কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে। বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, আমিও এখনও অভিযোগের চিঠি হাতে পাইনি। তবে ওই জায়গাগুলি সেচদপ্তরের অধীনে রয়েছে। অভিযোগ পেলে পুর আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সেচদপ্তরের বালুরঘাট ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অঙ্কুর মিশ্র বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।
সেচদপ্তর জানিয়েছে, বালুরঘাটের জোড়া ব্রিজের দু’পাশে বেশকিছু দোকান রয়েছে। ওই দোকানগুলির পাশেই বেশকিছু নতুন দোকান হচ্ছে। যা খাঁড়ির জায়গা দখল করে তৈরি হচ্ছে। এমন অভিযোগ পেতেই সেচদপ্তরের আধিকারিকরা ওই এলাকায় গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। পাশাপাশি তাঁরা ওই জায়গা মাপজোখের জন্য ভূমিদপ্তরের সাহায্যও নিতে চলেছেন। তবে ওই জায়গাটি যে সরকারি জমি তা নিশ্চিত আধিকারিকরা। এদিকে ওই এলাকায় এমন অবৈধ কাজ চলছে দেখে রীতিমতো ক্ষিপ্ত শহরের সচেতন নাগরিকরা। যদিও তাঁরা কেউ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হননি। তাঁরা একটি চিঠি সমস্ত মহলকে দিয়েছেন। চিঠিতে তাঁরা জানিয়েছেন, কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারি জমি খালি করা হয়। কিন্তু এরপরেও কীভাবে ওই জমিগুলি অবৈধভাবে দখল হচ্ছে? তাঁরা এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাই দ্রুত ওই সরকারি জমি দখলদারির বিরুদ্ধে তাঁরা পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। তবে আরও অভিযোগ, এই জমি দখলের পিছনে প্রভাবশালী কারও হাত রয়েছে। শহরের প্রাণকেন্দ্রে এমন কাজ বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে।
বালুরঘাট শহরের মধ্যদিয়ে বয়ে চলা আত্রেয়ী খাঁড়ি দখলের অভিযোগ বারবার সামনে এসেছে। দখলের অভিযোগ রীতিমতো ও প্রমাণ হয়ে গিয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। কিন্তু এরপরেও কেন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলেই অভিযোগ। এবার ফের খাঁড়ির জায়গা নতুন করে দখলের অভিযোগে শোরগোল পড়েছে শহরজুড়ে।