারের সই ছাড়াই ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত বেরিয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ মুর্শিদাবাদ জেলার শক্তিনগর থানার নারকেলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশু তৈয়েব আলি খানকে নিয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ, হাসপাতালের ওই কর্তব্যরত নার্সরা তৈয়েবকে এদিন দুপুর ২টো থেকে এ-পজিটিভ গ্রুপের রক্ত দেওয়া শুরু করে। এরপরে বিকেল নাগাদ তৈয়েবের বাবা শেরআলি শেখ হাসপাতালে ছেলেকে দেখতে যান। তিনি ভুল গ্রুপের বিষয়টি লক্ষ্য করেন। তিনি বলেন, আমি নার্সদের অনুরোধ করি, ভুল গ্রুপের রক্ত না দেওয়ার জন্য। কিন্তু ততক্ষণে অবশ্য তৈয়েবের শরীরে অর্ধেক ইউনিটের বেশি রক্ত চলে গিয়েছে। তারপর নার্সরা রক্ত দেওয়া বন্ধ করে দেন।