কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তুলসীহাটা এলাকার বাসিন্দা রাধানাথ সাহার ২০ শতক জমিতে ১৯৫০ সালে তুলসীহাটা ক্লাব গড়ে ওঠে। সেই সময় তিনি ক্লাবের সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে ক্লাব কর্তৃপক্ষ বিবেকানন্দ শিশু অঙ্গন নামে একটি নার্সারি স্কুল গড়ে তোলে। অভিযোগ, রাধানাথ সেই জমিটি স্কুলকে ভাড়ায় দিয়েছিলেন। ক্লাব কর্তৃপক্ষ কোনও ভাড়া না দিয়ে দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে স্কুল চালিয়ে যাচ্ছিল। রাধানাথের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী গীতা সাহা ও পাঁচ ছেলে সেই জমির ওয়ারিশ হিসেবে দাবি করেন। জমির ফেরত নেওয়ার দাবিতে এদিন স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেয় মালিকপক্ষ। এতে সমস্যায় পড়ে প্রায় হাজারখানেক পড়ুয়া। রাধানাথের পুত্রবধূ চম্পা সাহা বলেন, জমির দলিল ও পরচা আমাদের নামে রয়েছে। ওয়ারিশ সূত্রে সেই জমির মালিক আমরাই। মাসে মাসে ভাড়া দেওয়ার কথা ছিল ক্লাব কর্তৃপক্ষের। তারা ভাড়া দিচ্ছে না, জমিও ছাড়ছে না। এই নিয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। তারা রাজি হয়নি।
চম্পা জানান, এক সপ্তাহ আগে আলোচনায় বসার জন্য ক্লাব কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। প্রথমে রাজি হলেও ক্লাব এখন বসতে চাইছে না। উল্টে গায়ের জোরে জমিটি দখল করে নিতে চাইছে। অভিযোগ, পুলিসের সামনে জমির মালিকদের প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছেন ক্লাবের এক সদস্য। এই ঘটনার পরই থানায় অভিযোগ দায়ের করে রাধানাথের পরিবার।
ক্লাবের সভাপতি দিলীপ কুমার গুপ্তা বলেন, জমিটি ক্লাবের নামে দান করেছেন রাধানাথ। আমাদের কাছে জমির সমস্ত কাগজপত্র রয়েছে। এখন তাঁর ওয়ারিশরা জমিটি নিজেদের বলে দাবি করছেন। এদিন হঠাৎ করে স্কুলে ঢুকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। আইনিভাবে তাঁরা যদি জমি পান, তাহলে ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, শিশুদের পড়াশোনার যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেজন্য দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে তালা খুলে দেওয়া হয়েছে। জমির মালিক বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারলে ক্লাব কর্তৃপক্ষকে জমি ছাড়তে হবে।